২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে

গত কয়েকদিন হলো হেফাজত নেতা মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী হঠাৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু ছাড়াই বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেফাজত নেতা মামুনল হককে সোনার গাঁও একটি হোটলে় থেকে নারী সহ যেভাবে আটক করা হয়ে ছিল ঠিক সেই সুত্র বলছে,আওয়ামীলীগের লুটপাট করা টাকা থেকে গোপনে মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীকে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় মুহিবু়্ল্লাহ বাবুনগরী আওয়ামী লীগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন আওয়ামী লীগ ২০৯ বছর ক্ষমতায় থাকলেও তাদের কোন সমস্যা নেই।এই পরিস্থিতিতে দাবী উত্থাপিত হয়েছে হেফাজত নেতা মামুনের নারী কেলেঙ্কারির মামলাটি জামায়াত আইনজিবীরা পরিত্যাগ করতে পারে।

বিশিষ্ট উলামাদের জামায়াতে ইসলামী ত্যাগের কারণ

১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় শামেলীর যুদ্ধে থানা ভবনে হাজি এমদাদুল্লাহ,কাশেম নানুতুবী মুসলিম মুজাহিদরা ইংরেজদের নিকট একপ্রকার পরাজিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে এমদাদুল্লাহ সাহেব মক্কায় হিজরত করেন এবং অন্যান্যরা ইংরেজদের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে,ভারতীয় উগ্রবাদী প্রভাবশালী হিন্দু জমিদাররা ইংরেজদের সাথে মিলে মুসলিম নেতৃত্বদান কারীদের গ্রেফতারে সহায়তা করে তখনই বিজ্ঞ মুসলমানরা অনুধাবন করতে পেরেছিল যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে ইংরেজ তাড়ালেও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে উপ মহাদেশের মুসলমানরা নিরাপদ না আর এ জন্যই ইংরেজ বিতাড়িত হবার পূ হতেই মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্তের দাবী উঠতে থাকে।ইংরেজ বিতাড়িত হবার পর মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্বের দাবী যখন তুঙ্গে তখন বালা কোট এবং শামেলীর যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাৎ আর হয়রানির অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে তখনকার পুরাতন লোক হুসাইন আহম্মেদ মাদানি উলামায়ে হিন্দের ডাক দিয়ে মুসলমানদের এই আন্দোলনের বিরোধিতা শুরু করলো।হুসাইন আহাম্মদ মাদানীর এই সিদ্ধান্তে অনেক ইসলামীক স্কুলাররা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তার পরেও মুসলমানদের যখন বিজয় হলো এবং আলাদা রাষ্ট্র পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তান হলো তখন হতেই এই হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং তাদের উত্তরসুরিরা স্বাধীনতাকামী মুসলমান আলেম উলামাদের বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী রাজনীতিবিদদেরকে হিন্দুরা দেখতে না পারলে হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং দেও বন্দীদের সাথে বিশেষ করে কংগ্রেসের দহর্রম মহরম ভালোই ছিল, মওলানা হুসাইন আহম্মেদ মাদানিকে এই জন্য ১৯৫৪ সালে কংগ্রেস সরকার পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান কের।

FACEBOOK NEWS ফেসবুক সংবাদ

ফেসবুক হচ্ছে যুব সমাজ ধ্বংসের একটা মাধ্যম, প্রথম দিকে কিছু ভালো থাকলেও বর্তমানে এটা একটা অভিশপ্ত মাধ্যম ৫ই মার্চ ২০২৪রাত ৯টা৪৫ ঘটিকায় সব ফেসবুক লগ আউট হয়ে যায়, যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়,আমি খুব খুশি হতাম যদি ফেসবুক আর ফিরে না আসতো।

রমজানে বিশ রাকাত তারাবির দলিল ঃইমাম আব্দুল হান্নান

এই সমাজে এক শ্রেনীর মানুষ আছে তারা সর্বদা উম্মতকে ইবাদতহীন এবং আল্লাহর দারস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখতে চাই,রমজান মাসে তারাবী সলাত নিয়েও তাদের মাথা ব্যাথা অনেক। ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পক্ষে ১৩টা সহীহ হাদিস। সবগুলো হাদিসের সনদ সহকারে উল্লেখ করা হলো১ 🌹(١)حدثنا علي أنا ابن ابي ذئب ،عن يزيد بنخصيفه ،اغاني عن السائب بن يزيد( رضي الله عنه) قال: كانوا يقومون على عهد عمر في شهر رمضان بعشرين ركعة - (মুসনাদে ইবনে জাদ হাদিস নং ২৮২৫ ) 🌹(٢) عبد الرزاق،عن اﻷسلامي، عنالحارث بن عبد الرحمن بن أبي ذباب،عن السائب بن يزيد(رضي الله عنه) قال: كنا ننصرف من القيام على عهدعمر(رضي الله عنه )و قد دنا فروع الفخر،وكان القيام على عهد عمر (رضي الله عنه)ثلاثه و عشرين ركعة - (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং ৭৭৩৩ ) 🌹(٣)عبد الرزاق ،عن داود ابن قيس، وغيره،عن محمد بن يوسف،عن السائب بن يزيد، ان عمر جمع الناس في رمضان على ابي بن كعب،وعلى تعميم الدري على إحدى وعشرين ركعة - (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং (৭৭৩০) 🌹(٤)حدثنا أبو بكر قال، ثنا وكيع,عن سفيان، عن أبي إسحاق، عن عبد الله بن قيس، عن شتير بن شكل: أنه كان يصلي في رمضان عشرين ركعة و الوتر- (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ হাদিস নং ৭৬৮০) 🌹(٥)حدثنا إسحاق بن إبراهيم،عن عبد الرزاق،عن الثوري،عن اﻷعمش، عن زيد بن وهب، قال: كان عبد الله بن مسعود يصلي بنا في شهر رمضان فننصرف بليل قال اﻷعمش:كان يصلي عشرين ركعة و يوتر بثلاث - (তাবারানি মুজামুল কবির হাদিস নং ৯৫৮৮) 🌹(٦)حدثنا ابن النمير،عن عبد الملك، عن عطاء،قال: ادركت الناس وهم يصلون ثلاثاو عشرين ركعة بالوتر - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ হাদিস নং ৭৬৮৮) (٧)🌹حدثنا وكيع ،عن نافع بن عمر، قال: كان ابن أبي مليكة يصلي بنا في رمضان عشرين ركعة - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ২য় খন্ড ২৮৫ পৃষ্ঠা ) (٩)🌹حدثنا الفضل بن دكين، عن سعيد بن عبيد، أن علي بن ربيعةكان يصلي بهم في رمضان خمس ترويحتات و يوتر بثلاث - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস নং ৭৬৯০ ) (١٠)🌹مالك عن يزيد بن رومان أنه قال: كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب (رضي الله عنه) في رمضان بثلاث وعشرين ركعة - (ফাতহুল বারী শরহে বুখারী ৪র্থ খন্ড ৩১৬ পৃষ্ঠা ) (١١)🌹حدثنا وكيع ،عن مالك بن أنس ،عن يحيى بن سعيد،ان عمر بن الخطاب (رضي الله عنه)امر رجلا يصلي بهم عشرين ركعة - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ২য় খন্ড ২৮৫ পৃষ্ঠা ) (١٢)🌹حدثنا حميد بن عبد الرحمن، عن حسن،عن عبد العزيز بن رفيع قال: كان أبي بن كعب يصلي بالناس في رمضان بالمدينة عشرين ركعة ويوتر بثلاث - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২য় খন্ড 285 পৃষ্ঠা) 🌹(١٣) عن أبيه عن أبي حنيفة، عن حماد، عن إبراهيم،ان الناس كانوا يصلون خمس ترويحات في رمضان - (কিতাবুল আছার হাদিস নং ২১১)

MUSLIM THE NEXT GENERATION OF BANGLADESH বাংলাদেশের পরবর্তী মুসলমান BY IMAM ABDUL HANNAN

MUSLIM THE NEXT GENERATION OF BANGLADESH বর্তমান সময়ে সুবিবেচক অভ্যাসগত মুসলমানরা অর্থাৎ যারা ইসলামিক মনমানসিকতা সম্পন্ন তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের নিয়ে তারা অত্যান্ত চিন্তিত।আর যারা অনভ্যাসী মুসলমান অর্থাৎ নামকা ওয়াস্তে ভোটার লিষ্টের মুসলমান তাদের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই।আমি পাঁচ বছর যাবৎ সমাজের অলিতে গলিতে শহর মফস্বল ঘুরে একটা বিষয় খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি ৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যের ছেলে মেয়েদের ৯০শতাংশ বিবেকবুদ্ধি প্রতিবন্দী এবং সম্মুখ আবেগপ্রবন বেশি।তার দৃষ্টি সম্মুখে কিন্ত তার পা যে গর্তে পড়তে যাচ্ছে এ সম্পর্কে তার কোন খেয়াল নেই।এদের ভিতর ৪ থেকে ১৩ বছর বয়সীরা এ্যান্ড্রোয়েড গেমস মোবাইল আসক্ত,আর যাদের বয়স ১৪ থেকে ২৫ বছর তাদের কিছু সংখ্যক অবৈধ যৌনাচার কিছু সংখ্যক নেশা,নোংরা রাজনৈতিক খুনী কিছু সংখ্যক পর্নোগ্রাফি, কিছু সংখ্যক অনলাইন জুয়া পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন আসক্ত।এদের নিয়ে সচেতন অবিভাবকরা অত্যান্ত বিব্রতকর পরিস্থিতির ভিতরে আছে। তারা না পারছে সংশোধন করতে আর না নিতে পারছে কোন সিদ্ধান্ত না পারছে বলতে না পারছে সইতে।এই অবস্থায় কোন দিকে যাচ্ছে আমাদের বৃহত্তম একটা জেনারেশন?বাবা মায়ের নিকট যখন এরা অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা কম পাই তখন সামাজিক নানা অপকর্মের সাথে এদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই সুযোগে এদেরকেই টার্গেট করছে দেশের এক কুচক্রী মহল এবং এদের দ্বারাই হত্যা,লুন্ঠন, সন্ত্রাসী,স্কুল ড্রেস পরিয়ে স্কুল ব্যাগ নিয়ে চোরাচালান স্বর্ন পাচার, ফেনসিডিল, ইয়াবা,গাজা,মদের বহন সহ নানা ধরনের অপরাধ করিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটছে।মোট জনগোষ্ঠীর ধ্বংসের মুখের এই ৯০ শতাংশ জেনারেশনের ৪থেকে ১৩ বছরের যারা রয়েছে তাদের সংখ্যা ৪০শতাংশ বাকী ১৪ থেকে ২৫ বছরের রয়েছে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তের মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশ।২০২২সালের আদমশুমারী মোতাবেক মোট জনবল ১৬.১৭ কোটি।মোট জনবলের ৩৩শতাং হচ্ছে এই ৪ থেকে ২৫ বছরের ছেলেমেয়ে। আমি বলিনা ২৬ থেকে ৩৫ বছরের জনবলেরা খুব মেধাবী,এই বয়সের ছেলেমেয়েদের ৯০শতাংশ যদি কোন সরকারি অথবা বেসরকারী, সামরিক অথবা বেসামরিক যে সেক্টরেই থাকুক সে সেক্টরের অধিনস্থ এবং উর্ধতনরা যে কি সমস্যায় আছে একমাত্র তারাই জানে।আমি এখন পর্যায় ক্রমে ১ থেকে ৪ বছরের ছেলেমেয়ে সম্পর্কে অবগত করবো। ১থেকে চার বছরের শিশু এবং তাদের পিতামাতারা কি করে তাদের সন্তানকে নিয়ে? এক বছরের শিশুরা সাধারণত বসা থেকে দাঁড়াতে যায় অনেকে দাঁড়ায় এরা কিন্ত কান্নাকাটির পরিমানটা ও একটু বেশি করে। যদি প্রথম সন্তান হয় তাহলে যত ধরনের খেলনা সামগ্রী আছে সামর্থ্যের মধ্যে সেটা নিতেই হবে পাশাপাশি আদর করে ছোট বাচ্চার সামনে স্মার্ট ফোনটি ধরে কান্নাকাটি বন্ধের উপকরণ হিসাবে ব্যবহার এবং নানা নানী মামাদের সাথে ছোটবেলা থেকেই ভিডিও কলে দেখাদেখি এই অভ্যাসে কিন্ত বাচ্চাটি বেড়ে উঠছে।মায়ের খুব কাজ বাচ্চাটি এক দু পা করে হাঁটছে,বাবাও বাড়ী নেই,বাচ্চাটা যাতে না কাঁদে সেজন্য মা মোবাইলে একটা গেমস দিয়ে বাচ্চাটিকে ধরিয়ে দিয়ে সংসারের কাজ সারছে।এক দুই বছর পেরিয়ে যখন তিন বছরে পড়তে যাচ্ছে তখন বাচ্চাটা প্রায় মোবাইল আসক্তিতে পড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শতকরা ৫শতাংশ পিতামাতা সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে আর ৯৫ ভাগ পিতামাতা সন্তানকে এটা ব্যবহারে একধাপ এগিয়ে দেই,সাথে খেলনা পিস্তল কিনে দেই বাচ্চা গেমস খেলতে গিয়ে গুলি করা দেখছে এটা এখন বাচ্চার ও কিনে দিতে হবে।

লাকী টাইগার্স ৭ইষ্ট বেংগলের ইতিহাস HISTORY OF LUCKY TIGERS 7 EAST BENGAL REGEMENT.written by wo rtd Hannan

লাকী টাইগার্স ( ৭ ই বেংগলের)আসল ইতিহাস
রচনায়ঃওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হান্নান ভূমিকাঃ জীবনের সবটুকু প্রশংসা আল্লাহর জন্য,দরূদ ও সালাম বিশ্বনবীর প্রতি।১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে আমি লাকী টাইগার্সের সদস্য হিসেবে যোগদান করি।যোগদানের পরে পরেই আমি অত্র ইউনিটের ইতিহাস খুজতে থাকি,ইউনিটের ইতিহাসের অনেককিছু আমার কাছে অপুর্নতা লাগছিল।সঠিক ইতিহাস কোথায় পাই এরকম একটা তৃষ্ণা আমার ভিতর কাজ করছিল। ইউনিট তখন সবেমাত্র কুয়েত থেকে এসছে,নানা প্রকৃতির মানুষের অবস্থান তখন এই ইউনিটে এদের নিকট ইতিহাস জেনে তেমন কোন তথ্য পেলামনা।বিভিন্ন জায়গায় পুরাতন সৈনিকদের নিকট আর বিশেষ করে সিলেটের একজন সৈনিক যে জেনারেল এরশাদের রানার ছিল তার নিকট হতে অনেক তথ্য সংগ্রহ করি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাংগালী একটি ইউনিট ৭ ই,বেঙ্গল বা বর্তমানে লাকী টাইগার্স। ১৯৬৫ সালে তদানিন্তন বাংগালী সিনিয়র অফিসার কর্নেল ওসমানীর নিকট বাঙ্গালী সেনা সদস্যরা বাঙ্গালী নুতন একটি পল্টন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করলে ওসমানী এটা তদানিন্তন আর্মি হেড কোয়ার্টারের এক কন্ফারেন্সে উপস্থাপন করেন।পাকিস্তানের উর্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও বাঙ্গালী সেনা সদস্যদের জোর দাবী ও যুক্তির কাছে অনুমোদন দিতে বাধ্য হলেও পূর্ব বাংলায় বিভিন্ন আন্দোলনের কারনে প্রতিষ্ঠা করতে কালক্ষে পন করছিল।নানা অজুহাতে তারা চাচ্ছিলনা বাঙ্গালী আর একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা হোক।পাকিস্তানের তদানিন্তন সামরিক জান্তারা সামনে যুদ্ধ আসন্ন বুঝতে পেরেছিল।শত প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে ১৯৬৯ সালের ৬ মার্চ চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বেদীয়ান লাইনে ০৬ জন অফিসার ০৮ জন জুনিয়র কমিশন অফিসার এবং ৩০৯ জন বিভিন্ন পদবীর সদস্য লাকী টাইগার্স নামের বাংগালী ইউনিটটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।প্রতিষ্ঠাকালীন অধিনায়ক ছিলেন পি এ ৩৪৭৩ লেঃকর্নেল মাশহুরুল হক এবং উপ অধিনায়ক ছিলেন বি এ ৫০ মেজর এইচ এম এরশাদ পি এসসি। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর ছিলেন সুবেদার আবুল কাসেম পরবর্তীতে সুবেদার মেজর হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পরপরই চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পাকিস্তানী বেলুচি ইউনিটের সাথে নুতন ইউনিট লাকী টাইগার্স এর একটি ফুটবল খেলা হয়,সেখানে বে লুচি ইউনিট কে ৩/০ গোলে পরাজিত করে সমগ্র গ্যারিশন ব্যাপি আলোড়ন সৃষ্ট করে।বাহিরে চলছিল গণ অভ্যুথ্যান,বাঙ্গালী সৈন্যদের ভিতরে ভিতরে জাগরণ শুরু হলেও এর বহিঃপ্রকাশ তখনো ঘটেনি,পাকিস্তানি ও বাঙ্গালী অফিসাররা তখনও সৈনিকদের দফায় দফায় মটিভিশন করে চলছিল।যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তে লাকী টাইগার্সকে পাকিস্তানের করা চীর মালির সেনানিবাসে পাঠানো হয়। ভারতের উগ্রবাদীদের প্রতিহত করার জন্য নব্য আসা ইউনিটকে পাক ভারত সীমান্তের ধাক্কার শহর থেকে তিন মাইল দূরে প্রতিরক্ষা অবস্থানে গ্রহনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।ইউনিটকে আচমকা পাকিস্তান পাঠানোর কারনে অনেক সদস্যের ছুটির সময় হলেও তারা তখন ছুটি যেতে পারেনি।পাকিস্তান যাবার পর তাদের ছুটি দেয়া হবে বলে জানানো হয়।পাকিস্তানে যাবার পর অত্র লাকী টাইগার্সের ১০০ জনের উপরে সদস্যকে বাৎসরিক ও সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়।তখন কুর্মিটোলা বিমান বন্দর থেকে পাকিস্তান সামরিক বিমানে করে যাতায়াত করা হত আর নদী পথে যাতায়াত ছিলো।১৪ই মার্চ ১৯৭১ সালে জয়েন্ট ছিলো বেশ কিছু বাঙ্গালী সদস্যদের তখনো যুদ্ধ শুরু হয়নি পূর্ব বাংলার চতুর্দিকে বাঙ্গালিদের উপর পাক সেনাদের খড়গহস্ত ভাব চলছিলো। পাকিস্তান সেনা সদরে পাক অফিসারদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছিল। কোন বাঙালী অফিসারকে কনফ্রান্সে যেতে দেয়া হয়নি, কনফ্রান্স শেষেই বাঙালী ইউনিট গুলির অস্ত্রাগারের দায়িত্ব এক প্রকার জোর করেই পাক অফিসারদের মাধ্যমে পাক সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেই। ১৩ই মার্চ ১৯৭১ ছুটিতে থাকা বাঙ্গালী সৈন্যরা কুর্মিটোলা আসতে থাকে।কুর্মিটোলা বিমান বন্দর তখন পাক সেনাদের কব্জায় ছিল।বাঙালী এই সৈন্যদের নিয়ে গিয়ে বন্দী করা হবে এবং পাকিস্তানে বাঙ্গালী সৈন্যদের নিরস্ত্র করা হয়েছে এবং কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে এটা তারা জানতে পারে ততক্ষণে বাঙ্গালী সৈন্যরা একে একে কুর্মিটোলা হতে পালানো শুরু করে।৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের হাবিলদার রফিক বলেন,আমি এই ছুটি হতে জয়েন্ট করার একজন ছিলাম,বিকালে ফলিন করালো,আমি ছিলাম সিনিয়র হাবিলদার, পাকিস্তানি একজন মেজর আমাকে সি এইচ এম বানিয়ে বললো পেরি মিটার ডিউটিতে লোক পাঠাও এবং নির্দেশনা দিলো যে, কোন সৈন্য যেন বাহিরে না যায়।আমাদেরকে বন্দী করা হবে এ খবর আমিও জানতে পেরেছিলাম, সবাই যাতে নিরাপদে পালাতে পারে আমি সেই চেষ্টাই করছিলাম ডিউটিতে যারা ছিলো তাদেরকে বললাম পেরি মিটার ডিউটি যাবার নাম করে সবাই আস্তে আস্তে পালাও। ডিউটি চেকের নাম করে উলু বনের ভিতর দিয়ে লুকিয়ে আমিও চলে আসলাম।ক্যান্টমেন্ট রেল স্টেশনে আসতেই কিছুক্ষন পরেই চট্টগ্রাম গামী ট্রেন আসলো, মনে ভয় আতংক নিয়ে ট্রেনে উঠলাম ঐ ট্রেনে আমাদের আরো অনেক সহযোগী ছিলো অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে নেমে গেলো, আমি ও নোয়াখালী আমার বাড়িতে গেলাম দুদিন বাড়িতে থেকে চট্টগ্রাম এসে বর্তমানে ইবি আরসিতে এসএম সাহেবের সাথে কথা বলে জায়েন্ট করলাম।খবর আসলো পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙ্গালী ইউনিট সমূহকে নিরস্ত্র করা হয়েছে,৭ইষ্ট বেংগলের তৎকালীন ইউনিট অধিনায়ক এইচ এম এরশাদ পিএসসি সহ সকল বাঙালী সেনাসদস্যকে বন্দী করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে রাখা হয়। এবং অনেক বাঙ্গালী সৈন্য অস্ত্র নিয়ে ভারত সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।পুরাতন সদস্যদের মুখে শুনেছি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লাকী টাইগার্সের কিছু সদস্য কৌশলে পালিয়ে পাকিস্তান বর্ডার পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং দেশে ফিরে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। অপর দিকে বন্দী ব্যাটালিয়ন থেকে কিছু লোক পালিয়ে যাবার কারণে তদানিন্তন লাকী টাইগার্সের কমান্ড চ্যানেলকে পাকিস্তানি কমান্ডারদের রোষানলে পড়তে হয়।স্বাধীনতার জন্য এদিকে বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধ যত তুঙ্গে উঠতে থাকে পাকিস্তানের বন্দী সৈন্যদের উপর নির্মমতা তত বাড়তে থাকে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের যখন বিজয়ের মাধ্যমে পরি সমাপ্তি ঘটলো এবং পাকিস্তানী সেনারা যখন আত্ম সমর্পণ করলো তখন আমাদের পাকিস্তানী বন্দী সৈন্যদের মনে জাগ্রত হয়েছিল যে এবার হইত বন্দী বিনিময় হবে।হলেও তাই ১৯৭৩ সালের ২৮ আগষ্ট স্বাক্ষরিত দিল্লি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হলো, অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলো।দীর্ঘ তিন বছর পর১৯৭৩ সালের ২৬ নভেম্বর লাকী টাইগার্স ৭ইষ্ট বেংগল দেশে প্রত্যাবর্তন করে এবং উক্ত আগত ইউনিটকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর শওকত আলী অভ্যর্থনা জানান এবং প্রত্যেককে ২মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। যশোর সেনানিবাস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাকী টাইগার্সের পুনর্গঠন করা হয়।স্বস্তি ফিরে আসে সবার মধ্যে। দেশ পুনর্গঠন সহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে লাকী টাইগার্স যশোহর সেনানিবাসে ও গৌরবময় ইউনিট হিসাবে ভুয়সী প্রশংসা অর্জন করে। ১৫ ই ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে ঢাকা সেনানিবাসে রেজিমেন্টাল কালার এবং ১৬ই এপ্রিল ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার হতে জাতীয় স্ট্যান্ডার্ড প্রাপ্ত হয়।১৯৭৮ সাল হতে ৭ইষ্ট বেঙ্গল পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস দমন অভিযান পরিচালনা করে কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি,লক্ষীছড়ি,বান্দরবান, পানছড়ি পুনরায় রাঙ্গামাটির নানীয়ারচরে।আমি তখন কর্পোরাল,পানছড়ির যে অভিযানে একজন ইউপিডিএফকে অস্ত্র সরঞ্জাম সহ আটক করা হয় আমিও ঐ অভিযানে ছিলাম।সন্ত্রাসীরা লাকী টাইগার্সের টহলের উপর আচমকা গুলি করে লুকিয়ে পড়ে যদিও লাকী টাইগার্সের প্রশিক্ষিত সৈনিকদের কৌশলে দ্রুত অবস্থান গ্রহনের কারণে কারো গায়ে গুলি লাগেনি,তবে সন্ত্রাসী সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একজন পালাতে পারেনি সে কাটা জঙ্গলে ঘেরা একটি পুকুরের বা গর্তের জঙ্গলে লুকিয়ে যায়।আমরা চতুর দিক হতে সারারাত ঘিরে রাখি একটু ফর্সা হলে সার্চ অবিযান শুরু হয়।আমি তদানিন্তন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃআব্দুর রহিম সহ ভিতরে ঢুকে পড়ি সাথে আরো কয়েকজন ছিল সবার প্রচেষ্টায় আমরা তাঁকে আটক করি।আমরা কিছু আলোকচিত্রের সাথে পরিচিত হবো,প্রথম হতে ২০২০পর্যন্ত অধিনায়ক বৃন্দ।

চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের চিন্তা Things Evolution of Charles Darwin's

ডারউইনের বিবর্তনবাদের চিন্তাঃ প্রকৃত পক্ষে ডারউইন ছিল ইহুদী বংশদ্ভুত,ডারউইনের বংশের অধিকাংশের বয়স যখন বেশি হত তখন চেহারাতে বানরের ছাপ পড়ত।ডারউইন যেহেতু একজন জীব বিজ্ঞানী তিনি এটা নিয়ে গবেষনা করে দেখলেন তাদের প্রাচীন ইহুদী পূর্ব পুরুষরা ছিল খুবই ঔদ্ধত্য প্রকৃতির।খৃষ্টীয়পূর্ব বহু বছর পূর্বে আল্লাহর একজন নবী দাউদ আঃ এর সময় উম্মতের জন্য শনিবারে মাছ ধরা ধর্মীয় নিষেধ ছিল।ডারউইন যে বংশে জন্মগ্রহন করে ঐ বংশের পূর্বপুরুষরা আল্লাহর বিধান লংঘন করে শনিবারে মাছ ধরার কার্যক্রম করলো যার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাদের ঐ গুষ্টিকে বানর বানিয়ে দিলেন।ডারউইন চিন্তা করলেন আমাদের বঙশ থেকে অভিশপ্ত বানর হয়েছে তাহলে গোটা দুনিয়াবাসীকে কিভাবে বানর উপাধী দেয়া যায়? তাই সে জীব বিজ্ঞানের থিওরী লেখা শুরু করলো বিবর্তনবাদ,সে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য প্রচার করলো পৃথিবীর সব মানুষ বানরের বংশধর।বিবর্তনের কিছু ছবি কল্পনা করে তৈরী করে তা প্রচার শুরু করলো।একাজে তার ছাত্ররা তার কাছে জিম্মী হয়ে তারাও কিছুটা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে পরিক্ষাগারে এটা প্রমানিত না হওয়ায় তা আধুনিক জীব বিজ্ঞানে বর্তমানে বস্তাপচা একটা পাঠ।

চরমোনায়

চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব। চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওরা ইসলামি দল,ইসলামী দল চিনতে হলে পোশাক দেখে নয় অতীতের নবী রাসূলগনের ত্যাগের দিকে দেখে মিলাতে হবে ওরা ইসলামি দল কিনা,ইব্রাহীম আঃ ইসলামের দাওয়াত দিয়েছে নমরুদের রশানলে পড়ে আগুনে পুড়তে হয়েছে যদিও আগুন পোড়াতে পারেনি,মুসা আঃ ইসা আঃ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবাগণ কেউ বাতিলের সাথে আপোষ করেনি,সর্বোচ্চ ত্যাগ তিনারা সয়েছেন,বাংলাদেশের বুকেও ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ যারা সয়ে যাচ্ছে এই চরমোনায় তাদেরকে ইসলাম মনে করেনা,আসলে চরমোনায়তো ইসলাম না,তারা মুরিদদের ধোকা দিয়ে কিভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে,তলেতলে তাগিতদের সাথে পরামর্শ করে প্রকৃত ইসলামি দলকে কিভাবে দমানো যাবে সব রকম পায়তারা এরা করে যাচ্ছে, চরমোনায় যে কুফুরী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত তার কিছু দলিল নীচে দ চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে। আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা। শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো । চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” ( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা ) (১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) (২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ) (৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) (৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ) (৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা ) (৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা ) (৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা ) (১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ) (১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা ) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন ? আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।” ( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন ) কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে । ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১) আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲 এই সময়ে মে ০৫, ২০২২ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন ‹ › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত. এই সময়ে জানুয়ারী ০৬, ২০২৩ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত. এই সময়ে জানুয়ারী ০৭, ২০২৩ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত.

চরমোনায়ের গোমর ফাঁস

চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব। চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওরা ইসলামি দল,ইসলামী দল চিনতে হলে পোশাক দেখে নয় অতীতের নবী রাসূলগনের ত্যাগের দিকে দেখে মিলাতে হবে ওরা ইসলামি দল কিনা,ইব্রাহীম আঃ ইসলামের দাওয়াত দিয়েছে নমরুদের রশানলে পড়ে আগুনে পুড়তে হয়েছে যদিও আগুন পোড়াতে পারেনি,মুসা আঃ ইসা আঃ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবাগণ কেউ বাতিলের সাথে আপোষ করেনি,সর্বোচ্চ ত্যাগ তিনারা সয়েছেন,বাংলাদেশের বুকেও ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ যারা সয়ে যাচ্ছে এই চরমোনায় তাদেরকে ইসলাম মনে করেনা,আসলে চরমোনায়তো ইসলাম না,তারা মুরিদদের ধোকা দিয়ে কিভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে,তলেতলে তাগিতদের সাথে পরামর্শ করে প্রকৃত ইসলামি দলকে কিভাবে দমানো যাবে সব রকম পায়তারা এরা করে যাচ্ছে, চরমোনায় যে কুফুরী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত তার কিছু দলিল নীচে দ চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে। আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা। শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো । চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” ( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা ) (১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) (২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ) (৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) (৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ) (৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা ) (৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা ) (৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা ) (১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ) (১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা ) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন ? আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।” ( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন ) কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে । ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১) আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲 এই সময়ে মে ০৫, ২০২২ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন ‹ › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত. এই সময়ে জানুয়ারী ০৬, ২০২৩ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত.

চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব।

চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওরা ইসলামি দল,ইসলামী দল চিনতে হলে পোশাক দেখে নয় অতীতের নবী রাসূলগনের ত্যাগের দিকে দেখে মিলাতে হবে ওরা ইসলামি দল কিনা,ইব্রাহীম আঃ ইসলামের দাওয়াত দিয়েছে নমরুদের রশানলে পড়ে আগুনে পুড়তে হয়েছে যদিও আগুন পোড়াতে পারেনি,মুসা আঃ ইসা আঃ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবাগণ কেউ বাতিলের সাথে আপোষ করেনি,সর্বোচ্চ ত্যাগ তিনারা সয়েছেন,বাংলাদেশের বুকেও ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ যারা সয়ে যাচ্ছে এই চরমোনায় তাদেরকে ইসলাম মনে করেনা,আসলে চরমোনায়তো ইসলাম না,তারা মুরিদদের ধোকা দিয়ে কিভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে,তলেতলে তাগিতদের সাথে পরামর্শ করে প্রকৃত ইসলামি দলকে কিভাবে দমানো যাবে সব রকম পায়তারা এরা করে যাচ্ছে, চরমোনায় যে কুফুরী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত তার কিছু দলিল নীচে দ চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে। আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা। শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো । চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” ( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা ) (১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) (২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ) (৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) (৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ) (৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা ) (৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা ) (৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা ) (১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ) (১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা ) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন ? আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।” ( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন ) কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে । ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১) আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲 এই সময়ে মে ০৫, ২০২২ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন ‹ › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত.

ইসলামিক গণতন্ত্র, ইমাম আব্দুল হান্নান

ইসলামিক গণতন্ত্র কি?

গণতন্ত্র আর ইসলামিক গণতন্ত্র এক জিনিস না।"গণতন্ত্র" হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে নীতিনির্ধারণে বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সকল সদস্য বা নাগরিকের সমান অধিকার থাকে।এখানে নেতা নির্বাচনে ভালো মানুষ ও ক্ষমতায় যেতে পারে আবার একজন খারাপ মানুষ ও জনগণের নেতা হয়ে কাঁধে বসতে পারে।ইসলামিক গণতন্ত্র হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে নীতিনির্ধারণে বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোরআন সুন্নাহর উপর পাণ্ডিত্যধারী ব্যক্তিদেরই অধিকার থাকে।ইসলামিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দেশের নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধা অনুধাবন করা এবং তা হতে কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক উত্তরণের ব্যবস্থা করতে পারে এবং যাদের বিরুদ্ধে আমানতের খিয়ানত অসদাচরণের কোন অভিযোগ নেই এমন ব্যক্তিদের সমর্থনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে,যেমনটি হয়েছিলো খেলাফতে নবুওয়াতের খলিফা নির্বাচনের সময় এখানে অসৎ ব্যক্তিদের জনগণের নেতা হয়ে কাঁধে চেপে বসার কোন সুযোগ নেই।প্রশ্ন হতে পারে বাংলাদেশে অসংখ্য আলেম উলামা আছে তাদের ভিতর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তিদের কিভাবে নির্বাচন সম্ভব?হ্যাঁ এটা সম্ভব, যতগুলো ইসলামী দল আছে তাদের ভিতর বৃহত্তর দলগুলো হতে বেশি এবং ক্ষুদ্রতম দলগুলো হতে সংখ্যায় কম আলেমদের দ্বারা স্বার্থের বাহিরে গিয়ে খলিফাকে নির্ধারণ করবে।

ইসলামি গণতন্ত্রের উৎস

ইসলামিক গণতন্ত্রের উৎস হচ্ছে কোরআন, হাদিস, এজমা,কিয়াস। এখানে গণতন্ত্রের ন্যায় মানব রচিত কোন সংবিধান, নিজের ইচ্ছা বা অন্য কারো ইচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্রের কোন সেক্টর পরিচালিত হয়না।< p/>

ইসলামী গণতন্ত্রের স্থম্ভ

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যেমন তিনটি স্তম্ভ বা ভিত্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়,অপর দিকে ইসলামী গণতন্ত্রের স্থম্ভের ভিত্তি হচ্ছে কোরআন, সুন্নাহ, এজমা,কিয়াস যার অধিনে আছে অনেক শাখা প্রশাখা ।গণতন্ত্রের সবগুলো স্থম্ভ একত্রিত করলে ইসলামের একটি শাখা হয় সেটা হলো ইসলামী হুকমত তবে গণতন্ত্রে স্থম্ভগুলো পরিচালিত মানব রচিত আইন দ্বারা আর ইসলামী গণতন্ত্রের একটি শাখা ইসলামী হুকমত সেটি পরিচালিত হয় কোরআন সুন্নাহ এজমা কিয়াস দ্বারা।ইসলামী গণতন্ত্রের শাখা প্রশাখা সমুহ মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে ইসলামী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায়, ক্ষমতার সুষম বন্টন নিশ্চিত করার মাধ্যমে শাসনকার্যকে পরিচালনা করতে সার্বিক সহায়তা সহ মানব জীবনের প্রতিটা সমস্যার সমাধান করে।

খেলাফতে নবুয়াত কায়েম সমাপ্ত

সাফীনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (خِلاَفَةُ النُّبُوَّةِ ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ) ‘‘ত্রিশ বছর পর্যন্ত খেলাফতে নবুওয়াত চলতে থাকবে। এরপর আল্লাহ যাকে চান তাকে রাজত্ব দান করবেন।(আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ) এই ত্রিশ বছর আবু বকর, উমার, উছমান ও আলী (রাঃ)এর খেলাফতের মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছে। আবু বকরের খেলাফতকাল দুই বছর তিন মাস, উমার (রাঃ)এর খেলাফত দশ বছর ছয়মাস, উছমান (রাঃ)এর খেলাফত বার বছর এবং আলী (রাঃ)এর খেলাফত চার বছর নয়মাস। এবং হাসান (রাঃ)এর বায়আতের কাল ছিল ছয়মাস। এভাবেই খেলাফতে নবুওয়াতের ত্রিশ বছর পরিপূর্ণ হয়েছে।

খেলাফত,গণতন্ত্র,ইসলামী গণতন্ত্র

খেলাফতঃ আদম আঃ হতে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী ত্রিশ বছর আলী রাঃ এর খেলাফত পর্যন্ত সময়কে হাদিসের ভাষায় খেলাফতে নবুয়াত বা খেলাফতে খাস বলা হয়।তার পরবর্তী অদ্যকার সময় পর্যন্তকে হাদিসের পরিভাষায় মুলকিয়াত বলা হয়।এখানে বর্তমান সময়ের আলেমরা যে খেলাফতের কথা বলছেন সেটা হচ্ছে খেলাফতে আম, মুলকিয়াত বা ইসলামী গণতন্ত্র।

গণতন্ত্রের অধিনে মুসলমানদের ভূমিকা

যেখানে খেলাফতে আম বা ইসলামী গণতন্ত্র নেই,আছে শুধু গণতন্ত্র সেখানে প্রকৃত মুসলমানরা নিরুপায়,প্রশ্ন হতেই পারে যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম পরিচয় বহন করে সেখানে মুসলমান নিরুপায় হয় কিভাবে?মুসলমান পরিচয় বহন করা সহজ কিন্ত মুসলমান হওয়া বড়ই কঠিন।নিরুপায় মজলুম মুসলিম হিসাবে গণতন্ত্রের অধিনে থেকেই তাঁকে ইসলামী গণতন্ত্র বা খেলাফতে আ'ম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করতে হবে।খেলাফতে নবুয়াতের সময় যেহেতু সবাই মিলে ভোট দিয়ে খলিফা নির্বাচনের কোন পদ্ধতি ছিলনা আর সেটার ইসলামে গ্রহন যোগ্যতাও ছিলনা এখনো নেই কিন্ত এখন ইসলামের দুশমনেরা সাংবিধানিক ভাবে জনগণের ঘাড়ে যে গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে তা থেকে বের হতে হলে ইসলামী গণতন্ত্র কে মূল লক্ষ্য হিসাবে নিয়ে দুটি পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়া যায় ১।সম্মুখ সমর,যা বাংলাদেশের জন্য এখন প্রযোজ্য নয়।২।দাওয়াতের মাধ্যমে জনমত তৈরী করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে।গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে মুসলমানদের যখন বিজয় হবে তখন গনতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে ইসলামী গনতন্ত্র সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।

ইসমতে আম্বিয়া,,আল্লামা মাওদুদী রহঃ প্রতি জুলুম,ইমাম আব্দুল হান্নান

আব্দুল হান্নান 

 নবীদের ভুল নিয়ে সৈয়দ আবুল আ'লা মওদূদী(রহঃ) ও উলামায়ে দেওবন্দের বক্তব্য!!

★আল্লামা মওদূদী'র বক্তব্যঃ

'এটি একটি সূক্ষ্ম রহস্য যে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা ইচ্ছা করে প্রত্যেক নবী থেকে কোন না কোন সময় তাঁর হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে দু'একটি ভূল ত্রুটি হতে দিয়েছেন যাতে মানুষ নবীদেরকে খোদা না বুঝে'।(তাফহীমাত ২/৪৩)!

★মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর বক্তব্যঃ

'কোন কোন সময় নবীদের থেকে ভুল ত্রুটি হওয়ার যে ঘটনা সমূহ কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে এগুলো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হেকমত ও রহমত।এর মধ্যে এক বড় ফায়দা এও যে, মানুষের মনে যেন নবীদের খোদা হওয়ার সন্দেহ না হয়'।(মাজালিসে হাকীমুল উম্মাতঃ মুফতী শফী, ৬৫ পৃষ্ঠা)!

প্রিয় পাঠক! আল্লামা মওদূদী আর মাওলানা থানবীর বক্তব্যের মাঝে কি অমিল পাওয়া গেছে? না, তবুও এই কারণে আল্লামা মওদূদী কাফের বলে। কিন্তু মাওলানা থানবী কাফের নন। দেওবনদের আকিদা,,,,

★উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা সুলাইমান নদভীর বক্তব্যঃ

'মানুষ হিসেবে তাদের থেকেও ভূল ত্রুটি হতে পারে।কিন্তু আল্লাহ তাঁর ওহীর দ্বারা এসমস্ত ভূল ত্রুটিরও সংশোধন করে থাকেন'।(সিরাতুন্নবী ৪/৭০)!

আল্লামা নদভীকে কিন্তু এই কথা বলার কারণে কেউ কাফের বা ভ্রান্ত বলেনা।কিন্তু মওদূদী বললেই..

★ফারায়েয শাস্ত্রের ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী'র বক্তব্যঃ'

আম্বিয়া কিরাম নবুয়্যাত প্রাপ্তির পর থেকে ইচ্ছাকৃত কবীরা ও সগীরা গুনাহ থেকে পবিত্র। কিন্তু ভূল বশতঃ কবীরা ও সগীরা গুনাহ হতে পারে'।(ইছমতে আম্বিয়া, ২৮ পৃষ্ঠা)!

'আদম (আঃ) অবাধ্য ছিলেন।আর অবাধ্য হওয়াকে আমরা কবীরা গুনাহ মনে করি'(ইছমতে আম্বিয়া, ৩৬ পৃষ্ঠা)!এই কথাটি আল্লামা মওদূদী বললে কেমন হত?

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদাঃ

'ভূল বশতঃ কবীরা গুনাহ হওয়ার ব্যপারে অধিকাংশ আলেমদের মত হলো তা জায়েয ও সম্ভব।এমনকি জমহুর উলামার মতে নবীদের থেকে ছগীরা গুনাহ ইচ্ছাকৃতও হতে পারে'।(কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসায় পাঠ্য আকীদার কিতাব শরহে আকাঈদে নসফীঃইছমতে আম্বিয়া)!

ধৈর্যশীল পাঠক! চিন্তা করুন, মওদূদী বলেছেন ভুল হতে পারে!তাতেই তাঁকে ভ্রান্ত, কাফির ইত্যাদি বলা হয়।তাঁর বিরুদ্ধে একশ্রেণীর কওমী মূর্খ ও মিথ্যাবাদী আলেম অপবাদ দেয় তিনি নাকি নবীদেরকে নিস্পাপ মনে করেন নি!

তাদের দলিলঃ

উপরোল্লিখিত আল্লামা মওদূদীর বক্তব্য।অথচ যেসকল ইমামরা গুনাহ হতে পারে বলেছেন তাদেরকে কিছু বলা হয়না।এবার কি বুঝতে পেরেছেন সত্যটা? হোসাইন আহমাদ মাদানী মওদূদীর এই বক্তব্যের জন্য বলেছেন 'এবার বলুন জামায়াতে ইসলামী ও এর প্রতিষ্ঠাতা মুসলমান কিনা'?(মওদুদী দস্তর)!

এ থেকে বুঝা যায় মওদূদীর জ্ঞানের পরিধি হোসাইন মাদানীর চেয়ে কত বেশী ছিল!যারা এতদিন ভূলের মধ্য ছিলেন তারা কি সন্দেহমুক্ত হয়েছেন? নাকি জামায়াতে ইসলামী করাই তার একমাত্র অপরাধ?নাকি প্রাণের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে অনুসরণ করার চেষ্টায় তার ভূল? নাকি অন্যান্য আলেমদের মত ইসলামের অর্ধেক মেনে নিয়ে অর্ধেক মেনে অর্ধেক মেনে না নিয়ে চলেন নি তাই তিনি বড় অপরাধী?

মন্তব্যঃ

আল্লামা মওদুদী (রহঃ) এর একমাত্র অপরাধ ছিল তিনি নিজেকে খানকার চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারেননি বরং দ্বীন কায়েমের জন্য রাজপথে নেমে এসেছেন।তাই খানকা ওয়ালারা তার বিরুদ্ধে হাজারো বানোয়াট বই লিখেছে!!

সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী রহঃ এর বিরুদ্ধ বিরোধিতার আরো একটি কারণ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বভৌমত্বের দাবী পাকিস্তান স্বাধীন এর পক্ষে যাবার জন্য হুসাইন আহমদ মাদানীর সাথে দ্বন্দ্ব। হুসাইন আহমদ মাদানী অখণ্ড ভারতের কংগ্রেসের পক্ষে কাজ করছিল তিনি চাচ্ছিলনা পাকিস্তান স্বাধীন হোক এবং মওদুদী রহঃ কে তিনি নির্দেশ দেন যে কংগ্রেসের পক্ষে পাকিস্তান স্বাধীন এর বিপক্ষে পত্রিকায় বিবৃতি দেবার জন্য, এই প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়ে মওদুদী রহঃ দেওবন্দ থেকে বেরিয়ে আসেন।এর পরই হুসাইন আহমদ মাদানীর সমর্থকরা মওদুদী রহঃ এর বিরুদ্ধ বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে থাকে যা আজো বন্ধ হয়নি।

তাগুতের ব্যাক্ষা

তাগুতের সংজ্ঞাঃ
তাগুত হচ্ছে সেই শক্তি যে শক্তিতে মানুষ ও জ্বীন শয়তান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজে আল্লাহর হুকুম পালন করে না পক্ষান্তরে অন্যকেও আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন এবং প্রতিষ্ঠার পথে বিরোধিতা করে।

তাগুতের উৎপত্তিঃ শয়তান আল্লাহ তায়ালাকে বলেছিল 
قالَ فَبِما أَغوَيتَنى لَأَقعُدَنَّ لَهُم صِرٰطَكَ المُستَقيمَ
 ثُمَّ لَءاتِيَنَّهُم مِن بَينِ أَيديهِم وَمِن خَلفِهِم وَعَن أَيمٰنِهِم وَعَن شَمائِلِهِم ۖ আরাফ ১৬-১৭ আয়াতوَلا تَجِدُ أَكثَرَهُم شٰكِرينَ

সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো।
 এরপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না

[
তাগুত সম্পর্কে প্রথমে কোরআন কি বলে আমরা জেনে আসি। 
কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে—এক. 
 لا إِكراهَ فِى الدّينِ ۖ قَد تَبَيَّنَ الرُّشدُ مِنَ الغَىِّ ۚ فَمَن يَكفُر بِالطّٰغوتِ وَيُؤمِن بِاللَّهِ فَقَدِ استَمسَكَ بِالعُروَةِ الوُثقىٰ لَا انفِصامَ لَها ۗ وَاللَّهُ سَميعٌ عَليمٌ

‘দ্বীনের ভিতর কোন জবরদস্তি নেই, সত্য পথ মিথ্যা পথ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরল, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)।
 দুই. 

 اللَّهُ وَلِىُّ الَّذينَ ءامَنوا يُخرِجُهُم مِنَ الظُّلُمٰتِ إِلَى النّورِ ۖ وَالَّذينَ كَفَروا أَولِياؤُهُمُ الطّٰغوتُ يُخرِجونَهُم مِنَ النّورِ إِلَى الظُّلُمٰتِ ۗ أُولٰئِكَ أَصحٰبُ النّارِ ۖ هُم فيها خٰلِدونَ
,
‘যারা ঈমান আনে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে যান। আর যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো জাহান্নামের অধিবাসী...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)। 
তিন. 
 وَلَقَد بَعَثنا فى كُلِّ أُمَّةٍ رَسولًا أَنِ اعبُدُوا اللَّهَ وَاجتَنِبُوا الطّٰغوتَ ۖ
 
‘আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও তাগুত বর্জন করো...।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৩৬)।

 চার.
قُل هَل أُنَبِّئُكُم بِشَرٍّ مِن ذٰلِكَ مَثوبَةً عِندَ اللَّهِ ۚ مَن لَعَنَهُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيهِ وَجَعَلَ مِنهُمُ القِرَدَةَ وَالخَنازيرَ وَعَبَدَ الطّٰغوتَ ۚ أُولٰئِكَ شَرٌّ مَكانًا وَأَضَلُّ عَن سَواءِ السَّبيلِ
[
 ‘বলে দাও, আমি কি তোমাদের এর চেয়েও নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দেব, যা আল্লাহর কাছে আছে? যাদের আল্লাহ লানত করেছেন ও যাদের ওপর তিনি ক্রোধান্বিত, আর যাদের মধ্য থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং যারা তাগুতের উপাসনা করে। তারা মর্যাদার দিক থেকে নিকৃষ্টতর ও সরল পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬০)।

 পাঁচ. 
 أَلَم تَرَ إِلَى الَّذينَ أوتوا نَصيبًا مِنَ الكِتٰبِ يُؤمِنونَ بِالجِبتِ وَالطّٰغوتِ وَيَقولونَ لِلَّذينَ كَفَروا هٰؤُلاءِ أَهدىٰ مِنَ الَّذينَ ءامَنوا سَبيلًا

তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যাদের কিতাবের এক অংশ দেওয়া হয়েছে, তারা প্রতিমা ও তাগুতের প্রতি ঈমান আনে। তারা কাফিরদের বলে, এদের পথ ঈমানদারদের চেয়ে প্রকৃষ্টতর।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫১)। 

ছয়.

أَلَم تَرَ إِلَى الَّذينَ يَزعُمونَ أَنَّهُم ءامَنوا بِما أُنزِلَ إِلَيكَ وَما أُنزِلَ مِن قَبلِكَ يُريدونَ أَن يَتَحاكَموا إِلَى الطّٰغوتِ وَقَد أُمِروا أَن يَكفُروا بِهِ وَيُريدُ الشَّيطٰنُ أَن يُضِلَّهُم ضَلٰلًا بَعيدًا

তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য। কিন্তু শয়তান তাদের ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করতে চায়।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৬০)। 

সাত.

 الَّذينَ ءامَنوا يُقٰتِلونَ فى سَبيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذينَ كَفَروا يُقٰتِلونَ فى سَبيلِ الطّٰغوتِ فَقٰتِلوا أَولِياءَ الشَّيطٰنِ ۖ إِنَّ كَيدَ الشَّيطٰنِ كانَ ضَعيفًا

 ‘যারা ঈমান আনে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। আর যারা কুফরি করে তারা তাগুতের পথে লড়াই করে। সুতরাং তোমরা লড়াই করো শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৭৬)

 আট.
 وَالَّذينَ اجتَنَبُوا الطّٰغوتَ أَن يَعبُدوها وَأَنابوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ البُشرىٰ ۚ فَبَشِّر عِبادِ
[
‘যারা তাগুতের উপাসনা বর্জন করে আল্লাহর অভিমুখী হয়, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। কাজেই আমার বান্দাদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ১৭)।





















চর্মোনায় পীরদের কুফুরী আকিদা ত্যাগের আহবান

চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে। আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা। শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো । চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” ( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা ) (১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) (২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ) (৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) (৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ) (৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা ) (৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা ) (৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা ) (১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ) (১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা ) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন ? আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।” ( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন ) কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে । ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১) আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের

চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ

জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲

ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ইতেকাফের প্রভাব

ইক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ইতেকাফের মনস্তাত্ত্বিক ভূমিকা

ইমাম আব্দুল হান্নান

ইতেকাফ ইসলামী শরীয়তে ফরজ বা সরাসরি ওয়াজিব এবাদত না হলেও ইতেকাফের ব্যপ্তি উম্মতের জন্য অনেক ওজনদার।কোন এলাকা হতে সবাই যদি ইতেকাফ হতে বিরত থাকে তবে ঐ এলাকার সমস্ত মানুষ গোনাহগার হবে।আর একজন মানুষ যদি ইতেকাফ করে তাহলে সবাই গোনাহ হতে বেঁচে যাবে।তাহলে বুঝতে হবে এর হকিকত কি? আর এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতেকাফের প্রভাব কি? আমি ইতেকাফের ফজিলত বর্ণনা করবো না,সংক্ষিপ্ত পরিসরে ইকামাতে দ্বীন সম্পর্কে একটু ধারনা দিচ্ছি। আমরা প্রথমে ইকামত সম্পর্কে তারপর দ্বীন সম্পর্কে ধাপে ধাপে বোঝার চেষ্টা করি,

إقامةঃ

আরবি শব্দ,যার অর্থ দাড় করা,প্রতিষ্ঠা করা,অটল রাখা, কোন মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করা।

দ্বীন (دينঃ

এর অর্থ পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যস্থা। শরীয়তের পরিভাষায় ইসলামি জীবন ব্যবস্থাকে একটি মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করার নামই এক্বামাতে দ্বীন।
ইক্বামতে দ্বীনের কাজ শুরুঃ
এক্বামাতে দ্বীনের যাত্রা শুরু হয় ব্যক্তি জীবনের সাড়ে তিন হাত শরীর হতে পারিবারিক জীবনের মধ্য দিয়ে বাড়ির দরজা পার হয়ে সামাজিক রন্ধে রন্ধে হয়ে রাষ্টীয় জীবনের সর্বোচ্চ চুড়া পর্যন্ত জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অব্দি নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করাই এক্বামাতে দ্বীনের কাজ।

ইতেকাফ কিভাবে এক্বামাতে দ্বীনের উপর প্রভাব ফেলেঃ

ইতেকাফরত ব্যক্তি দুনিয়াবী কোন কাজ কারবার যখনই করতে যায় তখনই মনস্তাত্ত্বিক ভাবে তার ভিতর খটকা লাগে যে আমি ইতেকাফে আছি এ কাজ করা যাবেনা।মনের ভিতর থেকে কে যেন নিষেধ করে দুনিয়াবী কাজ কারবার করা যাবেনা।নফস শয়তান যদিও নানা দুনিয়াবী কাজ কারবারের কথা মনে করিয়ে দেই তথাপিও আল্লাহর বান্দা দশটা দিন নিজের খারাপ নফসের সাথে যুদ্ধ করে ইতেকাফের হক্ব আদায় করে।প্রতিটা মুহূর্তে তাকে নফস শয়তানের হাতছানি আল্লাহর নাফারমানী দুনিয়াবী চিন্তা চেতনা থেকে বেঁচে থাকতে হয়।এই ব্যক্তিগুলো ইতেকাফ হতে যখন বেরিয়ে যায় তখন আল্লাহর নাফারমানী সংঘটিত হবার কথা সে ভূলে যায়। তার মানে সে ইতেকাফের প্রশিক্ষন গ্রহন করেনি।ইতেকাফ থেকে বেরিয়ে যখন সে জীবনের প্রতিটা বাঁকে বাঁকে যাবতীয় খোদাদ্রহী কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্যদের দ্বারা যাতে খোদাদ্রহীতা সংঘটিত না হতে পারে তার প্রচেষ্টা করা।ইতেকাফ অবস্থাতে দশ দিনের জন্য একজন মানুষ যদি দুনিয়ায়বী কাজ কারবার আল্লাহর নাফরমানী হতে বিরত থাকতে পারে তাহলে ইতেকাফের বাহিরে এসে তাঁকে জীবনের বাঁকে বাঁকে এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর যাবতীয় নাফরমানী হতে দূরে থাকায় এতেকাফের শিক্ষা।

এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় করনীয়ঃ

বর্তমান পরিস্থিতিতে এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা কারী নিজের পরিবার এবং নিকট আত্মীয়দের কাছে সরাসরি দাওয়াতী কাজ করলেও সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে ইক্বমতে দ্বীন প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে তাকে তিনটি নীতি মেনে কাজ করতে হবে।
১।আল্লাহর নাফারমানীর সরাসরি বাঁধা দেবার শক্তি যেহেতু তার নেই সেজন্য ২নং পন্থা গ্রহন করা লেখনী অথবা দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নাফরমানী সম্পর্কে সতর্ক করা।
৩।সেটাও যদি সম্ভব না হয় তবে নাফারমানদের সম্পর্কে অন্তরে ঘৃনার পোষন করা এবং নাফারমানদের সমস্ত সংশ্রব হতে নিজ ও পরিবারকে বাচিয়ে রাখা।

ব্যাক্তিগত জীবনে ইক্বামতে দ্বীনঃ ১ম পর্ব

আচ্ছলাতু খইরুম মিনান নাউম,,শুরু ব্যক্তি জীবনে ইক্বামতে দ্বীনের কাজ,ফজরের নামাজ জামাতে পড়তেই হবে।নামাজের পূর্বের পাক পবিত্রতা সব সেরে নিয়ে নিজের পবিত্র পোশাকটা পরে নামাজে হাজির হতেই হবে।নামাজ শেষ কুশল বিনিময় করে ইক্বামতে দ্বীনের জন্য যথাসাধ্য দুই একজন মানুষ কে ঐ সময়েই দাওয়াত প্রদান করা।ফজরের নামাজ শেষে বাড়িতে এসে নিশ্চিত হওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফজরের নামাজ পড়েছে কিনা?সকালে কর্মে বের হওয়ার পূর্বে দিনটাকে দুই ভাগে ভাগ করা, দ্বীন+ দুনিয়া। বেঁচে থাকতে গিয়ে আমি দুনিয়ার কাজ যতটুকু করবো তাতে যেন বিন্দু পরিমান দ্বীনের বিচ্যুতিমূলক কোন কাজ না হয়।যেমন দুনিয়াবী কাজ করতে গিয়ে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কি আমার কথা শুনছে না আল্লাহর কথা শুনছে? নিশ্চিত হতে হবে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহর কথা শুনছেন।দুনিয়াবী কাজ কারবার করতে গিয়ে ঘুষ খেলাম সুদ খেলাম,চুরি করলাম,কাউকে ঠকালাম ইত্যাদি অন্যায় যেন না হয়।আর দুনিয়াবী কাজ করতে গিয়ে দ্বীনের অর্ধেক কাজ যে বাকি আছে সেটা যেন চলমান থাকে।

ব্যাক্তিগত জীবনে ইক্বামতে দ্বীনঃ২য় পর্ব

মানুষের অন্তরের মধ্যে ইক্বামতে দ্বীনের যে একটা সরল রাস্তা আছে ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যে রাস্তা ধরে সে চলবে শয়তান বহু আগে হতে সেই রাস্তায় চাক্রান্তের জ্বাল ফেলে অপেক্ষমান।আল্লাহ বলেন,قَالَ فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَہُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ ۙ (ইবলীস) বললঃ আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি - আমি আপনার সরল পথে অবশ্যই ওৎ পেতে বসে থাকব।( আরাফ ১৬ আয়াত) ثُمَّ لَاٰتِیَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِہِمۡ وَ عَنۡ اَیۡمَانِہِمۡ وَ عَنۡ شَمَآئِلِہِمۡ ؕ وَ لَا تَجِدُ اَکۡثَرَہُمۡ شٰکِرِیۡنَ অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব, আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেননা।( আরাফ১৭ আয়াত)ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা কারীদের মনের মধ্যে আল্লাহর স্থানে শয়তান আর একজনকে খোদা সৃষ্টি করে দেবার চেষ্টা করবে এই জন্য যে মানুষ সেগুলোর প্রভাবে পড়ে ইক্বামতে দ্বীন থেকে যেন বিচ্যুত হয়

 

হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা

হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা

লিখেছেন: মোঃ আব্দুল হান্নান ক্যাট্যাগরি: সাহিত্য ও সংস্কৃতি জানিনা কবে অবসান হবে এই হিংসাত্মক আক্রমনের, ১৮৩১ সালে বালাকোট যুদ্ধে হিন্দু রাজা রনজিৎ সিং এর হাতে সৈয়দ আহাম্মদ ব্রেলভীর শিরচ্ছেদ এবং হরি সিং নালওয়ার হাতে শাহ ইসমাইল ব্রেলভীর শাহাদত বরন সহ অসংখ্য মুসলমানদের প্রান কেড়েছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় শামেলীর যুদ্ধে থানা ভবনে হাজি এমদাদুল্লাহ,কাশেম নানুতুবী মুসলিম মুজাহিদরা ইংরেজদের নিকট একপ্রকার পরাজিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে এমদাদুল্লাহ সাহেব মক্কায় হিজরত করেন এবং অন্যান্যরা ইংরেজদের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে,ভারতীয় উগ্রবাদী প্রভাবশালী হিন্দু জমিদাররা ইংরেজদের সাথে মিলে মুসলিম নেতৃত্বদান কারীদের গ্রেফতারে সহায়তা করে তখনই বিজ্ঞ মুসলমানরা অনুধাবন করতে পেরেছিল যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে ইংরেজ তাড়ালেও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে উপ মহাদেশের মুসলমানরা নিরাপদ না আর এ জন্যই ইংরেজ বিতাড়িত হবার পূ হতেই মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্তের দাবী উঠতে থাকে।ইংরেজ বিতাড়িত হবার পর মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্বের দাবী যখন তুঙ্গে তখন বালা কোট এবং শামেলীর যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাৎ আর হয়রানির অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে তখনকার পুরাতন লোক হুসাইন আহম্মেদ মাদানি উলামায়ে হিন্দের ডাক দিয়ে মুসলমানদের এই আন্দোলনের বিরোধিতা শুরু করলো।হুসাইন আহাম্মদ মাদানীর এই সিদ্ধান্তে অনেক ইসলামীক স্কুলাররা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তার পরেও মুসলমানদের যখন বিজয় হলো এবং আলাদা রাষ্ট্র পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তান হলো তখন হতেই এই হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং তাদের উত্তরসুরিরা স্বাধীনতাকামী মুসলমান আলেম উলামাদের বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী রাজনীতিবিদদেরকে হিন্দুরা দেখতে না পারলে হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং দেও বন্দীদের সাথে বিশেষ করে কংগ্রেসের দহর্রম মহরম ভালোই ছিল, মওলানা হুসাইন আহম্মেদ মাদানিকে এই জন্য ১৯৫৪ সালে কংগ্রেস সরকার পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান কের।হুসাইন আহমেদ মাদানি মুসলমানদের আলাদা সার্বোভৌত্তের দাবী নাকচ করে বিরোধিতা শুরু করে কংগ্রেসের সাথে উলামায়ে হিন্দ কে নিয়ে যোগ দিলো কিন্ত স্বাধীনতাকামী মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে পারলোনা স্বাধীনতা দিতেই হলো পরাজয়ের মাধ্যমে। সেই থেকেই স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের সারাজীবন দেও বন্দীরা বিরোধিতা করে আসছে তাদের পরাজয়ের কারনে। তাদের পরাজয়ের হিংসাত্মক আক্রমনের শিকারে পরিনত হয় আলিয়া মাদ্রাসার নিরিহ আলেমেরা ও স্বাধীনতাকামী মুসলমানরা যার বিষবাষ্প এখনো চলমান। দিনে দিনে কওমী সন্তানদের হিংসা ভয়ংকর রূপ ধারন করছে। পুরাতন কওমী উলামাদের ভিতরে মতানৈক্য ছিলো, হিংসা ছিলো তুলনামূলক কম, তবে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ছবকই হলো আলিয়া পড়ুয়ারা এবং ইসলামি রাজনীতি বিদরা বিশেষ করে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত উলামায়ে হিন্দের বিপরীতের ইসলামি দলগুলো ফাসেক, অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় যেন তারা হিন্দুয়ানীদের তাবেদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হলে আগে পাকিস্তানের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতেই হবে কারন বাংলাদেশ পাকিস্তান নামক দেশ হতে স্বাধীন হয়েছে ভারত থেকে স্বাধীন হয়নি, পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধী যারা ছিলো তারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারেনা। বিভিন্ন সরকারের কাছ হতে ফায়দা হাসিল আর জেল জরিমানার ভয়ে কওমীরা এখন নুতন সুর তুলেছে স্বাধীনতার পক্ষের লোক বলে। আজ হতে ২০ বছর পিছনে যারা রাজনীতিকে হারাম আর ফেৎনা ফতুয়া দিত তারা আজ গদী আর ক্ষমতার জন্য বিপরীত মতের লোকদের কাফের, ফাসেক, বাতেল নানা অপবাদে জাতির ভিতর বিষোদগার ছড়াচ্ছে যা মুসলিম উম্মাহর জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতির অপেক্ষা করছে।হুসাইন আহম্মেদ মাদানীর পূর্ব পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির আনজাম গৌরবময়, হুসাইন আহম্মেদ হতে কালিমা লেপন শুরু হয়েছে যেমন ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে আওতায়, ইসলামিক স্কলারদের বিরুদ্ধে মনগড়া ফতোয়া, প্রতিষ্ঠানের গৌরবের নাম দিয়ে ভিন্ন মতের মানুষদের কে কাফের, বাতিল, গোমরা এজাতীয় ফতোয়া প্রচার করা,প্রতিষ্ঠানের নিরীহ ছাত্রদের মাঝে ভিন্নমতের মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করা,ভিন্নমতের মানুষদের প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের যাতে ঘৃনার সৃষ্টি হয় সেজন্য বিষোদগারের তালিম দেয়া,দেখবেন পরিক্ষা করে তাদের একজন ছাত্রকে বলবেন মওদুদী সম্পর্কে মতামত সে প্রথম ধাক্কায় উত্তর দিবে মওদুদী ভ্রান্ত,তাকে যদি জিজ্ঞেস করেন মওদুদীর কোন বইটা পড়েছো?সে বলবে পড়িনি বা বয়ের নাম ও বলতে পারবেনা,তাকে কে শিখাইল মওদুদী রহঃ ভ্রান্ত?ঐ যে হুসাইন আহম্মেদ ঐ সিলসিলা থেকে মিথ্যা এই অপবাদ আজ অবদী চলে আসছে।সুতরাং হিংসা শিখতেই তাদের সময় নষ্ট তারা বাস্তবমুখী শিক্ষা কিভাবে শিখবে?তাদের কারো সামনে দিয়ে তাদের টুপি পরে যদি আপনি না যান তাহলে তাদের ৯৮শতাংশ লোক আপনাকে সালাম দিবেনা পরিক্ষিত,ফেসবুকের কমেন্ট সেকশন গুলোতে তাদের ভাষা দেখবেন কত নেতিবাচক , আল্লাহ তাদের মন থেকে তুমি হিংসা দূর করে দাও।

বর্তমান কওমী এলেমের ভিতর আসছেনা কয়েকটি কারণে ঃ

১।অন্তরে হিংসাত্মক মনোভাব। ২।যাকাত ফিতরা কোরবানির চামড়া ছদকার ব্যবহারের ত্রুটি যেমন, ইসলামী শরিয়ত এগুলো খেতে যাদের নিষেধ করেছে ৯৮ভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্ররা ঘুরিয়ে পেচিয়ে এগুলো খাচ্ছে। ৩।বলাৎকারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ৪।শাসনের নামে নির্দয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫।ছোট থেকে ভিন্ন মতের আলেমদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন শিখানো হচ্ছে ৬।মাথায় শরীরে দৃশ্যমান সুন্নাহ থাকলেও সুন্নাহর প্রয়োগ নেই,যেমন কওমী ৯৫ ভাগ ছাত্ররা তাদের ওস্তাদ বা বড়ভাই ও খুব পরিচিত ছাড়া ছালাম দেইনা,ভিন্ন মত ও ভিন্ন ধরনের টুপিধারীদের তারা ছালাম দেইনা পরিক্ষিত। ৬।ভিন্ন মতের ইসলামী দলকে দূরে রেখে বাতিলের সাথে ৭০শতাংশ আলেমদের মহরম ধহরম বা চামচামির বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান হচ্ছে। ★ যাদেরকে এরা আকাবির বলে তাদের ভিতর কিন্ত এগুলো ছিলনা যার কারনে তাদের এলেমে তাছির ছিল।যদিও একটু আধটু মতানৈক্য ছিলো ভিন্ন মতের আলেমদের নিয়ে তারা ফতোয়াবাজী মাতামাতির সীমা লঙ্ঘন করেনি।

ইমাম মুয়াজ্জিনদের প্রতি নসিহত

আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু আচ্ছালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আমি এখানে এলেমের কোন আলোচনা করবোনা,আমি আপনাদের নিকট আরজ করো আযানটা যেন ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরে দেয়া হয়, ওয়াক্ত শুরুর আগে আযান দিলে মনে ঐ মসজিদের ইমাম মুর্খ কোন ব্যক্তি অথবা বেতন কাটা বা ইমামতি নষ্ট হবার ভয়ে সত্য বলতে ভীত।আর অনেক মসজিদে আযানের আগে নানা ধরনের গজল কেরাত পাঠ করে আযান দেয় যা শরীয়ত সম্মত নয়।এগুলোর দিকে ইমাম মুয়াজ্জিনদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

কর্ণেল শাপলার কৃতিত্ব

আমার জীবনে পিতামাতার পর যারা অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হচ্ছেন কর্ণেল শাপলা।পুরো নাম কর্ণেল নাহিদ রিয়াজ শাপলা classified spl in obs & gynae MBBS,MCPS,DGO,FCPS( obs& gynae),,FELLOW IN MFM(Singapore) চিকিৎসা  শাস্ত্রের অসামান্য ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা তেও রেখেছেন অসামান্য অবদান। সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের খুব পছন্দের একটা মানুষ।  দেখলেই মায়ের মত শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে প্রাণটা।আমি ইনফেন্ট্রীর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, কর্ণেল পদবীর অফিসারদের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ খুবই কম।আমাদের নিকট উনারা ভি আই পি মর্যাদার।আমার স্ত্রী অত্যান্ত অসুস্থ হয়ে যশোহর সি এম এইচ কর্ণেল শাপলা স্যারের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছিল।খুব যত্নের সাথে পরিক্ষা নিরিক্ষা করছিলেন,সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিল অপারেশন করতে হবে।আমারা পারিবারিক ভাবে অপারেশনের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আমি তখন রাংগামাটির বুড়িঘাট ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার। আমার স্ত্রী তখন বিষয়টি আমাকে জানালেন,আমি সিনিয়র, জুনিয়র সবার কাছে পরামর্শ নিতে সবার একটাই কথা শাপলা ম্যাডাম খুব ভালো মানুসীকতার ডাক্তার। অপারেশনে উনার অনেক সুনাম আছে আপনি ভাবির অপারেশন করান।অপারেশনের সব প্রস্তুতি নিতেই শুরু হলো ক্রোনার আগ্রাসন।যশোরের অপারেশন বন্ধ। আর অপারেশন হলোনা।আমা র রোগীর অবস্থাও দিন দিন অবনতির দিকে,হঠাৎ শুনতে পেলাম ম্যাডামের ঢাকাতে পোস্টিং,আমার মাথায় বজ্রাঘাতের মত।

নওয়াইতুাআন নিয়তের ইতিহাস

মুসলমানদের প্রত্যেকটা কাজ কারবার লেনদেন ইত্যাদিতে নিয়ত একটা অপরিহার্য্য বিষয়।নিয়তের ক্ষেত্র হলো অন্তর। ফলে নিয়ত করতে হবে অন্তর দ্বারা। অন্তরের সংকল্প ছাড়া শুধু মুখে নিয়ত করলে যথেষ্ট হবে না।নিয়ত আরবি শব্দ এর অর্থ ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, মনোবাঞ্ছা, প্রত্যয়, সংকল্প ইত্যাদি। পরিভাষায় আল্লাহ তাআলার আনুগত্য, সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও তাঁর নির্দেশ পালনার্থে কোনো কাজ করার দৃঢ় সংকল্পকে নিয়ত বলে। নিয়ত দুটি কারণে করতে হয় এক. অভ্যাস থেকে ইবাদতকে পার্থক্য করার জন্য। দুই. এক ইবাদতকে অন্য ইবাদত থেকে পার্থক্য করার জন্য। কেননা ইবাদত বিভিন্ন ধরনের। যেমন ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল। সুতরাং নিয়তের মাধ্যমেই পার্থক্য হবে সে ফরজের নিয়ত করেছে, নাকি ওয়াজিবের, নাকি সুন্নাতের। আমাদের উপমহাদেশে নামাজ রোজার ক্ষেত্রে মুখে মুখে নওয়াইতুয়ান আরবী বাক্য দ্বারা যে নিয়ত শুরু করে সেটা কোরআন হাদিসে কোথাও নেই।তাহলে আমাদের সাধারণ জনগণ এটা পেলো কোথায়? কি এর ইতিহাস এটাই আমাদের প্রবন্ধের মূল আলোচনা।মুহাম্মদ বিন কাশিমের ভারত অভিযানের পূর্বেও উপমহাদেশে আরব্য বানিজ্যিক কাফেলাদের হাত ধরে কিছু মানুষ ইসলাম গ্রহন করেছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে আরবী ফার্সী ভাষাভাষি লোকদের মাধ্যমে ।তারা যখন নওমুসলিমদের দ্বীন শিক্ষা দিত তখন স্থানীয় দোভাষীরাও তাদের অনেক ভাষা বুঝতনা,অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে অনেক কাজ সম্পন্ন হত।এবাদতের ক্ষেত্রে ও এমন অনেক শব্দগত বিষয় রয়েছে যা ভাষাগত ভাবেই প্রচলিত হয়েছে যেমন,নামাজ,রোজা কে বলে সালাত,সিয়াম।নামাজ বা সালাত,রোজা বা সিয়াম কিভাবে পালন করতে হয় সেটা তারা সরেজমিনে দেখিয়ে শিখাতে পেরেছে কিন্ত নিয়ত যে সংকল্পের নাম এবং অন্তর দ্বারা করতে হয় এটা তারা তখন বোঝাতে না পেরে এরকম গদভাধা একটা আরবী নিয়ত শিখিয়ে দেই।উপমহাদেশে ইসলামের প্রাথমিক যুগে এগুলোর উপর তেমন গবেষনার প্রয়োজন পড়েনি ।তার কারন ইসলামে যে আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে এবং ইমামদের অনুস্বরনের যে বিষয় বলা হয়েছে সে গুলো তারা বিনা বাক্যে মেনে নিয়েছিলো তার জন্য তখন এতটা খোজা হয়নি।আস্তে আস্তে মানুষ যখন ইসলামের সাথে সাথে পরিচিত হলো কিতাব পুস্তক ব্যপকহারে মানুষের হাতে আসলো মানুষ যখন চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে আরবি ভাষা এবং কোরআন হাদিসের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করলো যাচাই বাছাই ক্ষমতা যখন মানুষ করতে শিখলো তখন বুঝতে পারলো যে এভাবের নিয়ত কোরআন হাদিসের কোন শব্দ না এটা প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে তখন মানুষকে শিখানো হয়েছিলো।নিয়ত সম্পর্কে মানুষ যেহেতু এখন বোধগম্য হয়েছে সুতরাং এখন আর মৌখিক ঐ নিয়ত করা যাবেনা।তাহলে এতদিন যারা মৌখিক নিয়ত করে এসছে তারা কি কোন অপরাধ করেছে ? না মোটেও অপরাধ করেনি,নিয়ত সম্পর্কে তাদের বোধগম্যে যতটুকু এসেছে ততটুকুর মা ধ্যমেই তারা নিয়ত করেছে এখন বোঝার পর যেহেতু তারা মনের সংকল্পের মাধ্যমেই নিয়ত করছে সুতরাং আল্লাহ তাদের পুর্বের মৌখিক নিয়ত সমুহকে অন্তরের সংল্পের নিয়ত দ্বারা পরিবর্তন করে কবুল করে নিন।

আকিদা

১।আল্লাহ সম্পর্কে আকিদাঃ এক আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহা নেই,তিনি এক ও একক তার কোন শরীক নেই।কালামে তাওহীদ,তামজীদ, ঈমানে মুজমাল ও মুফাস্সল এর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়ন।আল্লাহ্‌তায়ালাই প্রকৃত অস্তিত্ব । তিনি ছাড়া বাকী যা কিছু আছে সে সমস্তকে আল্লাহ্পাকই অস্তিত্বে এনেছেন। সুতরাং স্বয়ং অস্তিত্ব যিনি, তিনিই আল্লাহ্ । তিনি খালেক (স্রষ্টা) । আর তিনি যাদেরকে অস্তিত্ব প্রদান করেছেন তারা মাখলুক (সৃষ্টি) ।আল্লাহ্পাকের জাত (সত্তা ও অস্তিত্ব) এক, অদ্বিতীয়। তাঁর সিফাত (গুণাবলী) এক, অদ্বিতীয় এবং তাঁর আফআ’ল (কার্যাবলী)ও এক, অদ্বিতীয় । তাঁর অস্তিত্ব, গুণাবলী ও কাজ, সৃষ্টির অস্তিত্ব, গুণাবলী এবং কাজের মতো নয় । প্রকৃতপক্ষে কোনো বিষয়ে কেউ বা কোনো কিছু তাঁর সঙ্গে সংযুক্ত নয় । অংশীও নয়। না অস্তিত্বের বিষয়ে। না গুণাবলী বা কাজের বিষয়ে । আল্লাহ্পাকের জাত প্রকারবিহীন (বে-মেছাল) ।তাঁর সিফাতও বে-মেছাল । তেমনি তাঁর কার্যকলাপও বে-মেছাল । সৃষ্ট বস্তুসমূহের জাত, গুণ ও কাজের সঙ্গে তাঁর কোনোই সম্বন্ধ নেই । ২।ক্বোরআন সম্পর্কে আকিদাঃ আল্লাহর পক্ষ হতে জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সঃ এর উপর অবতীর্ন পূর্বের নবী রাসূলগণ এবং তাদের উপর নাযিলকৃত কিতাব সমুহের সত্যায়নকারী সর্বশেষ আসমানী কিতাব।যা মানবতার মুক্তির সংবিধান এর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস এবং এর নির্দেশিকা নিজের,পরিবারের,সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা। ৩।রাসূলগণ সম্পর্কে আকিদাঃ সাইয়্যেদেনা আদম আঃ হতে আখেরী পয়গাম্বর পযর্ন্ত যত নবী ও রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন সবার প্রতি ঈমান ও মহব্বত আছে এবং তিনাদের উপর প্রেরিত কিতাব সমুহের প্রতি ঈমান আছে।বিশ্বনবী মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর সর্বশেষ নবী ও রাসূল।তিনার উপর সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে যা বিশ্ব মানবতার জন্য সর্বশেষ চুড়ান্ত জীবন ব্যবস্থা ৪।বিশ্বনবীর উপর আকিদাঃ বিশ্বনবী মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর সর্বশেষ নবী ও রাসূল।তিনার উপর সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে যা বিশ্ব মানবতার জন্য সর্বশেষ চুড়ান্ত জীবন ব্যবস্থা

২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে

গত কয়েকদিন হলো হেফাজত নেতা মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী হঠাৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু ছাড়াই বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ...