▼
তালুতের বিজয় জালুতের পরাজয়
তালুতের বিজয় জালুতের পরাজয়
আব্দুল হান্নান
একটা সময় এসে বনি ইসরাইলরা অনেক পাপ করেছিল এবং তাদের নবীদের হত্যা করেছিল। ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে একজন অত্যাচারী রাজা প্রেরণ করেন যে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করত এবং তাদের রক্ত ঝরাত এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিতর ও বাইরে থেকে শত্রু লাগিয়ে দিত। তারা যুদ্ধে যাওয়ার সময় “তাবুত বা বিশেষ একটা সিন্দুক তাদের সাথে নিয়ে যেত। তারা এটা মনে করত যে এটা নিয়ে গেলে এর কল্যাণে তারা যুদ্ধে জিতে যাবে এবং এটা তাদের শান্তির প্রতীক এবং এটা ছিল হযরত মুসার (আ) লোকজনের ফেলে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ। যখন তারা গাজা ও আশকালন এর লোকজনের সাথে যুদ্ধে গেল, তারা পরাজিত হল কারন তাদের কাছে থেকে তাবুত পাকড়াও করা হয়েছিল। যখন ইসরাইলের রাজা এর খবর শুনলো সে সেখানেই মারা গেল।বনি ইসরাইল নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় রইল যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ তা’য়ালা তাদের মধ্যে শামুয়েল নামে একজন নবী আসলো। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল যে তিনি যেন তাদেরকে একজন রাজা নিযুক্ত করে দেন যিনি তাদেরকে তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিবেন।
বনি ইসরাইল তাদের তাবুত কে খুব পবিত্র ও তাদের ইতিহাসের গুরত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে মনে করত। তারা তাদের তাবুত যুদ্ধ ক্ষেত্রেও নিয়ে যেত এবং তারা বিশ্বাস করত যে এটার কারণে আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করবন। এই বিশ্বাস তাদের তাদের মনে প্রশান্তি ও বিরাট সাহস যুগাত এবং তাদের শত্রুরা পর্যন্ত এটার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। তাদের শত্রুরা আরও বিশ্বাস করত যে এটাতে আল্লাহ তা’য়ালা বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন। ধীরে ধীরে বনি ইসরাইলরা আল্লাহ তা’য়ালার আইন মানাকে অগ্রাহ্য করতে লাগলো এবং খারাপ অভ্যাস তাদের জীবনের অংশ হয়ে গেল। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের উপর এক শত্রু পাঠালেন,যারা ছিলো অনেক পূর্বের ফিলিস্থিনী তারা ইসরাইলিদের পরাজিত করল, তাদের তাবুত হস্তগত করল, তাদেরকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল, এবং তাদের সন্তানদের দাস/দাসী হিসেবে বিক্রি করল। তাদের ক্ষমতা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিল। তারা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে পড়েছিল এবং তারা ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিল।তারপর তাদের স্বস্তি দেয়ার জন্য তাদের কাছে নবী স্যামুয়েলকে (আ)আসলেন। তারা তাদের একজন শক্তিমান নেতা নিয়োগ দেয়ার জন্য তাদের নবীকে বলল, যে রাজার ব্যানারে তারা একত্রিত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে যুদ্ধ করবে। নবী স্যামুয়েল (আ) তাদের দুর্বলতা জানতেন, তাই তাদের বললেনঃ “আমি ভয় করছি যে যখন সময় আসবে তখন তোমরা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানাবা।” কিন্তু তারা তাঁকে নিশ্চয়তা দিল যে তারা অনেক অপমানের স্বীকার হয়েছে এবং তারা আল্লাহ তা’য়ালার পথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, যদিওবা এতে তাদের জীবনও চলে যায়।নবী স্যামুয়েল (আ) আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দিক নিদের্শনার জন্য প্রার্থনা করলেন। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর কাছে বাণী পাঠালেন যে, সেই ব্যক্তি যাকে বাছাই করা হবে এই কাজের জন্য বনি ইসরাইলের রাজা ও তাদের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য, তালুত হবে তাদের রাজা। নবী জানতে চেলেন তিনি কিভাবে ভবিতব্য রাজাকে চিনবেন। তাকে বলা হল যে তালুত নিজেই তাঁর কাছে আসবে এবং তারপর তাদের উচিৎ হবে তার কাছে তাদের রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা, যাতে তিনি তাদেরকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে পারেন।তালুত লম্বা ও শক্তিশালী, ধার্মিক এবং সাংঘাতিক বুদ্ধিমান ছিলেন। তিনি তার পিতার সাথে থাকতেন ও তার খামারেই কাজ করতেন। একদিন, তার কয়েকটি গাধা হারিয়ে গিয়েছিল। তার চাকরের সাথে করে তিনি গাধাগুলো খুজতে বের হলেন। তারা অনেকদিন খুজল এবং খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তালুত তার চাকরকে বলল: “চল ফিরেই যায়, আমি নিশ্চিত যে আব্বা এতক্ষণে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন, এবং অন্য পশুগুলোরওতো যত্ন নিতে হবে!” তার চাকর তাকে পরামর্শ দিল যে তারা যে এলাকাতে আছে সে এলাকা স্যামুয়েল নবীর এলাকা, তাদের তাঁর কাছে গিয়ে হারানো গাধাগুলোর খবর নেয়া উচিৎ।
তালুত রাজি হল এবং তারা চলতে থাকল। পথে তারা পানি বহনকারী মেয়েদের কাছ থেকে দিক নির্দেশনা নিল। তারা পর্বতের দিকে যেতে বলল। সেখানে, বিশাল জনতা নবী স্যামুয়েলের জন্য অপেক্ষা করছিল। যখন তালুত তার দৃষ্টিতে দৃষ্টি রাখল, তাৎক্ষণাৎ সে তাঁকে (স্যামুয়েল (আ)) চিনে ফেলল যে তিনিই নবী। নবী স্যামুয়েলও তালুতকে চিনে ফেললেন, যাকে আল্লাহ তা’য়ালা রাজা হিসেবে তাদের জন্য মনোনিত করেছেন। তালুত নবীকে সম্মানের সাথে স্বাগত জানাল। যখন তিনি তার হারানো গাধাগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, নবী তাকে দুশ্চিন্তা করতে মানা করলেন, তার গাধাগুলো ইতঃমধ্যেই তার পিতার খামারে চলে গিয়েছে।তিনি তারপর তালুতকে বললেন যে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে বনি ইসরাইলের রাজা হিসেবে মনোনিত করেছেন। তার কর্তব্য হবে দায়িত্ব বুঝে নেয়া, তার ব্যানারে তাদেরকে একত্রিত করা এবং তাদেরকে তাদের শত্রুদের থেকে রক্ষা করা। যদি তিনি আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ মান্য করেন তবে তাকে বিজয় দান করা হবে। তালুত বিস্মিত হয়ে গেল তাকে সহসায় এই সম্মান প্রদান করাতে। এটা ছিল বিরাট এক দায়িত্ব। সে প্রতিবাদ করল যে সে বনি বিনইয়ামিনের হযরত ইযাকুবের (আ) দ্বাদশ পুত্র ছিলেন, যেটা ইসরাইল গোত্রের সবচেয়ে কম পরিচিত; তিনি নেতৃত্ব ও রাজত্ব সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং তার কোন সম্পদই নেই। স্যামুয়েল তাকে বললেন যে, এটা আল্লাহ তা’য়ালার ইচ্ছা যে তিনি রাজা হবেন, তাকে আল্লাহ তা’য়ালা যে অনুগ্রহ দিয়েছেন তার জন্য তার উচিৎ আল্লাহ তা’য়ালাকে ধন্যবাদ দেয়া এবং বিশ্বাসে দৃঢ় হওয়া।তালুতের হাত ধরে, স্যামুয়েল তাকে বনি ইসরাইলের কাছে নিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা আল্লাহ তা’য়ালার কাছ থেকে সরাসরি নিদর্শন দেখার পক্ষে জেদ ধরে রইল। নবী স্যামুয়েল তাদেরকে শহরের বাইরে যেতে বললেন নিদর্শন দেখার জন্য, তার সেটা করল। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ“মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তা'আলা জালেমদের ভাল করেই জানেন। আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত। বনী-ইসরাঈলদেরকে তাদের নবী আরো বললেন, তালূতের নেতৃত্বের চিহ্ন হলো এই যে, তোমাদের কাছে একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের পালকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের মনের সন্তুষ্টির নিমিত্তে। আর তাতে থাকবে মূসা, হারুন এবং তাঁদের সন্তানবর্গের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী। সিন্দুকটিকে বয়ে আনবে ফেরেশতারা। তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তাহলে এতে তোমাদের জন্য নিশ্চিতই পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে। অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর মাধ্যমে। সুতরাং যে লোক সেই নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়। আর যে, লোক তার স্বাদ গ্রহণ করলো না, নিশ্চয়ই সে আমার লোক। কিন্তু যে লোক হাতের আঁজলা ভরে সামান্য খেয়ে নেবে তার দোষঅবশ্য তেমন গুরুতর হবে না। অতঃপর সবাই পান করল সে পানি, সামান্য কয়েকজন ছাড়া। পরে তালূত যখন তা পার হলো এবং তার সাথে ছিল মাত্র কয়েকজন ঈমানদার, তখন তারা বলতে লাগল, আজকের দিনে জালূত এবং তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই, যাদের ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সামনে তাদের একদিন উপস্থিত হতে হবে, তারা বার বার বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।আর যখন তালূত ও তার সেনাবাহিনী শত্রুর সম্মুখীন হল, তখন বলল, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে।”তালুত দৃঢ় বিশ্বাস এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে তার সৈন্য যোগাড় করতে লাগলেন্ তিনি নির্দেশ দিলেন যে শুধুমাত্র দায়িত্বশীল লোকেরা যেন যোগদান করে। যারা বাড়ি তৈরিতে নিয়োজিত, যে লোক বিয়ে করতে যাচ্ছে এবং যারা ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত তারা যেন যোগদান না করে কারণ, যে বাড়ি তৈরি নিয়ে ব্যাস্ত সে যুদ্ধের ময়দানে বাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে এবং তার মাধ্যমে পুরো ইউনিট ক্ষতিগ্রস্থ হবে, একই কথা প্রযোজ্য অন্যগুলোর জন্য। কাজেই যুদ্ধে তারাই যোগ দিক যারা যুদ্ধ নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত।সুপ্রশিক্ষিত সৈন্য প্রতিষ্ঠার পর, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তাদেরকে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে। তিনি তাদেরকে বললেন যে তাদের যাত্রাপথের মধ্যে তারা একটি নদীর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে যেখানে তারা শুধুমাত্র সেটুকু পানি পান করবে যেটুকুতে তাদের তৃষ্ণা মিটবে কিন্তু তার একচুলও বেশি নয়। তিনি হতাশ হয়ে দেখলেন যে অধিকাংশই আঁজলা ভরে পানি পান করল!! তিনি তাদেরকে বরখাস্ত করে দিলেন এবং তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনকে রাখলেন যারা তাকে মান্য করেছিল, তারাই ছিল যারা তাদের সততা বজায় রেখেছিল। এটার ফলে সৈন্যদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হল কিন্তু তিনি তা আমলে নিলেন না। তিনি গুণে বিশ্বাসী ছিলেন, সংখ্যায় না; বিশ্বাসীদের একটা ছোট গ্রুপ বিশাল সংখ্যার অনির্ভরযোগ্য সৈন্যদের থেকে ভাল।তালুতের লোকেরা নদীর অপর পাড়ে শত্রুদের দেখল। তাদের শত্রুরা শারীরিকভাবে শক্ত সামর্থ ও উন্নতমানের অস্ত্রের অধিকারি ছিল। তাদেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল জালূত যে পরিচিত ছিল তার বিশাল দেহ ও শক্তির জন্য। তালুতের সৈন্যদের বিরাট অংশ জালূতের বিশাল শক্তিশালী সৈন্যদের দেখে পালাল। যে ছোট একটা দল ছিল তারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ছিল, কারণ তারা শুনেছিল যে অতীতে অনেক নজির আছে যেখানে আল্লাহ তা’য়ালা ছোট দলের দ্বারা বিরাট বাহিনীকে পরাজিত করিয়েছেন।তালুত এর সাথে এসেছিলবাহাত্তর হাজার, নদী পার করেছিলচার হাজার জন আর বাকিরা পানি পান করে আর যুদ্ধে যেতে চাইল না।চার হাজার জনের মধ্যে আবার জালুতের শক্তিশালী সৈন্যদেখে অধিকাংশ পালাল আর বাকি থাকল মোটেতিনশত দশজরে মত এই সৈন্যগুলোই প্রকৃত যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিল।যাইহোক, তালুত খুবই বুদ্ধিমান ছিলেন, তিনি বুঝলেন সরাসরি যুদ্ধ করে এদের সাথে পারা যাবে না তাই তিনি তাদেরকে দ্বৈত যুদ্ধের আহবান জানালেন। শত্রুপক্ষ থেকে জালুত রাজি হল, এরপর তালুত তার সৈন্যদের কাছে জানতে চাইলেন যে কে জালুতের সাথে যুদ্ধ করতে রাজি আছে? অবাক বিষয়, কোন হাত নেই, কেউ যুদ্ধ করতে রাজি হয় না!! হটাৎ তিনি তালুত দেখলেন একটা কিশোর হাত তুলেছে। তিনি আবারও একই প্রশ্ন করলেন, আবারও অবাক বিষয়, কেউ হাত তুলল না, শুধুমাত্র ঐ কিশোরই হাত তুলল!! তিনি কিশোর বলে তাকে গুরত্ব দিলেন না, কারন তিনি চাচ্ছিলেন শক্ত সামর্থ্যবান কেউ যুদ্ধের জন্য আসুক। তাই তিনি আবারও একই প্রশ্ন করলেন, আবারও তিনি একই উত্তর পেলেন! শুধু সেই কিশোরই হাত তুলেছে! যাইহোক, তিনি সেই কিশোরকেই যুদ্ধের জন্য পাঠালেন।
সেই কিশোর ছিল দারুন সাহসী, তিনি একটা গুলতি দিয়েই দানবাকৃতি জালুতকে পরাজিত করলেন এবং মেরে ফেললেন। এর ফলশ্রুতিতে বনি ইসরাইল, তখনকার মুসলিম জাতি যুদ্ধে জিতে গেল এবং ফিলিস্তিনে তাদের জায়গা পেল। এই কিশোরই হলেন হযরত দাউদ (আ)!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন