হান্নান কবিতাবলী



          অবশেষে
  আব্দুল হান্নান
ভ্রমের মহা ভাবনায় ক্লেদাক্ত নতশীর
অতিত অন্ধ ভ্রম আবেগ, ঝরায় আঁখি নীর
গুটি গুটি নব উঠন্ত লোম বয়সের আবেশে
অন্ধ ভ্রমে পড়েছিনু যত নফসের খাহেশে
রাজারে বানিয়ে প্রজা চলেছি এ জিন্দেগী
 জীবন ভরে করেছি ‍আমি তাগুতের বন্দেগী
পৌঢ়ের শুভ্রলোম আর স্নায়ুর ক্লান্তি
খুলিল রঙ্গিন চশমা কাটিল মহাভ্রান্তি
ক্লেদাক্ত অস্থিজোড় আজ দিচ্ছে মোরে ডাক
তুমি থামো তুমি থামো দিয়োনা মোরে হাক।
কিশোরের কলতান যৌবনের মহাগান সবই আজ স্মৃতি
অলখ্খে ডাকিয়া কহেমোরে আসছে এপারের ইতি
নিদ্রাতে গুজরাইল র্অ্ধ জীবন                                                 এখন সামনে দেখি শধুই মরন।
কোথায় আমার বন্ধু বান্ধব কোথায় আপনজন?
সবার চোখে কেমন যেন আমি বিয়োজন
বুকের শ্লেষ্মা মুখের কাশি আর থু থু
সবার কাছে আমি ঘৃনার এক হু হু
ভঙ্গ দাঁতের চর্বনে সৃষ্ট ফেলি যখন পিক
নাক শিটকায়ে অতি আপনও দেই তখন ধিক
দিশিবিসি না পেয়ে যায় বাশের মাচাঙে
যুবক কিশোরেরা কথাবলে কত বঙে চঙে।
কোথাও হয়না মোর একটু যেন ঠায়
তিন পায়ে মসজীদে যায়।

  ব্যর্থ লেখা  
         হান্নান
তুমি কার বিরুদ্ধে লিখবে বিদ্রোহী কবিতা
শেষ করতেপারবেনা তোমার রচনার পাতা
মানবের সাথে মানবের হয় বিদ্রহীতা
দানবের সাথে মানবের হয় হিংস্রতা
দুপায়ের আকৃতি হলেই হয়না মানব,
শুধু পশু বেশেই থাকলে হয়না দানব
বিংশ শতাব্দীর পরের মানব মেলা
এ যেন এক হিংস্র হায়নার শিকারধরা খেলা
এরা উন্মত্ত নিজ স্বার্থের বিভরে
আদব শিষ্টাচার নাই তাদের তরে
তুমি কী বলবে আর কী লিখবে তাদের নিয়ে,
তোমার লেখা শুধু লেখায় থাকবে
যাবে ওরা বেদনা দিয়ে
পৃথিবী বাসীর জন্যে এ এক বেদনা দায়ক নৈরাশ্য
অকালকুমান্ডে হারালো কত নব ফুল
তাও ভাঙ্গলনা ওদের খেয়ালের ভূল





মুক্তিদাও
আর কত মায়ের কোল তোমরা খালী করবে ?
মায়ের আর্তনাদে আকাশ ভারী হয়ে আসছে,
গজবের গর্জ্ন যেন মোদের পাছে।
মাতোয়ারা হয়ে তবু কি করবে উল্লাস ?
মনে রেখো এটা ক্ষনিকের বিধাতা অবকাশ।
যখনি পৌছাবে পাঁপের প্রান্ত সীমায়,
বিনা কারণেই তখন হয়ে যাবে লয়।
আর রক্তে রন্জিত করোনা রাজ পথ,
এখন একটু ধরো মানব মুক্তির রথ।
রাজনীতির অন্তরালে চলছে যেন বিশ্বব্যাপি মেলা,
অস্ত্র ব্যাবসার নামে চলছে মানব মারা খেলা।
আমি কেমনে বাঁচাবো বিংশ শতাব্দীর সোনামণিদের?
কোন ভাষায় বোঝাব রাজনীতির ধ্বজাধারীদের।
কে বাঁচাবে আমার নব প্রজন্মের গোলাপ কুড়ীদের ?
কে রক্ষা করবে নির্যাতিত নিপিড়িত নারীদের ?
আর শুনতে চায়না মোরা অস্ত্রের ঝনঝনানী,
বানাতে চাই বিশ্বব্যাপি শান্তির কলোনী।
অশান্তি ছেড়ে শান্তির পথে সকলে ফিরে যাও,
ধ্বংসের পথ হতে দুনিয়া বাসীকে মুক্তি দাও।



            
                                                 
                       ফেরাউন                          
হান্নান
মিশর দেশে ছিল এক বড় নাফার মান
গোরস্থানের দারগা তাই বড় অতিমান
গোরস্থানে মুর্দ‍া গেলে তবেই কড়ি পাই
সেই কড়িতে কোন মতে সংসার চালায়
এক মড়কে লাখে লাখে মানুষ ম্যোলো ভাই
দারোগার এবার আর খুশির সীমা নাই
রেট বাড়ালো মুর্দা নিল
কোটি টাকার মালিক হলো
রাজার হাতে হাত মিলালো
উজিরের ভার বুঝে নিল
কদিন পরেই রাজা মলো
দারোগা এবার ফেরাউন হলো
ফেরাউনের কারবার বুঝা অতি ভার
কদিন পরে করলো দেখি খোদা দাবীদার
ঐ যামানায় ছিল আবার মুসা অবতার
নির্দেশ নামা দিলেন প্রভূ মুসারে
অতিব ত্বরা যাও ফেরাউন দরবারে
শতবার বুঝায়েও বুঝ মানেনা
নিজেকে ছাড়া কারো খোদা মানেনা
বিদ্রোহ করলো সে মুসার সাথে
আবশেষে ডুবে মলো নীল দরিয়াতে


   বি®‘র প্রতি আহবান
হান্নান
হে বিশ্ববি‘ ‘¡নে পৌঢ় পর্ব্ত সম ‘¡নীরা 
হে পুস্তক পঠি সত্তাবিশ্লেষক আত্ম ধারীরা
একটু মস্তক উঠায়ে নেত্র ঘুরাও বিশ্ব ধরনীতে
দেখবে এ ভূবন ছেয়েছে রাক্ষশ পুরিতে
মানবের খুন নিয়ে চলছে যেন তমাশার এক খেলা
নিঃশেষ হতে চলেছে হে ‘¡নী আর নাই যে বেলা
তবে কি শেষ হয়ে যাবে মানবতার পদচিন্হ
ফিরে কি আসবেনা আর শান্তির মধ্যাহ্ন
বিশ্ব ব্যাপি চলছে মানবতার নির্ম্ম পরিহাস
নির্যাতন আর নিপিড়নের যেন এক কালো ইতিহাস
তোমাদের একটু পরিকল্পনা আর নিঃস্বার্থ্‌ই এখন সম্বল
একটু করুন হও মানবতার প্রতি দেখাইওনা আর বাহুবল
শান্তির নামে যে সংঘ করেছ একটু রাখ তার মান
বড়রা করোনা ছোটদের প্রতি ব্যাঘ্রের অভিমান
ওরা কোথায় যাবে এ ছোট্ট পৃথিবী ছেড়ে
আর নিওনা তোমরা ওদের জীবন কেড়ে
তোমরা জাতীর হোতা নেতা সবাই মানে তোমাদের কথা
তোমরা একটু বলেদাও আর দিওনা মানবকে ব্যাথা
হারানো ব্যাথায় শত কোটি মায়ের ঝরছে আখি নীর   
কেউবা হচ্ছে কোর বানীর গরু কেউবা বলছে আমি বীর
হে বি‘ শান্তির পথিকৃৎ হয়ে এগিয়ে আসো
জঞ্জাল মুক্ত করার প্রয়াসে ধরনীকে ভালবাস
শান্তির পয়গাম তুলে ধরো বিশ্বের দ্বারে দ্বারে
আশার বাণী পৌছিয়ে দাও মজলুমের ঘরে ঘরে



  বিজয় সংগীত
             হান্নান
       বিজয় বিজয় নব ধ্বনি 
              গাইব আমরা বিজয়ের গান
       আকাশে বাতাসে কলরোল ধ্বনি
            গাইবে বাঙালী বিজয়ের গান
রক্ত তরংগে ভাসিয়ে ভেলা
                  এসেছিগো বাংলার বুকে
            আজ হতে রবে কোটি মানবের
                    হারানো হাসি মুখে
              রক্তের ফোটায় ফুটেছে আজ
                 লাল গোলাপের বাগান
                 বৃদ্ধ বনিতা শিশু কিশোর
           সবে গাইবে বিজয়ের গান
           পদতলে লাwÂত হয়েছে যত শয়তান
        রাজা বাদশাহ কুলি মজুর নাই আজ ব্যবধান
           উল্লাসেতে বলি সবে মোর একসমান
      হাতে হাত ধরে আজ গাইব সবে বিজয়ের গান



             ওপৃথিবী
             হান্নান
   শুন্য আকাশের নীচে প্রকৃতির শোভা কত সুন্দর 
   মনে হয় কত   পবিত্র বার বার দর্শিতে হৃদয় আনন্দপায়
   সত্যই পবিত্র মরোরম নির্ভূল সৃষ্ট এই পৃথিবী
  আমরা অধম কাংগাল পারিনা তাকে মুক্ত রাখতে
  তাই আমাদের পাপে পাত্রস্থ পৃথিবী হয়েছে পশান্ড
  এ আমাদের অপমান কলংক কুচক্রী লারসার ফসল
  মোহের অন্ধে নিপতিত গোটা পৃথিবী
  অলক্ষে উন্মাদ পাগলা ঘোড়ারা তছনছ করে ছুটে চলছে
  পাগলা কুকুরের দল পিছু ধেয়ে আসছে
যেন ঠেলে দিচ্ছে সিংহের মহা গর্জ্ন মুখে
কেন হে পৃথিবী বলে দাও তুমি যে নিঃস্পাপ
ঊষা গধুলীর মালিক কি দেইনি তোমার সে শক্তি
তবে কেন পরাস্থ হচ্ছেনা কুচক্রী শয়তান দল।
আমরাতো টিকতে পারছিনা তাদের সমর সমারোহের স্বমুখে
আমরাতো তাদের মুখের গ্রাস ক্ষুধিত খাদ্য
মুক্তি কি দিবেনা হে পৃথিবী আমাদের ?                                                                    না না তুমি কলংক,তুমি ধ্বংস,তুমি ‍অপমান
তুমি স্বার্থের তুমি রাজ প্রাসাদের হুংকার
     তুমি আমাদের নও, আমরা তোমার অপবাদ 
     বুঝেছি আমরা তোমার বুকের ময়লা
   আমরা শুধু অপমানের অতিথি,রাজী নই থাকতে
    তোমার বুকে হে পৃথিবী।

অবিশ্বাসী
          হান্নান
হে পৃথিবী বলে দাও, তোমার বুকের মানুষ কেন অবিশ্বাসী ?
কেন এত সংশয় আর মায়া জড়ানো কাঁন্না ?
কেন এত করুনার সুর আঁখি ভরা জ্বল তরঙ্গ ?
দাওনি কি তুমি জীবন সহাহ্নে একটু ঠাই ?
দাওনি কি জীবনের পূর্নতা?
তবে কেন এত অবিশ্বাসী ?
কেন তোমার বুকে এত উত্থান পতন ?
কেন এত ধ্বংসের দামামা ?
মানুষ কেন এত অবিশ্বাসী? মেনে নিতে পারেনা,
তার ধরনীর আদর্শকে।
কেন তারা অবিশ্বাস করে মহামহিম দাতাকে ?
মানতে পারেনা আদির্শ্ বাদী মানুষকে।
বিশ্বাস নামের বস্তুটি কি তাহলে হারিয়ে যাবে ?
আজ পিতার বিশ্বাস নাই সন্তানের প্রতি,
সন্তানের বিশ্বাস নেই পিতার প্রতি।
স্বামী বিশ্বাস করতে পারছেনা স্ত্রীকে,
স্ত্রী বিশ্বাস করতে পারছেনা স্বামীকে।
জনগণের বিশ্ব‍াস নাই সরকারের প্রতি,
       সরকারের বিশ্বাস নেই জনগণের প্রতি। 
আর এটাই বাস্তবতার নিরিখে মহা সত্য।।
অবিশ্বাসের মহা বন্ধনে আবদ্ধ আজ ধরনী।
দেশে দেশে ধ্বংস লীলা যুদ্ধ জিঘংসা,
সন্ত্রাস রাহাজানী আর মানব হত্যা।
আর্ত্ মানবতার প্রতি যুলুম অত্যাচার।
সবের মূলে রয়েছে অবিশ্বাস।
গায়ের রং হোক যতই ভিন্ন ভিন্ন
ভিতরের রং সবার সমান,
বিধাতাই দেন সবার অন্ন
সবে মোরা এক সমান।
হে মানব তবে বিশ্বাসে কেন ব্যবধান ?
কারণ আজ একটাই,
যে জন গড়িয়াছে যে যে যন্ত্র,
সে ই দিয়েছে তা চালনার মন্ত্র।
ভেবে কি দেখেছ হে মানব?
তুমি তো নও কোন দানব।
পাঠিয়েছে তোমাকে যে বিধাতাই,
তুমি কি চলছো তার ইশারাই ?
কোন শয়তানের হাতছানী করেছে তোমাকে গ্রাস,
কারো প্রতি নাই কেন তোমার বিশ্বাস ?
যতই সাজো তুমি মহাসন্যাসী,
সফল হবেনা হলে অবিশ্বাসী।

 

  বাংলার পতাকায়
  হান্নান
           বাংলার পতাকায় দেখা যায় কিরে ? দেখ দেখ চেয়ে,
রক্তে রন্জিত সংগ্রামী ভায়েরা আছে যে, ওতে শুয়ে।
মনে হয় যেন নব শস্যের মাঝে উদিত নব রবি,
না না সে তো রবি নয় শহীদি ভাইদের প্রতিচ্ছবি। 
ও যে সন্তান হারা মায়ের চোখের বেদনা বিদুর জ্বল,
ধরেছি ওকে ধরনী বুকে করেছি রক্ত বদল।
আ হা সোনার ভায়েরা কোথায় তোমরা এই তোমাদের ছবি,
লুকিয়ে আছ বুঝি বাংলার পতাকায় রক্ত মেখে সবি ?
কাঁদিতেছে সেই দুখিনী মাতা বল কত দেব সান্তনা ?
পতাকা থেকে নেমে এসে একবার ঘুচাও মায়ের যন্ত্রনা। 
ঘরে ঘরে আজ তোমাদের নাম ওহে সংগ্রামী নিশান,
সবুজের মাঝে লাল হয়ে বুঝি দিয়েছ মহা প্রান।
ক্ষমা করে দিও সোনার ভায়েরা কত করি তোমাদের অপমান,
নাড়ী ছেড়া ধন তোমরা মোদের করি যেন সদা সম্মান।
ধন্য ধন্য জীবন তোমাদের ধন্য সে মায়ের উদর,
ধন্য তোমাদের শহীদ ধন্য মহা সমর।।








           ছোট্ট মণি
হান্নান
    ছোট্ট মণি মান করোন,
           রাগ করে পথে যেওনা।
           সব সময় থাকবে বাড়ী,
           নইলে চাপা পবে গাড়ী।
           তুমি আমার ছোট্ট সোনা,
           আর যেন রাগ করোনা।
           লেখা পড়া শিখবে তুমি,
           হবে অনেক নামী দামী।
           ভরবে আমার বুকটা,
           থাকবেনা আর দুঃথ টা।।
           আমার মেয়ে হাজেরা,
           অভিমানের পায়রা।
           ছোট্ট কথায় রাগ তার,
           কে তারে বুঝাবে আর।
           দাদীর বাড়ী নানী বাড়ী,
           শুধু করে গড়াগড়ি
           মাথায় বাধে টাইরা
         যেন সাধের পায়রা                                                      
        যেতে চাই রাস্তায়,
          তাই লিখলাম কবিতাই।।
 
মনে থাকবে
             হান্নান
দীর্ঘ্ দিনের পরিচয়ে মিলেমিসে ছিলাম সবে                          
খোদার কাছে দোয়া মাঙ্গি সকলে সুখে রবে
     দুদিনের পরিচয়ে মনে হয় যেন সবে মোরা ভাই ভাই
     কর্তব্যের তরে ছিন্ন হয়ে সবাইকে যেতে                            
     ভূলবনা কোন দিন স্মৃতীর পাতায় থাকবে এই নাম
     সকলে আমার শ্রদ্ধার পাত্র জানাই হাজার ছালাম
     জানি বিদায়ে দিতে য় কিছু তবু দিতে পারি নাই
দিলাম শুধু ভালবাসা প্রেম এছাড়া কিছু নাই                        কথার মাঝে ভূল করে যদি কোন ব্যাথা দিয়ে থাকি
     ভূলের ক্ষমা চাব চীরকাল এটাই আমার বাকী
     প্রতিদিন সকালে বিকালে হাওয়া খেতে যেতাম বাগানে
     আমদের মাঝে সবুর ভাইয়া থাকতো কোন সন্ধানে
     দুরুল ভায়ের মুখের কথা শুনলে মধুর লাগে, 
     আনোয়ার ভাই মজার গল্প শুনাত তার ফাঁকে।
     নিরবে থাকত চুন্ন ভাইয়া অতি শান্ত হয়ে,
     ভূলিব কেমনে এই স্মৃতি ‍আজ দুঃখ যে,যায় বয়ে।
    শান্ত সুষ্ঠ ন্যায়ের কথা শুনাতেন যিনি বারে বার,
    ওহাব ওস্তাদ নামটি তিনার ছালাম হজার বার
    মনে যদি হয় ছোট ভায়ের কথা কভু একদিন,
    দোওয়া করবেন সবার কথা মনে থাকে যেন চীরদিন।।






   নিবেদন
হান্নান
   শোনহে ‍আমার সোনার ভায়েরা ছোট্ট একটি নিবেদন 
    দীর্ঘ্ দিনের পরিচয়ে হয়েছে ভাতৃত্বের বন্ধন                      
    হাসিও ‍আঘাতে কাটিয়েছি মোরা দীর্ঘ্ কটি দিন 
স্বরণ থাকবে সকলের কথা ‍‌আমার চীরদিন 
  আজকে সকলের বন্ধন কেটে যাচ্ছি আমি চলে
      একটি কথা বিদায়ের বেলা যাচ্ছি শুধু বলে 
সদা সর্বদা রাখিবে স্বরন করিবে স্রষ্টার গুণগান          
     কাজের শুরুতে নাম নিবে তার হবে না কভু অপমান 
     শান্তি যদি পেতেচাও মনে, পড়বে নামাজ জামাতে, 
     শান্তির লেশ দেখিবে তুমি সে দিন প্রথম প্রভাতে। 
     জীবনকে কখনো দিবেনা ফাঁকী মনে রাখবে চীরদিন,
     হা হুতাশ আর অশান্তি তাহলে আসবেনা কোনদিন।
      সৃষ্টির সেরা মানবের মনে কখনো দিবেনা ব্যাথা,
     কারো অগোচরে কোনদিন বলবেনা কোন কথা।
     কারো উপকার যদি নাও করো অনিষ্ট করোনা,
      সৃষ্টির প্রতি দয়া করতে কভু ভূল করোনা।।















     মুক্ত করো
                  হান্নান
শুকিয়েছে আখি জ্বল শুন্য মায়াবী অন্ত 
হারিয়েছি আজ শক্তি খুজি জীবনের সীমান্ত  
‍অসহায় হয়েছি অর্থের তরে প্রতিবাদে তাই ক্ষ্যান্ত 
কাপুরুষ কাপুরুষ নাই আজ প্রতিবাদের অন্ত  
না না নহি অসহায় খোদা সহায় তবে কেন ভয় 
পাড়ি দেব আজ বিপদ সাগরে হবে জীবনের জয় 
হারানো ধনকে ফিরে পাব জানি নিশ্চয় 
তবেই হবে মহাপুরুষ প্রতিবাদে যার নাই ভয়    
ওহে বাংগালী কেন এত আজ রিক্তের ‍আবেদন 
আদায় করো নিজের অধিকার নিতে শেখ সম্মান 
আজো বেঁচে আছে ইংরেজ শাসন ও বাকশাল   
ছদ্দবেশি ভাবে বাংলার বুকে গড়েছে টাকশাল 
চিন আর ধরো শক্র দলে তাদের করে যুক্ত 
ছদ্দবেশি হাত হতে ‍আজ বাংলারে করো মুক্ত  
স্বাধিনতা নামের ছাফাই গেয়ে করছ বাঙ্গালী নিধন
সোনার ছেলেরা জানবে যেদিন সেদিন তোমার পতন




      বিধাতা না দিলে ১৪
হান্নান
  ছোট্ট একটি ভাংগা ঘরে বাস করে দুইজন
আষাঢ়ের বৃষ্টি তখন পড়িতেছে ঝণঝন
হৃদয় জুড়ে বহে সদা কাঁন্নার ঝংকার
দুঃখ তাদের জীবন সাথি সুখ করে পরিহার
বালিশ ভেজে কাঁথা ভেজে সাথে বাশের মাচা
ভিজবেনা আর মরনের পর থাকবে শূন্য খাচা
শিমুল তলীর ছোট্ট ঘরে দুঃখ বয়
চোখের জলে ভেসে ভেসে দুইজনেতে রয়
অপবাদের অনল শিখায় দগ্ধ দুটি প্রাণ
স্বার্থের মোহে আপন জনেরাও করে অপমান
প্রলয়ের ডংকা যেন সদয় ধেয়ে আসে
তবু আছে দুজন দুজনের পাশে
কর্ম্ জীবনে হয়নি সুখি পায়নি পূর্নতা          
  বিধাতা না দিলে কভু পাইনা স্বাধিনতা


পাহাড়ী বনানী ১৫
হান্নান
   ওহে বাংলার স্বর্ন্ শিখর পাহাড় ও পর্ব্ত
তোমার তলে দেখি যেন আজ স্বর্গের শরবত
         তাপিত হৃদয়ে পেয়েছি তোমাকে মিটাব মনের পিপাসা
বৃþ লতায় আবৃত তুমি বাংলার নব ভরসা
পাহাড়ী বাংগালী সবে মিলে আজ গাহিছে তোমার গান
ইতিহাসের পাতায় হয়ে থেকো তুমি মহা সম্মান
তোমার বুক থেকে তাকিয়ে দেখি নব বৃþ বাগান
উচু নিচু হয়ে গাহিছো মথুর বিধাতা নামের গান
পাহাড়ী বালিকারা দল বেধে চলে কাস্তে কোদাল নিয়ে
পাট্টা পরে পাড়ি দেই তারা গুন গুনিয়ে গান গেয়ে
তোমার বুকের বাঁশ বৃþ তন্নী তরুলতারাজি
সকলে মিলে আনছে যে তা উল্লাসে সাজাসাজি
মাতৃ হৃদয়েযর গৌরব তুমি ধন্য তোমাকে পেয়ে
ছায়ায় ভরা স্বর্গের সুখ বাংলাকে দিয়েছ দিয়ে
তোমার সকাশে গড়েছে শিবীর বাংলার সেনা সমাহার
রণ তরঙ্গের পূর্ন্ কৌশল আর দিয়েছ নির্যাস সার
আলু আর অটল টিলাতে দাড়িয়ে দেখেছিলাম নীচু চেয়ে
আলু টিলার নীচুতে গেছে চেঙ্গি নদী বয়ে


     দ্বার খুলে দাও ১৬
               হান্নান 
চতুর দিকে মর্ম্র কাঁন্নার সুর ভেসে আসে 
জানালা খুলে তাঁকিয়ে দেখি পিপাসিত যুবক 
স্বাধীনতার রক্তমাখা জামা গায়ে বুকে গুলি বিদ্ধ 
কন্ঠে হুংকার কোথায় আমার জননী কোথায় বাংগালী 
হাতে হাতিয়ার কোমর বাঁধা গুলি যেন ক্ষিপ্র ব্যাঘ্র 
রক্তের তরঙ্গ পাড়ি দিয়ে ফিরেছে মায়ের কোলে 
কিন্ত কোথায় পিতা মাতা ভাই বোন 
কালো রাতের আঁধার নিঃশেষ করেছে শক্র সেনা  
লুন্ঠন করেছে নির্বি্চারে মা বোনের চরিত্র   
সাহসার বাণী মুখে দিয়ে পিতাকে করেছে হত্য‍া 
তারা কোথায় বল তারা কোথায়া আর সইতে পারি না 
সেজেছি আজ রিক্তের কাংগাল পথের ভিখারী 
স্বাধীনতার দায়ে হারিয়েছি জীবনের গান 
কোথায় সে শক্র সেনা দাও দ্বার খুলে দাও 
করিব হত্যা রক্ত পান করে মিটাব তৃòv
দাও দ্বার খুলে দাও 



  ওগো জননী        
হান্নান 
ওগো সোনার জন্মভূমী রেখেছি মাথা তোমার বুকে 
মাতৃস্নেহে রেখেছ তুমি তাইত আছি মহা সুখে 
কোথায় তোমার সংগ্রমী জনতা 
কোথা আজ সেই স্বাধীনতা 
তাদের বিহনে হারিয়েছি মোরা আমাদের বৃþ মুলে 
শোষন করছে আমাদের তারা ভাসিয়ে নদীর জ্বলে 
      ও আমার মাতৃভূমী সদয় আছো মা আমাদের তুমি
      দাও না আমাদের প্রতিবাদ শক্তি সম অধিকারে আনিব আমি  
মানবের অধিকার দানিব মানবকে 
সহায় থাকবে খোদা তুমি 



   দাও খোদা
হান্নান
তুচ্ছ করি কলুষিত নির্ম্ম পৃথিবীকে,
পদাঘাত করি লাঞ্চিত কলুশিত সমাজকে।
যে পৃথিবীতে ‍আছে লাঞ্চনা আর গঞ্জনা্‌।।
যে সমাজে আছে অপমান নৈরাজ্যতা
যে পৃথিবীর বুকে আছে শুধু যন্ত্রনা
অপমানিত সেই সমাজ
যে সমাজ ভূলেছে তার বিধাতাকে,
যে সমাজ ভূলেছে পবিত্র কোরাআনকে
যে সমাজ অপমানিত করেছে নবীর আদর্শকে,
আমি সেই সমাজ, সেই পৃথিবীকে দেই অপবাদ,
আমি সেই পৃথিবী চাই,
যেখানে আছে আল্লাহর নাম
আমি ঐ সমাজ চাই
যেখানে আছে রাসুলের আদর্শ॥
আমি ঐ পৃথিবী চাই যেখানে আছে
শুধু শান্তির নিকেতন
আমি ঐ সমাজ চাই যেখানে নাই কোন
দ্বিধা সংকোচ নাই কোন সন্ত্রাসী
দাও খোদা আমাকে সেই পৃথিবী
দাও হে খোদা আমাকে সেই সমাজ




   দাও আমাকে
                     হন্নান
আমি একাই থাকি, একাই থাকবো,
একা এসেছি একাই যাবো।
আমি চাইনা সঙ্গময়ী কোন জীবন,
আমি চাইনা কারো করুনার ভূবন।
কেন উৎতপ্ত আমার জীবন,
ভেঙ্গনা আমার ভাব্য ভূবন।
আমাকে নিঃসঙ্গ থাকতে দাও,
আমাকে বার বার ভাবতে দাও।
আমাকে একা থাকতে দাও,
বিধাতার মধুর পিয়াস নিতে দাও।
সবই শূন্য কেমন যেন অসহায়,
জানিনা নেমে আসে কোন দুর্জয়।
আমাকে একা থাকতে দাও,
ভাবার মত কিছু ভাবতে দাও।
হয়তবা ভাববে আমি নিষ্ঠুর পাষান্ড,
আমি উৎতপ্ত আমি বরফের কান্ড।
আমি পর্বতের কৃষ্ট পাথর,
জলহীন নয়নের পাতা,
দাও আমাকে একা থাকতে,
দাও আরো কিছু ভাবতে।।



    কেন অবিচার ২০
                       হান্নান
মানুষ কত নিস্ঠুর মানবীন প্রতি নির্ম্g অত্যাচার।
খবরের কাগজ আর টেলিভিশনের পর্দার বাস্তব চীত্র,
কখনো কখনো মনকে করে উশৃংঙখল।
আবার গভীর ভাবে যথন ভাবি ,                                             
তখন নিস্তব্ধ হয়ে যায়
জীবনের সব আবেগ।            
  সুন্দর সুন্দর রূপরানীদের মুথে এ্যাসিডের উৎতপ্ত চিত্র,
ঝলসে দিয়েছে তার জীবনের স্বপ্ন।                    
কখনো অপহরনে ধর্ষিত হয়ে মস্তিস্ক বিকৃত।
কখনো বা উদামের দাবানলে দগ্ধ হৃদয়।
হে জাতী একবার কি ভেবে দেখেছ ?
কেন এ করুন দৃশ্য ?
নারীদের প্রতি কেন এ নির্ম্g অবিচার ?
হে জাতী আমি জানি তোমরা এর উত্তর পাবেনা।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নগ্ন দংশনে,
জাতীর বিবেক আজ বিষাক্ত।
অপসংস্কৃতি বন্ধনে জাতীর বিবেক আজ বন্দি।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি মানবকে করেছে স্বার্থপর,
আর কামাসক্ত।
তাই সে ভুলেছে বাংগালী মাতৃত্বের সম্মান।
এরকম নারীর গর্ভেই তার জন্ম।
সে কি ভাবে অবিচার করে এই মা জাতীর প্রতি ?
আমি এর কিছু কারণ খুজে পেয়েছি
হে জাতী মনি মুক্তা স্বর্ণ্ রাজী কি
সদা উন্মুক্ত করে ফেলে রাখা যায়?
যা শোভা বর্ধন করে শুধু নারীর অংগে
দোকানে সাজানো থাকলেও থাকে খুব সাবধানে
শুধু ক্রেতাদের দর্শনের জন্য
সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেলে হামলা করতে মোটেও দেরী করবেনা
মণি মুক্তার বিধান তাকে সাবধানে গোপনে রাখতে হবে
নারীর বিধান সে পুরুষের আকর্ষনের পাত্রী
তার শরীরটাই আকর্ষনের
নারীকে কাছে পাবার ইচ্ছাই পুরুষের কাম্য
হোক তা বিধানগত অথবা অবৈধ
যারা প্রকৃত মানুষ তারা না হয়
নিজেকে সংযত রাখল
কিন্ত ডিশ এ্যান্টিনার নগ্ন চিত্রে দংশিত যুবকটি
সে তো এ সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা
অর্ধ্ নগ্ন এক নারীকে দেখে সে কি ভাবে 
ঠিক থাকবে
সে করবে প্রেম নিবেদনের আবেদন
না শব্দ উচ্চারিত হলে নিবে অন্য পদক্ষেপ
হয় অপহরণ না হয় এ্যাসিড নিক্ষেপ
এই যুবককে কে বানালো উত্তেজিত
এই নারীকে কে শিখালো এমন পোষাক পরতে
জানি ঘুনে ধরা জাতী এর উত্তর পাবেনা
মহামহিমের বিধানকে অবÁv করে
যারা জাতীর ঘাড়ে এই নগ্নতা
আর পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চাঁপিয়ে দিয়েছে
তরাই এর জন্য দায়ী
আর এই পাগলা কুকুরদের যারা 
অনুকরন করে তারা দায়ী
এর জন্য দায়ী এ সমাজকে যারা
পরিচালনা করছে
কোনদিন যদি হতো এর বিচার
তাহলেই হবে এর প্রতিকার
যাদের কারণে মানবতার প্রতি
এত নির্মম অবিচার




     ঝরাফুল
হান্নান
অজানা দুপরের ঝরা ফুল
তাকে চিনতে করোনা ভূল
নিওনা তোমার কমনীয় হাতে
নিঃস্ব হবে জীবন প্রভাতে
সে সমুদ্রে ভাসা জোয়ারের ফেনা
দূর অতিথি তাই তাঁকে চিননা
না চিনে যেন মুক্তা ভেবনা
তোমার সুন্দর আঁচলে নিওনা
বিলীন হয়ে যাবে নিমিশে
কষ্ট পাবে তুমি হৃদয় সকাশে




  ওরা পাশান্ড শয়তান ২২
                  হান্নান 
ধিক্কার দেই পাশ্চাত্যের দুপায়া সাদা সাদা চামড়ার নরপশুদের,
মানবতার প্রতি একটু ও দরদ নেই যাদের।
হিংস্র হায়েনা পাগলা কুত্তার বিষাক্ত দন্তের কামড়ের ন্যায়
কামড় দিয়েছে মুসলিমের।
ওরা পাশান্ড জানোয়ার ওদের বুকে নেই মমতা,
ছোট ছোট শিশুদেরও ওরা þমা করেনা,
নির্ম্g ভাবে সবাইকে করছে হত্যা।
পাশ্চাত্যের মুসলমানদের বুক ভরা ব্যথা আর চোখের অশ্রুতে
স্নান হয়েছে বিশ্ব মুসলিম,
শিশু হারা মা স্বামী হারা বিধবার চোখের নীরে
পশু পাখি পর্য্ন্ত কেঁদে ফিরেছে,
তবুও দয়া হচ্ছেনা ওদের মনে।
হে রক্ত চুষার দল আর কত রক্ত চাও ?
বসনিয়া, চেসনিয়া, ইরাক, আফগান, ফিলিস্তিন
সবার রক্ত চুষার পরও তোমাদের তৃষ্না মেটেনি?
গণতন্ত্রের বুলি ছড়িয়ে করছো মুসলিম নিধন,
তোমাদের উপর কথা বললেই করছো তাদের পতন।
তোমরা কি বিশ্ব জয় করতে চাও ?
অত্যাচারী বেশে তা কখনো পারবেনা।
বরং বিশ্ব ইতিহাসে তোমরা পাশান্ড,
পাশান্ডই হয়ে থাকবে।।



 বাংগালী সব ভাই ভাই ২৩
হান্নান
দুপুরের রবি কিরণ মালার প্রখর তপ্তময়ী শক্রুর অবিচার,
কলংকের দাগ মোচন করিতে মুক্তিরা আসিল দুর্বার। 
শত শত মায়ের নয়নের মনিরা করল তাজা রক্ত দান, 
রক্তের বদলে পেলাম মোরা স্বাধীন এক বাংলা নিশান।   
পরাধিনকে আমরা স্বাধীন করেছি বন্দিকে করেছি মুক্ত,
ধনী গরীব রাজা প্রজা একই বাঁধনে যুক্ত।
বাংলার একতা স্বাধীনতার জয় দেখিয়া দেশোদ্রহী,
কি ভাবে তা পতন করিবে ভাবে বসি বসি।
তারা বাংলার বিদ্রহী তারা দেশের শক্র,
তারা কারা ? তারা কর্ম্কর্তার ছদ্দবেশি কিছু মিত্র।  
তারা অবহেলা করে অর্থ্ হীনকে স্বাধীনকে রাখে পরাধিন,   
তারাই কা পুরুষ যারা থাকে তাদের অধিন। 
পরাধিন যদি থাকবো তবে করলাম কেন রক্ত দান ? 
এরা কি খোদা না দেবতা ? তাই এত সম্মান? 
পাওনা যা নিবে তা অধিক কিছু নয়,
সকলে স্বাধীন কেউ নয় পরাধিন, 
বাংগালী সব ভাই ভাই।
ওরে ও সয়তানেরা ক্ষমতার ভাব দেখাই যারা,
আর করিসনা দেরী তোরা পশু স্ব‍াভাব বদলা ত্বরা।।
আসবো দুর্বার ফিরে আবার নবীন মোরা বিদ্রহী
 ধরবো টুটি মারবো লাথি থামরে ওহে দেশাদ্রহী।।                   
জনমের অনন্দ উপভোগ করো মোদের করে পরাধীন,
তোরা শাসক নয় তোরা শক্র, বাংগালীর করলি শক্তিহীন।



    কবীদের কবিত্ব
                      হান্নান
কবীরা কেবল লিখে যায় কথা, স্মৃতি থাকার তরে,
উপদেশ বাণী আর নিজের নামকে ছড়ায় ঘরে ঘরে।
কতকের কথা লিখে গো তারা নিজেকে বড় করে।।  
কবী আর সাহিত্যিকরা লিখে যায় পাতার পর পাতা,  
প্রকৃতি আর বিধাতার নাম থাকে হেথা।
কবীর সন্ধান কবিত্ব, সাহিত্যিক করে রচনা 
কবিতা আর রচনা নিয়ে কেন কুট আলোচনা ।
প্রকৃতিÑকৃত্তিম কালের গন্ডি, মূল রচনার কথা,
অতীত ভবিষৎ কবীর কল্পনা যায়না কভু বৃথা।।
 গুরুর শিক্ষা
              হান্নান
মহানশ্বরে আসে মানব থাকেনা বুদ্ধি জ্ঞান,
বুদ্ধির পরিচয়ে মানুষ,মানুষকে করে সম্মান‌। 
অন্ধ ভূবনে জ্ঞানের সন্ধানে যায় পাঠশালায়, 
জ্ঞানের পাহাড় হেথায় থাকেন শিþক মহাশয়। 
ভাল মন্দ বিধাতার কথা বুঝাতে থাকেন গৌরবে,
সে তো কভু নহে মহাশয় যিনি সময় কাটান নিরবে।
গুরুর মর্যাদা শিখানোর মাঝে শিþক হলেন তিনি,
শিþক নহে জাতীর দুশমন,ক‡þ বসে ঘুমান যিনি।
শিþকের দান,বড় সম্মান সঠিক ভাবে দিলে,
পাবে নিশ্চয় মহা সম্মান সঠিক শিþv পেলে।
কবীগুরু সাহিত্যিক যত আছেন গেছেন ইহলোকে,
পেয়েছে সকলে গুরুর শিþv তাই পদবী বেঁধেছে বুকে।
চিন্তার ভাবে দেখি একবার কার কত মান,
যাদের শিþvয় হয়েছি বাদশাহ করি তাদের প্রনাম।






             অজানা পথিক ২৬
                      হান্নান
অজানা পথিক চলছে ছুটে জানেনা কোথা তার স্থান
কোন মোহে বিভোর নাই যেন তার হিতাহিত Ávb
সকল বাক পেরিয়ে এখন জীবনের শেষ প্রান্তে
সহসা এখন পড়ছে মনে জীবন ছিল মহা ভ্রান্তে
ইহধামে যেখানেই থাকরে মানব আছে তার এক নিশানা
এমন পথের পথের পথিক তুমি যার নাই কোন ঠিকানা
এমন যায়গাই যাবে তুমি যে জায়গায় নাই সাথি
এমন ঘরে থাকবে তুমি যে ঘরে নাই বাতি
দুনিয়ার মোহে পাগল তুমি এই দুনিয়া তোমার নই
সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে ঐ দনিয়া তোমার হয়
ডইনে মাটি বামে মাটি শুধুই মাটির বিছানা
এমন জায়গায় থাকবে তুমি যার নাই কোন ঠিকানা
মিছিল মিটিং হরতাল বিপ্লব কোন কিছুই চলবেনা
নেকী ছাড়া ঐ জায়গাতে শান্তি কভু মিলবেনা
ছাড়রে পথিক বাহাদুরী করোনা শক্তির খেলা
জীবন শেষে বুঝবে তুমি বসবে যখন মেলা
কোথায় হাটছো কোথায় চলছো কোথায় যাবা চলিয়া
অজানা পথের পথিক তুমি সবাইকে যাবে ভুলিয়া


               ভয় নাই ২৭
হান্নান
পরাধিনতার বাধনে ছিলাম মুক্ত হয়েছি এবার
সবুজ ও লাল পতাকা নিয়ে এসেছি গো দুর্বা্র
জয়ের নিশান উড়িয়ে দেব বদলে বুকের রক্ত দিব
স্বীকার করিনা পরাধীনকে বিজয়কে মোরা মানিয়ে নিব
সত্য সাহস দেখাব মোরা নাই তাতে কোন ভয়
বাংলার মানুষ দেখবে সবাই জয় আমাদের জয়
স্বাধীন রাজ্য পেয়েও মোরা আছি পরাধীনতায় 
পরাধীনকে ‍আমরা অধীন করবো নাই হবে কিছু þয় 
বাংলার মানুষ চেয়ে ‍আছে সদা মোদের দিকে চাহি
বিনিময়ে মোরা তাদের মুখে ফুটাবো মধুর হাসি 
মুক্ত মানুষের মুক্ত করবো কিসের মোদের ভয়
ধরো হাতিয়ার ঝাপিয়ে পড়ো ভয় নাই কোন ভয়







        অমর বাংগালী ২৮
                           হান্নান
স্বাধীন দেশের মানুষ মোরা গড়বো নব প্রাণ, 
মাতৃভূমীর জন্য রক্ত করবো মোরা দান।।
সদা মুক্ত রাখবো মোরা মুখ করবো উজ্জল,
দেশের জন্য সদা সর্বদা থাকবো গো সবল।।
বিশ্বাস ঘাতকদের পতন করবো বাংলার জমিনে
ভাতৃত্বের বাঁধনে বাঁধিত হবো সবুজের লাল নিশানে। 
অসহায় আর মজলুমের পাশে থাকবো মোরা সর্ব্þন,
মনের বেদনা বুঝবো মোরা করবো আত্ন দান।
জন্ম নিয়েছি বাংলার বুকে হয়ে বাঘা বাংগালী,
জুলুম আর সন্ত্রসীদের করবো মোরা খালী। 
আমার ভায়েরা রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে  
তাইতো সবাই মুক্ত হয়েছি ফিরেছি সোনার আশ্রমে
আমরা যাদের বিশ্বাস করেছি তারাই অবিশ্বাসী 
‌ঝঁপটে ধরে তাদের গলে পরাবো এবার ফাঁসী।
এরা ছদ্দবেশি আর কলমের আগাই করেছে রাহাজানী, 
বিচারক,শাসক সবই এরা এরাই আবার খুনী, 
এদের বিচারে করবো মোরা যাত্রা মোদের দুর্বার,
অসত্য থেকে সত্য আসতে ভয় কেন হে যাযা বর।।



                স্বার্থ্
                   হান্নান
মানব মোরা দুনিয়া বুকে শ্রেষ্ট মাকলুকাত,
স্বার্থের তরে ডুবিয়া মোরা করি গো মুনাজাত। 
নামাজের মাঝও মনে পড়ে শুধু মহা স্বার্থের কথা, 
স্বার্খের জন্য মানুষকে সদা দিয়েই থাকে ব্যথা।
ঘুম থেকে জেগে ঊষার প্রান্তে গিয়ে কর্ম্ করে, 
কর্ম্ শেষে গধুলী প্রান্তে আবার আসে ফিরে,
কিসের জন্য করি গো কর্ম্ নাইকো সবার অজানা,
আপন ঘরের কর্ম্ মোরা কিছুই করিনা।
ছদ্দবেশি ধারন করে সেজে বড় মুসল্লি
স্বার্থের মাঝে ডুব দিয়ে সদা মুখে আল্লা বলি
বিচারের জন্য বসে আছেন ভাই মহা বিচারপতি
স্বর্থের জন্য তিনিই আজ নিভান আলোর বাতি
            কারো ফাঁসী হয় কেউ বেঁচে যায় সব স্বর্থের খেলা
কেউ কি জানে ন্যায় ইনসাফের বসবে একদিন মেলা




  সন্ধার পাখি ৩০
হান্নান
গধুলী গগণে চুম্বিত রবি ঘুমায় যেন প্রান্ত কোলে
সারাটা দিন আহার যুগিয়ে ফিরেছে পwþ বৃþ ডালে
কর্ম্ থাকেনা সমাজে তখন গায় বিধাতার গান
বুঝেনা মানব তাদের জিকির তাই করে বদনাম
কিচির মিচির করে পাখিরা, ধৈর্য্য হারা হয় মানবেরা
সময় পেলেও করেনা যিকির এ কেমন দানবেরা
বিধাতার নাম গাইতে গাইতে ঘুমালো পwþ নীড়ে
মানবের ঘুম আসেনারে ভাই চোর ডাকাতের ভীড়ে
পশু পwþ খোদাকে চিনল মানব চিনলনা
তাইতো তারা শান্তিতে থাকে মানব থাকেনা


















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন