চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব।

চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওরা ইসলামি দল,ইসলামী দল চিনতে হলে পোশাক দেখে নয় অতীতের নবী রাসূলগনের ত্যাগের দিকে দেখে মিলাতে হবে ওরা ইসলামি দল কিনা,ইব্রাহীম আঃ ইসলামের দাওয়াত দিয়েছে নমরুদের রশানলে পড়ে আগুনে পুড়তে হয়েছে যদিও আগুন পোড়াতে পারেনি,মুসা আঃ ইসা আঃ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবাগণ কেউ বাতিলের সাথে আপোষ করেনি,সর্বোচ্চ ত্যাগ তিনারা সয়েছেন,বাংলাদেশের বুকেও ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ যারা সয়ে যাচ্ছে এই চরমোনায় তাদেরকে ইসলাম মনে করেনা,আসলে চরমোনায়তো ইসলাম না,তারা মুরিদদের ধোকা দিয়ে কিভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে,তলেতলে তাগিতদের সাথে পরামর্শ করে প্রকৃত ইসলামি দলকে কিভাবে দমানো যাবে সব রকম পায়তারা এরা করে যাচ্ছে, চরমোনায় যে কুফুরী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত তার কিছু দলিল নীচে দ চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে। আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা। শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো । চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” ( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা ) (১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) (২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ) (৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) (৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ) (৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা ) (৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা ) (৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা ) (১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) (১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ) (১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা ) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন ? আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।” ( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন ) কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে । ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১) আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲 এই সময়ে মে ০৫, ২০২২ শেয়ার করুন কোন মন্তব্য নেই: একটি মন্তব্য পোস্ট করুন ‹ › হোম ওয়েব সংস্করণ দেখুন আমার সম্পর্কে আমার ফটো Md Abdul Hannan আমার জীবনের সবটুকু শুকরিয়া এবং প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, দরূদ ও সালাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি। আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন Blogger দ্বারা পরিচালিত.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন