অগ্নিকুন্ড বাসী

অগ্নিকুন্ড বাসী

আব্দুল হান্নান

রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ পূর্বকালে এক বাদশাহ ছিল। তার দরবারে ছিল এক যাদুকর। সে বৃদ্ধ হয়ে গেলে বাদশাহকে বলেঃ আমি তো এখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং আমার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটা ছেলে দিন যাকে আমি ভালভাবে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিতে পারি। তারপর সে একটি মেধাবী বালককে যাদুবিদ্যা শেখাতে শুরু করে। বালকটি তার শিক্ষাগুরুর বাড়ী যাওয়ার পথে এক সাধকের আস্তানার পাশ দিয়ে যেতো। সুফীসাধকও ঐ আস্তানায় বসে কখনো ইবাদত করতেন, আবার কখনো জনগণের উদ্দেশ্যে ওয়াজ নসীহত করতেন। বালকটিও পথের পাশে দাড়িয়ে ইবাদতের পদ্ধতি দেখতে কখনো ওয়ায নসীহত শুনতো। এ কারণে যাদুকরের কাছেও সে মার খেতো এবং বাড়ীতে বাপ মায়ের কাছেও মার খেতো। কারন যাদুকরের কাছে যেমন দেরীতে পৌছতো তেমনি বাড়ীতেও দেরী করে ফিরতো। একদিন সে সাধকের কাছে তার এ দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করলো। সাধক তাকে বলে দিলেনঃ যাদুকর দেরীর কারণ জিজ্ঞেস করলে বলবে যে, মা দেরী করে বাড়ী থেকে আসতে দিয়েছেন, কাজ ছিল। আবার মায়ের কাছে গিয়ে বলবে যে, গুরুজী দেরী করে ছুটি দিয়েছেন। এমনিভাবে এ বালক একদিকে যাদু বিদ্যা এবং অন্যদিকে ধর্মীয় বিদ্যা শিক্ষা করতে লাগলো। একদিন সে দেখলো যে, তার চলার পথে এক বিরাট বিস্ময়কর কিম্ভুত কিমাকার জানোয়ার পড়ে আছে। পথে লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ পাশ থেকে ওপাশে এবং ওপাশ থেকে এপাশে যাওয়া আসা করা যাচ্ছে না। সবাই উদ্বিগ্নও ব্ৰিতাবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। বালকটি মনে মনে চিন্তা করল যে, একটা বেশ সুযোগ পাওয়া গেছে। দেখাযাক, আল্লাহর কাছে সাধকের ধর্ম অধিক পছন্দনীয় না যাদুকরের ধর্ম অধিক পছন্দনীয়। এটা চিন্তা করে সে একটা পাথর তুলে জানোয়ারটির প্রতি এই বলে নিক্ষেপ করলোঃ হে আল্লাহ আপনার কাছে যদি যাদুকরের ধর্মের চেয়ে সাধকের ধর্ম অধিক পছন্দনীয় হয়ে থাকে তবে এ পাথরের আঘাতে জানোয়ারটিকে মেরে ফেলুন। এতে করে জনসাধারণ এর অপকার থেকে রক্ষা পাবে। পাথর নিক্ষেপের পরপরই ওর আঘাতে জানোয়ারটি মরে গেল। সুতরাং লোক চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেল। আল্লাহ প্রেমিক সাধক এ খবর শুনে তার ঐ বালক শিষ্যকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস! তুমি আমার চেয়ে উত্তম। এবার আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে তোমাকে নানাভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। সে সব পরীক্ষা সম্মুখীন হলে আমার সম্বন্ধে কারো কাছে কিছু প্রকাশ করবে না। অতঃপর বালকটির কাছে নানা প্রয়োজনে লোকজন আসতে শুরু করলো। তার দুআর বরকতে জন্মান্ধ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে লাগলো। কুষ্ঠ রোগী আরোগ্য লাভ করতে থাকলো এবং এছাড়া আরও নানা দুরারোগ্য ব্যাধি ভাল হতে লাগলো। বাদশাহর এক অন্ধমন্ত্রী এ খবর শুনে বহু মূল্যবান উপহার উপঢৌকনসহ বালকটির নিকট হাজির হয়ে বললেনঃ যদি তুমি আমার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে পার তবে এসবই তোমাকে আমি দিয়ে দিবো। বালকটি একথা শুনে বললোঃ দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি আমার নেই। একমাত্র আমার প্রতিপালক আল্লাহই তা পারেন। আপনি যদি তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তাহলে আমি তাঁর নিকট দুআ করতে পারি। মন্ত্রী অঙ্গীকার করলে বালক তাঁর জন্যে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলো। এতে মন্ত্রী তাঁর দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে পেলেন। অতঃপর মন্ত্রী বাদশাহর দরবারে গিয়ে যথারীতি কাজ করতে শুরু করলেন। তার চক্ষু ভাল হয়ে গেছে দেখে বাদশাহ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ আপনার দৃষ্টিশক্তি কে দিলো? মন্ত্রী উত্তরে বললেনঃ আমার প্রভু। বাদশাহ বললোঃ হ্যা, অর্থাৎ আমি। মন্ত্রী বললেনঃ আপনি কেন হবেন? বরং আমার এবং আপনার প্রভু লা শারীক আল্লাহ রাব্বল আলামীন আমার চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর এ কথা শুনে বাদশাহ বললোঃ তাহলে আমি ছাড়াও আপনার কোন প্রভু আছে না কি?” মন্ত্রী জবাব দিলেনঃ হ্যা অবশ্যই। তিনি আমার এবং আপনার উভয়েরই প্রভু ও প্রতিপালক। বাদশাহ তখন মন্ত্রীকে নানা প্রকার উৎপীড়ন এবং শাস্তি দিতে শুরু করলো এবং জিজ্ঞেস করলোঃ এ শিক্ষা আপনাকে কে দিয়েছে? মন্ত্রী তখন ঐ বালকের কথা বলে ফেললেন এবং জানালেন যে, তিনি তার কাছে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাদশাহ তখন বালকটিকে ডেকে পাঠিয়ে বললোঃ তুমি তো দেখছি যাদুবিদ্যায় খুবই পারদর্শিতা অর্জন করেছে যে, অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিচ্ছ এবং দুরারোগ্য ব্রোগীদের আরোগ্য দান করছো? বালক উত্তরে বললোঃ এটা ভুল কথা। আমি কাউকেও সুস্থ করতে পারি না, যাদুও পারে না। সুস্থতা দান একমাত্র আল্লাহই করে থাকেন। বাদশাহ বললোঃ অর্থাৎ আমি। কারণ সবকিছুই তো আমিই করে থাকি। বালক বললোঃ না, না, এটা কখনই নয়। বাদশাহ বললোঃ তাহলে কি তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রভু বলে স্বীকার কর? বালক উত্তরে বললোঃ হ্যা, আমার এবং আপনার প্রভু আল্লাহ ছাড়া কেউ নয়। বাদশাহ তখন বালককে নানা প্রকার শাস্তি দিতে শুরু করলো। বালকটি অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত সাধক সাহেবের নাম বলে দিলো। বাদশাহ সাধককে বললোঃ তুমি এ ধর্মত্যাগ কর। সাধক অস্বীকার করলেন। তখন বাদশাহ তাঁকে করাত দ্বারা ফেড়ে দু'টুকরা করে দিলো। এরপর বাদশাহ বালকটিকে বললোঃ তুমি সাধকের প্রদর্শিত ধর্মবিশ্বাস পরিত্যাগ কর। বালক অস্বীকৃতি জানালো। বাদশাহ তখন তার কয়েকজন সৈন্যকে নির্দেশ দিলোঃ এ বালককে তোমরা অমুক পাহাড়ের চূড়ার উপর নিয়ে যাও। অতঃপর তাকে সাধকের প্রদর্শিত ধর্ম বিশ্বাস ছেড়ে দিতে বললো। যদি মেনে নেয় তবে তো ভাল কথা। অন্যথায় তাকে সেখান হতে গড়িয়ে নীচে ফেলে দাও। সৈন্যরা বাদশাহর নির্দেশমত বালকটিকে পর্বত চূড়ায় নিয়ে গেল এবং তাকে তার ধর্ম ত্যাগ করতে বললো। বালক অস্বীকার করলে তারা তাকে ঐ পর্বত চূড়া হতে ফেলে দিতে উদ্যত হলো। তখন বালক আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা। করলোঃ হে আল্লাহ! যেভাবেই হোক আপনি আমাকে রক্ষা করুণ! এ প্রার্থনার সাথে সাথেই পাহাড় কেঁপে উঠলো এবং ঐ সৈন্য গুলো গড়িয়ে নীচে পড়ে গেল। বালকটিকে আল্লাহ রক্ষা করলেন সে তখন আনন্দিত চিত্তে ঐ যালিম বাদশাহর নিকট পৌছলো বাদশাহ বিস্মিতভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলোঃ ব্যাপার কি? আমার সৈন্যরা কোথায়? বালকটি জবাবে বললোঃ আমার আল্লাহ আমাকে তাদের হাত হতে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ধ্বংস করেছেন। বাদশাহ তখন অন্য কয়েকজন সৈন্যকে ডেকে বললোঃ নৌকায় বসিয়ে তাকে সমুদ্রে নিয়ে যাও, তারপর তাকে সমুদ্রগর্ভে নিক্ষেপ করে এসো। সৈন্যরা বালককে নিয়ে চললো এবং সমুদ্রের মাঝখানে নিয়ে গিয়ে নৌকা হতে ফেলে দিতে উদ্যত হলো। বালক সেখানেও মহান আল্লাহর নিকট ঐ একই প্রার্থনা জানালো। সাথে সাথে সমুদ্রে ভীষণ ঢেউ উঠলো এবং সমস্ত নৈস্য সমুদ্রে নিমজ্জিত হলো। বালক নিরাপদে তীরে উঠলো। এবং বাদশাহর দরবারে হাজির হয়ে বললোঃ আমার আল্লাহ আমাকে আপনার সেনাবাহিনীর কবল হতে রক্ষা করেছেন। হে বাদশাহ! আপনি যতই বুদ্ধি খাটান না কেন, আমাকে হত্যা করতে পারবেন না। তবে হ্যা আমি যে পদ্ধতি বলি সেভাবে চেষ্টা করলে আমার প্রাণ বেরিয়ে যাবে। বাদশাহ বললোঃ কি করতে হবে? বালক উত্তরে বললোঃ সকল মানুষকে একটি ময়দানে সমবেত করুন। তারপর খেজুর কাণ্ডের মাথায় শূল উঠিয়ে দিন। অতঃপর আমার তুণ হতে একটি তীর বের করে আমার প্রতি সেই তীর নিক্ষেপ করার সময় নিম্নের বাক্যটি পাঠ করুনঃ লা ইলাহা ইল্লালাহ যিনি এই বালকের প্রতিপালক।” তাহলে সেই তীর আমার দেহে বিদ্ধ হবে এবং আমি মারা যাবো। বাদশাহ তাই করলো। তীর বালকের কানপট্টিতে বিদ্ধ হলো এবং সেখানে হাত চাপা দিলো ও শাহাদাত বরণ করলো। সে শহীদ হওয়ার সাথে সমবেত জনতা ধর্মকে সত্য বলে বিশ্বাস করলো। সবাই সমবেত কণ্ঠেধ্বণি তুললোঃ আমরা এই বালকের প্রতিপালকের উপর ঈমান আনলাম। এ অবস্থা দেখে বাদশাহ সভাষদবর্গ ভীত সনত্রস্ত হয়ে পড়লো এবং বাদশাহকে বললোঃ আমরা তো এই বালকের ব্যাপারটা কিছুই বুঝতে পারলাম না, সব মানুষই তার ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করলো! আমরা তার ধর্মের প্রসার লাভের আশংকায় তাকে হত্যা করলাম, অথচ হিতে বিপরীত ঘটলো। আমরা যা আশংকা করছিলাম তাই ঘটে গেল। সবাই যে মুসলমান হয়ে গেল! এখন কি করা যায়? বাদশাহ তখন তার অনুচরবর্গকে নির্দেশ দিলোঃ সকল মহল্লায় ও রাস্তায় রাস্তায় বড় বড় খন্দক খনন করো এবং ওগুলোতে জ্বালানিকাষ্ঠ ভর্তি করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দাও। যারা ধর্ম ত্যাগ করবে তাদেরকে বাদ দিয়ে এই ধর্মে বিশ্বাসী সকলকে এই অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করো। বাদশাহর এ আদেশ যথাযথভাবে পালিত হলো। মুসলমানদের সবাই অসীম ধৈর্য্যের পরিচয় দিলেন এবং আল্লাহর নাম নিয়ে আগুনে ঝাপিয়ে পড়তে লাগলেন। একজন নারী কোলে শিশু নিয়ে একটি খন্দকের প্রতি ঝুঁকে তাকিয়ে দেখছিলেন। হঠাৎ ঐ অবলা শিশুর মুখে ভাষা ফুটে উঠলো। সে বললোঃ মা! কি করছেন? আপনি সত্যের উপর রয়েছেন। সুতরাং ধৈর্যের সাথে নিশ্চিন্তে অগ্নিকুণ্ডে ঝাপিয়ে পড়ুন।যুবক শহীদকে দাফন করা হলো। হযরত উমার (রাঃ)-এর খিলাফতের আমলে তাঁর কবর থেকে তাঁকে বের করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, তার আঙ্গুলী তার কান পট্টিতে লাগানো আছে। এ অবস্থায়ই তিনি শহীদ হয়েছিলেন।একই ঘটনা ইরাকের বাবেলের মাটিতে বখত নাসরের সময়েও সংঘটিত হয়েছিল। বখতনাসর একটি মূর্তি তৈরী করে জনগণের দ্বারা সেই মূর্তিকে সিজদা করাতো। হযরত দানিয়াল (আঃ) ও তাঁর দুজন সহচর আয়রিয়া ও মীসাঈল তা করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে বখত নাসর ক্রুব্ধ হয়ে তাঁদেরকে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত পরিখায় নিক্ষেপ করে। আল্লাহ রাব্বল আলামীন তাঁদের প্রতি আগুনকে শীতল করে দেন এবং তাদেরকে শান্তি দান করেন, অবশেষে নাজাত দেন, তারপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা সেই হঠকারী কাফিরদেরকে তাদেরই প্রজ্জ্বলিত পরিখার আগুনে ফেলে দেন। এরা নয়টি গোত্র ছিল। সবাই জ্বলে পুড়ে জাহান্নামে চলে যায়। ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়ামন এ তিন জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছিল।পরিখা তিন জায়গায় ছিলঃ ইয়ামনের নাজরান শহরে, সিরিয়ায় ও পারস্যে। সিরিয়ায় পরিখার নির্মাতা ছিল আনতানালুস ওরূমী, পারস্যে বখত নাসর, আরবে ছিল ইউসুফ যুনুওয়াস।হযরত ঈসা (আঃ) এবং শেষ নবী (সঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ে একটি সম্প্রদায় ছিল তারা যখন দেখলো যে, জনগণ ফিত্না ফাসাদ এবং অন্যায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে ও দলে দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, তখন সেই সম্প্রদায় তাদের সংশ্রব ত্যাগ করলো। তারপর পৃথক এক জায়গায় হিজরত করে সেখানে বসবাস করতে লাগলো এবং আল্লাহর ইবাদতে একাগ্রতার সাথে মনোনিবেশ করলো। তারা নামায রোযার পাবন্দী করতে লাগলো ও যাকাত আদায় করতে লাগলো। এক হঠকারী বেঈমান বাদশাহ এই সম্প্রদায়ের সন্ধান পেয়ে তাদের কাছে নিজের দূত পাঠিয়ে তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করলো যে, তারা যেন তাদের দলে শামিল হয়ে মূর্তিপূজা করে। সেই সম্প্রদায়ের লোকেরা ওটা সরাসরি অস্বীকার করলো এবং জানিয়ে দিলো যে, লা শারীক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত বন্দেগী করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বাদশাহ আবার তাদের কাছে লোক পাঠিয়ে তাদেরকে জানিয়ে দিলো যে, যদি তারা তার আদেশ অমান্য করে তবে তাদেরকে হত্যা করে দেয়া হবে। তারা বাদশাহকে জানিয়ে দিলোঃ আপনার যা ইচ্ছা তাই করুন, আমরা আমাদের ধর্মবিশ্বাস পরিত্যাগ করতে পারবো না। ঐ বাদশাহ তখন পরিখা খনন করিয়ে তাতে জ্বালানী ভর্তি করলো ও আগুন ধরিয়ে দিলো। তারপর ঐ সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ সবাইকে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের পাশে দাঁড় করিয়ে বললোঃ তোমরা এখনো তোমাদের ধর্মবিশ্বাস পরিত্যাগ কর, অন্যথায় তোমাদেরকে এই অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হবে। এটা তোমাদের প্রতি আমার শেষ নির্দেশ। বাদশাহর একথা শুনে সম্প্রদায়ের লোকেরা বললোঃ আমরা আগুনে জ্বলতে সম্মত আছি, কিন্তু ধর্মবিশ্বাস পরিত্যাগ করতে সম্মত নই। ছোটছোট শিশু কিশোরেরা চীৎকার করতে শুরু করলো, পরে তাদেরকে বুঝালো ও বললোঃ আজকের পরে আর আগুন থাকবে না, সুতরাং আল্লাহর নাম নিয়ে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়। অতঃপর সবাই জ্বলন্ত আগুনে ঝাপিয়ে পড়লো। কিন্তু আগুনের আঁচ লাগার পূর্বেই আল্লাহ রাব্বল ইজ্জত তাদের রূহ কবজ করে নিলেন। সেই পরিখার আগুন তখন পরিখা হতে বেরিয়ে এসে ঐ বেঈমান হঠকারী দুবৃত্ত বাদশাহও তার সাঙ্গ পাঙ্গদেরকে ঘিরে ধরলো এবং তাদের সবাইকে জ্বালিয়ে ছারখার করে দিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে

গত কয়েকদিন হলো হেফাজত নেতা মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী হঠাৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু ছাড়াই বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ...