হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা

হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা

লিখেছেন: মোঃ আব্দুল হান্নান ক্যাট্যাগরি: সাহিত্য ও সংস্কৃতি জানিনা কবে অবসান হবে এই হিংসাত্মক আক্রমনের, ১৮৩১ সালে বালাকোট যুদ্ধে হিন্দু রাজা রনজিৎ সিং এর হাতে সৈয়দ আহাম্মদ ব্রেলভীর শিরচ্ছেদ এবং হরি সিং নালওয়ার হাতে শাহ ইসমাইল ব্রেলভীর শাহাদত বরন সহ অসংখ্য মুসলমানদের প্রান কেড়েছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় শামেলীর যুদ্ধে থানা ভবনে হাজি এমদাদুল্লাহ,কাশেম নানুতুবী মুসলিম মুজাহিদরা ইংরেজদের নিকট একপ্রকার পরাজিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে এমদাদুল্লাহ সাহেব মক্কায় হিজরত করেন এবং অন্যান্যরা ইংরেজদের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে,ভারতীয় উগ্রবাদী প্রভাবশালী হিন্দু জমিদাররা ইংরেজদের সাথে মিলে মুসলিম নেতৃত্বদান কারীদের গ্রেফতারে সহায়তা করে তখনই বিজ্ঞ মুসলমানরা অনুধাবন করতে পেরেছিল যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে ইংরেজ তাড়ালেও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে উপ মহাদেশের মুসলমানরা নিরাপদ না আর এ জন্যই ইংরেজ বিতাড়িত হবার পূ হতেই মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্তের দাবী উঠতে থাকে।ইংরেজ বিতাড়িত হবার পর মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্বের দাবী যখন তুঙ্গে তখন বালা কোট এবং শামেলীর যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাৎ আর হয়রানির অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে তখনকার পুরাতন লোক হুসাইন আহম্মেদ মাদানি উলামায়ে হিন্দের ডাক দিয়ে মুসলমানদের এই আন্দোলনের বিরোধিতা শুরু করলো।হুসাইন আহাম্মদ মাদানীর এই সিদ্ধান্তে অনেক ইসলামীক স্কুলাররা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তার পরেও মুসলমানদের যখন বিজয় হলো এবং আলাদা রাষ্ট্র পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তান হলো তখন হতেই এই হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং তাদের উত্তরসুরিরা স্বাধীনতাকামী মুসলমান আলেম উলামাদের বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী রাজনীতিবিদদেরকে হিন্দুরা দেখতে না পারলে হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং দেও বন্দীদের সাথে বিশেষ করে কংগ্রেসের দহর্রম মহরম ভালোই ছিল, মওলানা হুসাইন আহম্মেদ মাদানিকে এই জন্য ১৯৫৪ সালে কংগ্রেস সরকার পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান কের।হুসাইন আহমেদ মাদানি মুসলমানদের আলাদা সার্বোভৌত্তের দাবী নাকচ করে বিরোধিতা শুরু করে কংগ্রেসের সাথে উলামায়ে হিন্দ কে নিয়ে যোগ দিলো কিন্ত স্বাধীনতাকামী মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে পারলোনা স্বাধীনতা দিতেই হলো পরাজয়ের মাধ্যমে। সেই থেকেই স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের সারাজীবন দেও বন্দীরা বিরোধিতা করে আসছে তাদের পরাজয়ের কারনে। তাদের পরাজয়ের হিংসাত্মক আক্রমনের শিকারে পরিনত হয় আলিয়া মাদ্রাসার নিরিহ আলেমেরা ও স্বাধীনতাকামী মুসলমানরা যার বিষবাষ্প এখনো চলমান। দিনে দিনে কওমী সন্তানদের হিংসা ভয়ংকর রূপ ধারন করছে। পুরাতন কওমী উলামাদের ভিতরে মতানৈক্য ছিলো, হিংসা ছিলো তুলনামূলক কম, তবে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ছবকই হলো আলিয়া পড়ুয়ারা এবং ইসলামি রাজনীতি বিদরা বিশেষ করে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত উলামায়ে হিন্দের বিপরীতের ইসলামি দলগুলো ফাসেক, অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় যেন তারা হিন্দুয়ানীদের তাবেদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হলে আগে পাকিস্তানের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতেই হবে কারন বাংলাদেশ পাকিস্তান নামক দেশ হতে স্বাধীন হয়েছে ভারত থেকে স্বাধীন হয়নি, পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধী যারা ছিলো তারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারেনা। বিভিন্ন সরকারের কাছ হতে ফায়দা হাসিল আর জেল জরিমানার ভয়ে কওমীরা এখন নুতন সুর তুলেছে স্বাধীনতার পক্ষের লোক বলে। আজ হতে ২০ বছর পিছনে যারা রাজনীতিকে হারাম আর ফেৎনা ফতুয়া দিত তারা আজ গদী আর ক্ষমতার জন্য বিপরীত মতের লোকদের কাফের, ফাসেক, বাতেল নানা অপবাদে জাতির ভিতর বিষোদগার ছড়াচ্ছে যা মুসলিম উম্মাহর জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতির অপেক্ষা করছে।হুসাইন আহম্মেদ মাদানীর পূর্ব পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির আনজাম গৌরবময়, হুসাইন আহম্মেদ হতে কালিমা লেপন শুরু হয়েছে যেমন ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে আওতায়, ইসলামিক স্কলারদের বিরুদ্ধে মনগড়া ফতোয়া, প্রতিষ্ঠানের গৌরবের নাম দিয়ে ভিন্ন মতের মানুষদের কে কাফের, বাতিল, গোমরা এজাতীয় ফতোয়া প্রচার করা,প্রতিষ্ঠানের নিরীহ ছাত্রদের মাঝে ভিন্নমতের মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করা,ভিন্নমতের মানুষদের প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের যাতে ঘৃনার সৃষ্টি হয় সেজন্য বিষোদগারের তালিম দেয়া,দেখবেন পরিক্ষা করে তাদের একজন ছাত্রকে বলবেন মওদুদী সম্পর্কে মতামত সে প্রথম ধাক্কায় উত্তর দিবে মওদুদী ভ্রান্ত,তাকে যদি জিজ্ঞেস করেন মওদুদীর কোন বইটা পড়েছো?সে বলবে পড়িনি বা বয়ের নাম ও বলতে পারবেনা,তাকে কে শিখাইল মওদুদী রহঃ ভ্রান্ত?ঐ যে হুসাইন আহম্মেদ ঐ সিলসিলা থেকে মিথ্যা এই অপবাদ আজ অবদী চলে আসছে।সুতরাং হিংসা শিখতেই তাদের সময় নষ্ট তারা বাস্তবমুখী শিক্ষা কিভাবে শিখবে?তাদের কারো সামনে দিয়ে তাদের টুপি পরে যদি আপনি না যান তাহলে তাদের ৯৮শতাংশ লোক আপনাকে সালাম দিবেনা পরিক্ষিত,ফেসবুকের কমেন্ট সেকশন গুলোতে তাদের ভাষা দেখবেন কত নেতিবাচক , আল্লাহ তাদের মন থেকে তুমি হিংসা দূর করে দাও।

বর্তমান কওমী এলেমের ভিতর আসছেনা কয়েকটি কারণে ঃ

১।অন্তরে হিংসাত্মক মনোভাব। ২।যাকাত ফিতরা কোরবানির চামড়া ছদকার ব্যবহারের ত্রুটি যেমন, ইসলামী শরিয়ত এগুলো খেতে যাদের নিষেধ করেছে ৯৮ভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্ররা ঘুরিয়ে পেচিয়ে এগুলো খাচ্ছে। ৩।বলাৎকারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ৪।শাসনের নামে নির্দয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫।ছোট থেকে ভিন্ন মতের আলেমদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন শিখানো হচ্ছে ৬।মাথায় শরীরে দৃশ্যমান সুন্নাহ থাকলেও সুন্নাহর প্রয়োগ নেই,যেমন কওমী ৯৫ ভাগ ছাত্ররা তাদের ওস্তাদ বা বড়ভাই ও খুব পরিচিত ছাড়া ছালাম দেইনা,ভিন্ন মত ও ভিন্ন ধরনের টুপিধারীদের তারা ছালাম দেইনা পরিক্ষিত। ৬।ভিন্ন মতের ইসলামী দলকে দূরে রেখে বাতিলের সাথে ৭০শতাংশ আলেমদের মহরম ধহরম বা চামচামির বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান হচ্ছে। ★ যাদেরকে এরা আকাবির বলে তাদের ভিতর কিন্ত এগুলো ছিলনা যার কারনে তাদের এলেমে তাছির ছিল।যদিও একটু আধটু মতানৈক্য ছিলো ভিন্ন মতের আলেমদের নিয়ে তারা ফতোয়াবাজী মাতামাতির সীমা লঙ্ঘন করেনি।

৪টি মন্তব্য:

  1. আপনার এই কথাগুলো আমার পছন্দ হলো না। এতটুকুই বলার ছিলো

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. রামাযান মাসেও মিথ্যাচার

      মুছুন
    2. সত্য মেনে নেয়া কঠিন,এটাই সত্য।।

      মুছুন
  2. সত্য ইতিহাস সব সময় তিক্ত।

    উত্তরমুছুন