স্বপ্ন ও বেহশত
আব্দুল হান্নান
রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন ফজরের নামায পড়তেন তখন তিনি পা দুটি মোড়ানো অবস্থাতেই সত্তর বার পাঠ করতেন “আমি আল্লাহর সপ্রশংসা পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবূলকারী।” তারপর বলতেনঃ “সত্তরের বদলে সাতশ’। একদিনে যার পাপ সাত শতেরও বেশী হয় তার জন্যে কল্যাণ নেই।” একথা তিনি দু'বার বলতেন। তারপর তিনি জনগণের দিকে মুখ করে বসতেন। স্বপ্ন তার নিকট প্রিয় ছিল বলে তিনি জিজ্ঞেস করতেনঃ “তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি?” আবূ জামাল (রাঃ) বলেন, একদা অভ্যাসমত রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিজ্ঞেস করলে আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! হ্যাঁ, আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি। তিনি বললেনঃ “আল্লাহ কল্যাণের সাথে সাক্ষাৎ দান করুন, অকল্যাণ হতে বাঁচিয়ে রাখুন, আমাদের জন্যে মঙ্গলজনক করুন, শত্রুদের জন্যে করুন ক্ষতিকর, ঐ আল্লাহ সর্বপ্রকারের প্রশংসার অধিকারী যিনি সারা বিশ্বের প্রতিপালক। তুমি এখন তোমার স্বপ্নের ঘটনা বর্ণনা কর।” আমি তখন বলতে শুরু করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি দেখি যে, একটি রাস্তা রয়েছে যা প্রশস্ত, সহজ, নরম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। অসংখ্য লোক ঐ পথ ধরে চলছে। তারা চলতে চলতে একটি সবুজ-শ্যামল বাগান পেলো যার মত শস্য-শ্যামল ও চমৎকার বাগান আমি কখনো চোখে দেখিনি। ভিতর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। নানা প্রকারের গাছ ফুলে ফলে ভরপুর রয়েছে। এখন আমি দেখি যে, প্রথম যে দলটি আসলো এবং ঐ বাগানের নিকট পৌঁছলো, তখন তারা তাদের সওয়ারীর গতি বেশ দ্রুত করলো এবং ডানে বামে না গিয়ে দ্রুত গতিতে ঐ স্থান অতিক্রম করলো। তারপর দ্বিতীয় দল আসলো যাদের সংখ্যা বেশী ছিল, যখন তারা এখানে পৌছলো তখন কতকগুলো লোক তাদের বাহনের পশুগুলোকে সেখানে চরাতে শুরু করলো, আর কতকগুলো লোক কিছু গ্রহণ করলো, অতঃপর সেখান হতে প্রস্থান করলো। তারপর আরো বহু লোকের একটি দল আসলো। যখন তারা এই সবুজ-শ্যামল বাগানের নিকট আসলো তখন তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল এবং বলতে লাগলোঃ “এটা সবচেয়ে উত্তম জায়গা।” আমি যেন তাদেরকে এখনো দেখতে পাচ্ছি যে, তারা ডানে বামে ঝুঁকে পড়েছে। আমি এসব দেখলাম। কিন্তু আমি তো চলতেই থাকলাম। যখন বহু দূরে চলে গেলাম তখন দেখলাম যে, সাতটি সিঁড়ি বিশিষ্ট একটি মিম্বর বিছানো রয়েছে এবং আপনি সর্বোচ্চ সোপানে উপবেশন করেছেন। আর আপনার ডানদিকে এক ব্যক্তি রয়েছেন। তার চেহারা গোধূম বর্ণের, অঙ্গুলিগুলো মোটামোটা এবং দেহ লম্বা। যখন তিনি কথা বলছেন তখন সবাই নীরবে শুনছেন এবং জনগণ উঁচু হয়ে হয়ে মনোযোগের সাথে তাঁর কথায় কান লাগিয়ে দিয়েছেন। আপনার বাম দিকে একটি লোক রয়েছেন, যাঁর দেহের গঠন মধ্যম, শরীর মোটা এবং চেহারায় বহু তিল রয়েছে। তাঁর চুল যেন পানিতে সিক্ত। যখন তিনি কথা বলছেন তখন তাঁর সম্মানার্থে সবাই ঝুঁকে পড়ছেন। আর সামনে একজন লোক রয়েছেন, তিনি স্বভাব-চরিত্রে এবং চেহারা ও আকৃতিতে আপনার সাথে সম্পূর্ণরূপে সাদৃশ্যযুক্ত। আপনারা সবাই তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছেন এবং তাঁর প্রতি উৎসুক নেত্রে চেয়ে আছেন। তাঁর সামনে একটি ক্ষীণ, পাতলা ও বৃদ্ধা উষ্ট্রী রয়েছে। আমি দেখলাম যে, আপনি যেন ওকে উঠাচ্ছেন। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। অল্পক্ষণের মধ্যেই তাঁর এ অবস্থা দূরীভূত হলো। অতঃপর তিনি বলতে লাগলেনঃ “সরল, সোজা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা হলো ঐ দ্বীন যা নিয়ে আমি আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে এসেছি এবং যে হিদায়াতের উপর তোমরা রয়েছো। তুমি যে সবুজ শ্যামল বাগানটি দেখেছো ওটা হলো দুনিয়া এবং ওর মন মাতানো সাজ-সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। আমার সাহাবীবর্গ তো ওটা অতিক্রম করে চলে যাবে। না আমরা তাতে লিপ্ত হবো, না ওটা আমাদেরকে জড়িয়ে ধরবে। না ওর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকবে, না আমরা ওর প্রতি আকৃষ্ট হবো। অতঃপর আমাদের পর দ্বিতীয় দল আসবে যারা সংখ্যায় আমাদের চেয়ে বেশী হবে। তাদের মধ্যে কতক লোকে তো দুনিয়ার সাথে জড়িয়ে পড়বে। আর কেউ কেউ তা হতে প্রয়োজন মত গ্রহণ করবে। অতঃপর তারা চলে যাবে এবং পরিত্রাণ পেয়ে যাবে। তারপর তাদের পরে একটি বিরাট দল আসবে যারা এই দুনিয়ায় সম্পূর্ণরূপে নিমগ্ন হয়ে পড়বে। তারা ডানে বামে ঢুকে পড়বে। এখন থাকলো তোমার কথা। তাহলে জেনে রেখো যে, তুমি তোমার সোজা সরল পথে চলতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত তুমি আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে। সাতটি সিঁড়ি বিশিষ্ট মিম্বরের সর্বোচ্চ সোপানে যে তুমি আমাকে দেখেছো তার ব্যাখ্যা এই যে, দুনিয়ার আয়ু হচ্ছে সাত হাজার বছর। আমি শেষ বা সপ্তম হাজারে রয়েছি। আমার ডান দিকে গোধূম বর্ণের মোটা অঙ্গুলি বিশিষ্ট যে। লোকটিকে তুমি দেখেছো তিনি হলেন হযরত মূসা (আঃ)। যখন তিনি কথা বলেন তখন লোকেরা উচু হয়ে যায়। কেননা, আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং তার সাথে কথা বলে তাঁকে মর্যাদামণ্ডিত করেছেন। আর যে লোকটিকে তুমি আমার বাম দিকে দেখেছো, যিনি মোটা দেহ বিশিষ্ট এবং যার দেহের গঠন মধ্যম ধরনের আর যার চেহারায় বহু তিল রয়েছে এবং যার চুল পানিতে সিক্ত মনে হচ্ছে, তিনি হলেন হযরত ঈসা (আঃ)। যেহেতু স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা তাঁর সম্মান করেছেন। সেই হেতু আমরাও সবাই তাকে সম্মান করি। যে বৃদ্ধ লোকটিকে তুমি আমার সাথে সম্পূর্ণরূপে সাদৃশ্যযুক্ত দেখেছো তিনি হলেন আমাদের পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)। আমরা সবাই তাঁকে চাই, তার অনুসরণ করি এবং তাঁর আনুগত্য করে থাকি। আর যে বৃদ্ধা উষ্ট্রীটিকে তুমি দেখেছো যে, আমি ওকে দাঁড় করাচ্ছি ওর দ্বারা কিয়ামত উদ্দেশ্য যা আমার উম্মতের উপর সংঘটিত হবে। না আমার পরে কোন নবী আছে এবং না আমার উম্মতের পরে কোন উম্মত আছে।” এরপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে কি না এ প্রশ্ন করা ছেড়ে দেন। হ্যাঁ, তবে যখন কেউ নিজেই কোন স্বপ্নের কথা বলতো তখন তিনি ঐ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে দিতেন।তারপর কোরআনের ব্যাক্ষা অনুযায়ী রাসুল সঃ জান্নাতের নিয়ামতের কথা বলতে গিয়ে বলেন,যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা তাদের জান্নাতী সঙ্গীনীকে নিয়ে জান্নাতের ঐ আসনে হেলান দিয়ে বসবে, পরস্পর মুখখামুখি হয়ে। কেউ কারো দিকে পিঠ করে বসবে না। তাদের সেবায় ঘোরাফিরা করবে চির কিশোরেরা। অর্থাৎ ঐ সেবকরা বয়সে একই অবস্থায় থাকবে। তারা বড়ও হবে না, বুড়োও হবে না এবং তাদের বয়সে কোন পরিবর্তনও হবে না, বরং তারা সদা কিশোরেই থাকবে। করা থাকবে,এই সদা-কিশোরেরা সুরাপূর্ণ এই পানপাত্রগুলো তাদের নরম হাতে নিয়ে ঐ জান্নাতীদের সেবায় এদিক ওদিক ঘোরাফিরা করতে থাকবে। সেই সুরা পানে তাদের শিরঃপীড়াও হবে না এবং তারা জ্ঞানহারাও হবে না। সুতরাং পূর্ণমাত্রায় তারা ঐ সুরার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। মদের মধ্যে চারটি বিশেষণ রয়েছে। (এক) নেশা, (দুই) মাথাব্যথা, (তিন) বমি এবং (চার) প্রস্রাব। মহান প্রতিপালক আল্লাহ জান্নাতের সুরা বা মদের বর্ণনা দিয়ে ওকে এই চারটি দোষ হতে মুক্ত বলে ব্যক্ত করলেন। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ঐ চির কিশোরেরা তাদের কাছে ঘোরাফিরা করবে তাদের পছন্দমত নানা প্রকারের ফলমূল নিয়ে এবং তাদের ঈপ্সিত পাখীর গোশত নিয়ে। যে ফল খাওয়ার তাদের ইচ্ছা হবে এবং যে গোশত খেতে তাদের মন চাইবে, সাথে সাথে তারা তা পাবে। এসব রকমারী খাবার নিয়ে তাদের এই চির কিশোরে সেবকরা সদা তাদের চারদিকে ঘোরাফিরা করবে। সুতরাং তাদের যখনই যা খেতে ইচ্ছা করবে তখনই তা তাদের নিকট থেকে নিয়ে নিবে। মানুষ ফল বেছে বেছে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী খেতে পারে।সাহাবীর এক স্বপ্নের কথায় আমরা বিশ্বনবীসঃ এর নিকট হতে কত মহামূল্যবান কথা জানতে পারলাম।কেউ কোন স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলে এবং তাতে তিনি আনন্দিত হলে ওটা খুব ভাল স্বপ্ন বলে জানা যেতো। একদা একটি স্ত্রীলোক তার কাছে এসে বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার কাছে যেন কেউ আসলো এবং আমাকে মদীনা হতে নিয়ে গিয়ে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিলো। তারপর আমি এক ধমক শুনলাম, যার ফলে জান্নাতে হৈ চৈ পড়ে গেল। আমি চক্ষু উঠিয়ে তাকালে অমুকের পুত্র অমুক, অমুকের পুত্র অমুককে দেখতে পাই।” এভাবে স্ত্রীলোকটি বারোটি লোকের নাম করেন। এই বারোজন লোকেরই একটি বাহিনীকে মাত্র কয়েকদিন পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। মহিলাটি বলতে থাকেনঃ “এ লোকগুলো আতলাস (সাটিন) কাপড় পরিহিত ছিলেন। তাঁদের শিরাগুলো ফুটতে ছিল। নির্দেশ দেয়া হয়ঃ তাদেরকে নহরে বায়দাখ বা নহরে বায়খে নিয়ে যাও। যখন তারা ঐ নদীতে ডুব দিলেন তখন তাদের চেহারা চৌদ্দ তারিখের চাঁদের মত চমকাতে থাকলো। অতঃপর তাদের জন্যে সোনার থালায় খেজুর আনয়ন করা হয় যা তারা ইচ্ছামত খেলেন। তারপর নানা প্রকারের ফল-মূল তাঁদের কাছে হাযির করা হলো যেগুলো চারদিক হতে বাছাই করে রাখা হয়েছিল। এগুলো হতেও তাঁরা তাঁদের মনের চাহিদা মত খেলেন। আমিও তাঁদের সাথে শরীক হলাম ও খেলাম।” কিছুদিন পর একজন দূত আসলো এবং বললোঃ “অমুক অমুক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন যাদেরকে আপনি রণাঙ্গনে পাঠিয়েছিলেন।” দূতটি ঐ বারোজনেরই নাম করলো যে বারোজনকে ঐ মহিলাটি স্বপ্নে দেখেছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঐ সতী মহিলাটিকে আবার ডাকিয়ে নেন এবং তাঁকে বলেনঃ “পুনরায় তুমি তোমার স্বপ্নের বৃত্তান্তটি বর্ণনা কর।” মহিলাটি এবারও ঐ লোকগুলোরই নাম করলেন যাদের নাম ঐ দূতটি করেছিলেন।রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “জান্নাতী ব্যক্তি যেই ফল জান্নাতের গাছ হতে ভেঙ্গে আনবে, সাথে সাথে ঠিক ঐরূপই আর একটি ফল গাছে এসে লেগে যাবে।রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ জান্নাতের পাখী বড় বড় উটের সমান হয়ে জান্নাতের গাছে চরে ও খেয়ে বেড়াবে।” এ কথা শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! তাহলে ঐ পাখী তো বড় নিয়ামত উপভোগ করবে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “যারা এই পাখীর গোশত খাবে তারাই হবে বেশী নিয়ামতের অধিকারী।” তিনবার তিনি একথাই বলেন। তারপর বলেনঃ “হে আবু বকর (রাঃ)! আমি আশা করি যে, তুমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে যারা এই পাখীগুলোর গোশত খাবে।
একদা নবী (সঃ)-এর সামনে ‘তৃবা বৃক্ষের আলোচনা হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “হে আবু বকর (রাঃ)! তৃবা বৃক্ষ কি তা তুমি জান কি?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) ভাল জানেন।” তখন তিনি বললেনঃ “এটা হলো জান্নাতের একটি বৃক্ষ যার দৈর্ঘ্য ও বিস্তৃতি যে কত তা একমাত্র আল্লাহই জানেন! এর এক একটি শাখার ছায়ায় একজন অশ্বারোহী সত্তর বছর ধরে চলবে তবুও ওর ছায়া শেষ হবে না। ওর পাতাগুলো খুবই চওড়া ও বড় বড় হবে। ওর উপর বড় বড় উটের সমান সমান পাখী এসে বসবে। তার একথা শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! তাহলে তো এই পাখী বড় রকমের নিয়ামতের অধিকারী হবে?” জবাবে তিনি বলেনঃ “এই পাখীগুলো অপেক্ষা বেশী নিয়ামতের অধিকারী হবে এগুলোকে ভক্ষণকারীরা। আমি আশা করি যে, তুমিও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) কাওসার' সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেনঃ “এটা হলো জান্নাতী নহর, যা মহামহিমান্বিত আল্লাহ আমাকে দান করেছেন। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। এর ধারে বড় বড় উটের সমান পাখী রয়েছে। তখন হযরত উমার (রাঃ) বলেনঃ “তাহলে তো এ পাখীগুলো বড়ই নিয়ামত উপভোগ করছে?" উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “এগুলোকে ভক্ষণকারীরা এগুলো অপেক্ষাও বেশী নিয়ামতের অধিকারী হবে।রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “জান্নাতে একটি পাখী রয়েছে যার সত্তর হাজার পাখা আছে। পাখীটি জান্নাতীর দস্তরখানে আসবে। প্রত্যেক পাখা হতে একপ্রকার রঙ বের হবে। যা দুধের চেয়েও সাদা, মাখনের চেয়েও নরম এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। তারপর দ্বিতীয় পাখা হতে দ্বিতীয় প্রকারের রঙ বের হবে। এভাবে প্রত্যেক পাখা হতে পৃথক পৃথক রঙ বের হয়ে আসবে। তারপর ঐ পাখীটি উড়ে যাবে।জান্নাতী যে পাখীর গোশত খাওয়ার ইচ্ছা করবে ঐ পাখীর গোশত রান্নাকৃত অবস্থায় তার সামনে চলে আসবে সে যত চাইবে যে বাহুর গোশত পছন্দ করবে, খাবে। তারপর ঐ পাখী উড়ে যাবে এবং যেমন ছিল তেমনই হয়ে যাবে।এ সব নাজ নিয়ামত দেয়া হবে দুনিয়াতে সে যে নেক আমল করেছিলো এ জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন