হান্নান রচনাবলী
হান্নান রচনাবলী
২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে
বিশিষ্ট উলামাদের জামায়াতে ইসলামী ত্যাগের কারণ
FACEBOOK NEWS ফেসবুক সংবাদ
রমজানে বিশ রাকাত তারাবির দলিল ঃইমাম আব্দুল হান্নান
MUSLIM THE NEXT GENERATION OF BANGLADESH বাংলাদেশের পরবর্তী মুসলমান BY IMAM ABDUL HANNAN
লাকী টাইগার্স ৭ইষ্ট বেংগলের ইতিহাস HISTORY OF LUCKY TIGERS 7 EAST BENGAL REGEMENT.written by wo rtd Hannan
চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের চিন্তা Things Evolution of Charles Darwin's
চরমোনায়
চরমোনায়ের গোমর ফাঁস
চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব।
ইসলামিক গণতন্ত্র, ইমাম আব্দুল হান্নান
ইসলামিক গণতন্ত্র কি?
গণতন্ত্র আর ইসলামিক গণতন্ত্র এক জিনিস না।"গণতন্ত্র" হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে নীতিনির্ধারণে বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সকল সদস্য বা নাগরিকের সমান অধিকার থাকে।এখানে নেতা নির্বাচনে ভালো মানুষ ও ক্ষমতায় যেতে পারে আবার একজন খারাপ মানুষ ও জনগণের নেতা হয়ে কাঁধে বসতে পারে।ইসলামিক গণতন্ত্র হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে নীতিনির্ধারণে বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোরআন সুন্নাহর উপর পাণ্ডিত্যধারী ব্যক্তিদেরই অধিকার থাকে।ইসলামিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দেশের নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধা অনুধাবন করা এবং তা হতে কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক উত্তরণের ব্যবস্থা করতে পারে এবং যাদের বিরুদ্ধে আমানতের খিয়ানত অসদাচরণের কোন অভিযোগ নেই এমন ব্যক্তিদের সমর্থনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে,যেমনটি হয়েছিলো খেলাফতে নবুওয়াতের খলিফা নির্বাচনের সময় এখানে অসৎ ব্যক্তিদের জনগণের নেতা হয়ে কাঁধে চেপে বসার কোন সুযোগ নেই।প্রশ্ন হতে পারে বাংলাদেশে অসংখ্য আলেম উলামা আছে তাদের ভিতর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তিদের কিভাবে নির্বাচন সম্ভব?হ্যাঁ এটা সম্ভব, যতগুলো ইসলামী দল আছে তাদের ভিতর বৃহত্তর দলগুলো হতে বেশি এবং ক্ষুদ্রতম দলগুলো হতে সংখ্যায় কম আলেমদের দ্বারা স্বার্থের বাহিরে গিয়ে খলিফাকে নির্ধারণ করবে।ইসলামি গণতন্ত্রের উৎস
ইসলামিক গণতন্ত্রের উৎস হচ্ছে কোরআন, হাদিস, এজমা,কিয়াস। এখানে গণতন্ত্রের ন্যায় মানব রচিত কোন সংবিধান, নিজের ইচ্ছা বা অন্য কারো ইচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্রের কোন সেক্টর পরিচালিত হয়না।< p/>ইসলামী গণতন্ত্রের স্থম্ভ
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যেমন তিনটি স্তম্ভ বা ভিত্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়,অপর দিকে ইসলামী গণতন্ত্রের স্থম্ভের ভিত্তি হচ্ছে কোরআন, সুন্নাহ, এজমা,কিয়াস যার অধিনে আছে অনেক শাখা প্রশাখা ।গণতন্ত্রের সবগুলো স্থম্ভ একত্রিত করলে ইসলামের একটি শাখা হয় সেটা হলো ইসলামী হুকমত তবে গণতন্ত্রে স্থম্ভগুলো পরিচালিত মানব রচিত আইন দ্বারা আর ইসলামী গণতন্ত্রের একটি শাখা ইসলামী হুকমত সেটি পরিচালিত হয় কোরআন সুন্নাহ এজমা কিয়াস দ্বারা।ইসলামী গণতন্ত্রের শাখা প্রশাখা সমুহ মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে ইসলামী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায়, ক্ষমতার সুষম বন্টন নিশ্চিত করার মাধ্যমে শাসনকার্যকে পরিচালনা করতে সার্বিক সহায়তা সহ মানব জীবনের প্রতিটা সমস্যার সমাধান করে।খেলাফতে নবুয়াত কায়েম সমাপ্ত
সাফীনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (خِلاَفَةُ النُّبُوَّةِ ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ) ‘‘ত্রিশ বছর পর্যন্ত খেলাফতে নবুওয়াত চলতে থাকবে। এরপর আল্লাহ যাকে চান তাকে রাজত্ব দান করবেন।(আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ) এই ত্রিশ বছর আবু বকর, উমার, উছমান ও আলী (রাঃ)এর খেলাফতের মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছে। আবু বকরের খেলাফতকাল দুই বছর তিন মাস, উমার (রাঃ)এর খেলাফত দশ বছর ছয়মাস, উছমান (রাঃ)এর খেলাফত বার বছর এবং আলী (রাঃ)এর খেলাফত চার বছর নয়মাস। এবং হাসান (রাঃ)এর বায়আতের কাল ছিল ছয়মাস। এভাবেই খেলাফতে নবুওয়াতের ত্রিশ বছর পরিপূর্ণ হয়েছে।খেলাফত,গণতন্ত্র,ইসলামী গণতন্ত্র
খেলাফতঃ আদম আঃ হতে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী ত্রিশ বছর আলী রাঃ এর খেলাফত পর্যন্ত সময়কে হাদিসের ভাষায় খেলাফতে নবুয়াত বা খেলাফতে খাস বলা হয়।তার পরবর্তী অদ্যকার সময় পর্যন্তকে হাদিসের পরিভাষায় মুলকিয়াত বলা হয়।এখানে বর্তমান সময়ের আলেমরা যে খেলাফতের কথা বলছেন সেটা হচ্ছে খেলাফতে আম, মুলকিয়াত বা ইসলামী গণতন্ত্র।গণতন্ত্রের অধিনে মুসলমানদের ভূমিকা
যেখানে খেলাফতে আম বা ইসলামী গণতন্ত্র নেই,আছে শুধু গণতন্ত্র সেখানে প্রকৃত মুসলমানরা নিরুপায়,প্রশ্ন হতেই পারে যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম পরিচয় বহন করে সেখানে মুসলমান নিরুপায় হয় কিভাবে?মুসলমান পরিচয় বহন করা সহজ কিন্ত মুসলমান হওয়া বড়ই কঠিন।নিরুপায় মজলুম মুসলিম হিসাবে গণতন্ত্রের অধিনে থেকেই তাঁকে ইসলামী গণতন্ত্র বা খেলাফতে আ'ম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করতে হবে।খেলাফতে নবুয়াতের সময় যেহেতু সবাই মিলে ভোট দিয়ে খলিফা নির্বাচনের কোন পদ্ধতি ছিলনা আর সেটার ইসলামে গ্রহন যোগ্যতাও ছিলনা এখনো নেই কিন্ত এখন ইসলামের দুশমনেরা সাংবিধানিক ভাবে জনগণের ঘাড়ে যে গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে তা থেকে বের হতে হলে ইসলামী গণতন্ত্র কে মূল লক্ষ্য হিসাবে নিয়ে দুটি পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়া যায় ১।সম্মুখ সমর,যা বাংলাদেশের জন্য এখন প্রযোজ্য নয়।২।দাওয়াতের মাধ্যমে জনমত তৈরী করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে।গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে মুসলমানদের যখন বিজয় হবে তখন গনতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে ইসলামী গনতন্ত্র সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।ইসমতে আম্বিয়া,,আল্লামা মাওদুদী রহঃ প্রতি জুলুম,ইমাম আব্দুল হান্নান
আব্দুল হান্নান
নবীদের ভুল নিয়ে সৈয়দ আবুল আ'লা মওদূদী(রহঃ) ও উলামায়ে দেওবন্দের বক্তব্য!!
★আল্লামা মওদূদী'র বক্তব্যঃ
'এটি একটি সূক্ষ্ম রহস্য যে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা ইচ্ছা করে প্রত্যেক নবী থেকে কোন না কোন সময় তাঁর হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে দু'একটি ভূল ত্রুটি হতে দিয়েছেন যাতে মানুষ নবীদেরকে খোদা না বুঝে'।(তাফহীমাত ২/৪৩)!
★মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর বক্তব্যঃ
'কোন কোন সময় নবীদের থেকে ভুল ত্রুটি হওয়ার যে ঘটনা সমূহ কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে এগুলো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হেকমত ও রহমত।এর মধ্যে এক বড় ফায়দা এও যে, মানুষের মনে যেন নবীদের খোদা হওয়ার সন্দেহ না হয়'।(মাজালিসে হাকীমুল উম্মাতঃ মুফতী শফী, ৬৫ পৃষ্ঠা)!
প্রিয় পাঠক! আল্লামা মওদূদী আর মাওলানা থানবীর বক্তব্যের মাঝে কি অমিল পাওয়া গেছে? না, তবুও এই কারণে আল্লামা মওদূদী কাফের বলে। কিন্তু মাওলানা থানবী কাফের নন। দেওবনদের আকিদা,,,,
★উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা সুলাইমান নদভীর বক্তব্যঃ
'মানুষ হিসেবে তাদের থেকেও ভূল ত্রুটি হতে পারে।কিন্তু আল্লাহ তাঁর ওহীর দ্বারা এসমস্ত ভূল ত্রুটিরও সংশোধন করে থাকেন'।(সিরাতুন্নবী ৪/৭০)!
আল্লামা নদভীকে কিন্তু এই কথা বলার কারণে কেউ কাফের বা ভ্রান্ত বলেনা।কিন্তু মওদূদী বললেই..
★ফারায়েয শাস্ত্রের ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী'র বক্তব্যঃ'
আম্বিয়া কিরাম নবুয়্যাত প্রাপ্তির পর থেকে ইচ্ছাকৃত কবীরা ও সগীরা গুনাহ থেকে পবিত্র। কিন্তু ভূল বশতঃ কবীরা ও সগীরা গুনাহ হতে পারে'।(ইছমতে আম্বিয়া, ২৮ পৃষ্ঠা)!
'আদম (আঃ) অবাধ্য ছিলেন।আর অবাধ্য হওয়াকে আমরা কবীরা গুনাহ মনে করি'(ইছমতে আম্বিয়া, ৩৬ পৃষ্ঠা)!এই কথাটি আল্লামা মওদূদী বললে কেমন হত?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদাঃ
'ভূল বশতঃ কবীরা গুনাহ হওয়ার ব্যপারে অধিকাংশ আলেমদের মত হলো তা জায়েয ও সম্ভব।এমনকি জমহুর উলামার মতে নবীদের থেকে ছগীরা গুনাহ ইচ্ছাকৃতও হতে পারে'।(কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসায় পাঠ্য আকীদার কিতাব শরহে আকাঈদে নসফীঃইছমতে আম্বিয়া)!
ধৈর্যশীল পাঠক! চিন্তা করুন, মওদূদী বলেছেন ভুল হতে পারে!তাতেই তাঁকে ভ্রান্ত, কাফির ইত্যাদি বলা হয়।তাঁর বিরুদ্ধে একশ্রেণীর কওমী মূর্খ ও মিথ্যাবাদী আলেম অপবাদ দেয় তিনি নাকি নবীদেরকে নিস্পাপ মনে করেন নি!
তাদের দলিলঃ
উপরোল্লিখিত আল্লামা মওদূদীর বক্তব্য।অথচ যেসকল ইমামরা গুনাহ হতে পারে বলেছেন তাদেরকে কিছু বলা হয়না।এবার কি বুঝতে পেরেছেন সত্যটা? হোসাইন আহমাদ মাদানী মওদূদীর এই বক্তব্যের জন্য বলেছেন 'এবার বলুন জামায়াতে ইসলামী ও এর প্রতিষ্ঠাতা মুসলমান কিনা'?(মওদুদী দস্তর)!
এ থেকে বুঝা যায় মওদূদীর জ্ঞানের পরিধি হোসাইন মাদানীর চেয়ে কত বেশী ছিল!যারা এতদিন ভূলের মধ্য ছিলেন তারা কি সন্দেহমুক্ত হয়েছেন? নাকি জামায়াতে ইসলামী করাই তার একমাত্র অপরাধ?নাকি প্রাণের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে অনুসরণ করার চেষ্টায় তার ভূল? নাকি অন্যান্য আলেমদের মত ইসলামের অর্ধেক মেনে নিয়ে অর্ধেক মেনে অর্ধেক মেনে না নিয়ে চলেন নি তাই তিনি বড় অপরাধী?
মন্তব্যঃ
আল্লামা মওদুদী (রহঃ) এর একমাত্র অপরাধ ছিল তিনি নিজেকে খানকার চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারেননি বরং দ্বীন কায়েমের জন্য রাজপথে নেমে এসেছেন।তাই খানকা ওয়ালারা তার বিরুদ্ধে হাজারো বানোয়াট বই লিখেছে!!
সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী রহঃ এর বিরুদ্ধ বিরোধিতার আরো একটি কারণ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বভৌমত্বের দাবী পাকিস্তান স্বাধীন এর পক্ষে যাবার জন্য হুসাইন আহমদ মাদানীর সাথে দ্বন্দ্ব। হুসাইন আহমদ মাদানী অখণ্ড ভারতের কংগ্রেসের পক্ষে কাজ করছিল তিনি চাচ্ছিলনা পাকিস্তান স্বাধীন হোক এবং মওদুদী রহঃ কে তিনি নির্দেশ দেন যে কংগ্রেসের পক্ষে পাকিস্তান স্বাধীন এর বিপক্ষে পত্রিকায় বিবৃতি দেবার জন্য, এই প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়ে মওদুদী রহঃ দেওবন্দ থেকে বেরিয়ে আসেন।এর পরই হুসাইন আহমদ মাদানীর সমর্থকরা মওদুদী রহঃ এর বিরুদ্ধ বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে থাকে যা আজো বন্ধ হয়নি।তাগুতের ব্যাক্ষা
চর্মোনায় পীরদের কুফুরী আকিদা ত্যাগের আহবান
চরমোনায়ের সাহাবা বিদ্বেষ
জামায়াত নয় বরং আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো চরমোনাই। এদেশে যুগ যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামীকে "নবী রাসূল সাহাবা" বিদ্ধেষী বলে মিথ্যাপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন একনজরে দেখুন আসল নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী চরমোনাইর আকিদা। চরমোনাই পীরদের দৃষ্টিতে নবী রাসুল(সা.) এবং সাহাবীদের মর্যাদা ********************************************** ১। “তাওহীদে মতলব” হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত। শর্ত সম্পর্কে পীর সাহেব লিখেছেনঃ যেমনিভাবে ‘আল্লাহ এক’, ‘কিবলা এক’, তেমনিভাবে ‘পীরও এক ও অদ্বিতীয়’ এটা মানার নামই “তাওহীদে মতলব”। সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন, আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন।" ২। “নবীর আকার শয়তান যেমনিভাবে ধারণ করতে পারে না, তেমনি পীরের আকারও ধারণ করতে পারে না।” ৩। “মুরিদ যত দুরেই থাক, পীর তার সাথে রূহানীভাবে হাজির থাকে। মুরিদ যদি কোনো ভাবে কখনও বিপদে পড়ে, তবে পীরকে হাজির-নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে, পীর তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।” ৪। “যে খোদাকে চোখে দেখি না, তাকে ইবাদতের যোগ্য মনে করিনা।” " উম্মতের উলামা কেরাম বনী ঈসরাইলের নবীগণের মত।" বই,ইমদাদুস সূলুক,পৃঃ ২২-২৩ লেখকঃ রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী। মুজাহিদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। ৫। জনৈক মুরিদ স্বপ্নে দেখলেন সমসাময়িক দুনিয়ার সকল অলী-আল্লাহগণ রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন। রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে?’ রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ‘মেপে দেখা লাগবে’। অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী-আওলিয়াদেরকে উঠালেন, আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন। চরমোনাই পীরের পাল্লা ভারি হল।’ (ফজলুল করিম সাহেবের জীবনী ১৬২নং পাতা) নাউজুবিল্লাহ!! এমন নিকৃষ্ট আকিদার পরেও চরমোনাই নবী রাসূল সাহাবাদের দুশমন না হয়ে বন্ধু হয় কেমনে ? এজন্যই আমি বলেছি জামায়াত নয় বরং আসল "নবী রাসূল সাহাবা বিদ্ধেষী" চরমোনাই। আল্লাহ এই চরমোনাইর খপ্পর থেকে গোটা জাতিকে হেফাজত করুন। 🤲আমিন🤲ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ইতেকাফের প্রভাব
ইক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ইতেকাফের মনস্তাত্ত্বিক ভূমিকা
ইমাম আব্দুল হান্নান
ইতেকাফ ইসলামী শরীয়তে ফরজ বা সরাসরি ওয়াজিব এবাদত না হলেও ইতেকাফের ব্যপ্তি উম্মতের জন্য অনেক ওজনদার।কোন এলাকা হতে সবাই যদি ইতেকাফ হতে বিরত থাকে তবে ঐ এলাকার সমস্ত মানুষ গোনাহগার হবে।আর একজন মানুষ যদি ইতেকাফ করে তাহলে সবাই গোনাহ হতে বেঁচে যাবে।তাহলে বুঝতে হবে এর হকিকত কি? আর এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতেকাফের প্রভাব কি? আমি ইতেকাফের ফজিলত বর্ণনা করবো না,সংক্ষিপ্ত পরিসরে ইকামাতে দ্বীন সম্পর্কে একটু ধারনা দিচ্ছি। আমরা প্রথমে ইকামত সম্পর্কে তারপর দ্বীন সম্পর্কে ধাপে ধাপে বোঝার চেষ্টা করি,إقامةঃ
আরবি শব্দ,যার অর্থ দাড় করা,প্রতিষ্ঠা করা,অটল রাখা, কোন মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করা।দ্বীন (دينঃ
এর অর্থ পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যস্থা। শরীয়তের পরিভাষায় ইসলামি জীবন ব্যবস্থাকে একটি মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করার নামই এক্বামাতে দ্বীন।ইক্বামতে দ্বীনের কাজ শুরুঃ
এক্বামাতে দ্বীনের যাত্রা শুরু হয় ব্যক্তি জীবনের সাড়ে তিন হাত শরীর হতে পারিবারিক জীবনের মধ্য দিয়ে বাড়ির দরজা পার হয়ে সামাজিক রন্ধে রন্ধে হয়ে রাষ্টীয় জীবনের সর্বোচ্চ চুড়া পর্যন্ত জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অব্দি নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করাই এক্বামাতে দ্বীনের কাজ।
ইতেকাফ কিভাবে এক্বামাতে দ্বীনের উপর প্রভাব ফেলেঃ
ইতেকাফরত ব্যক্তি দুনিয়াবী কোন কাজ কারবার যখনই করতে যায় তখনই মনস্তাত্ত্বিক ভাবে তার ভিতর খটকা লাগে যে আমি ইতেকাফে আছি এ কাজ করা যাবেনা।মনের ভিতর থেকে কে যেন নিষেধ করে দুনিয়াবী কাজ কারবার করা যাবেনা।নফস শয়তান যদিও নানা দুনিয়াবী কাজ কারবারের কথা মনে করিয়ে দেই তথাপিও আল্লাহর বান্দা দশটা দিন নিজের খারাপ নফসের সাথে যুদ্ধ করে ইতেকাফের হক্ব আদায় করে।প্রতিটা মুহূর্তে তাকে নফস শয়তানের হাতছানি আল্লাহর নাফারমানী দুনিয়াবী চিন্তা চেতনা থেকে বেঁচে থাকতে হয়।এই ব্যক্তিগুলো ইতেকাফ হতে যখন বেরিয়ে যায় তখন আল্লাহর নাফারমানী সংঘটিত হবার কথা সে ভূলে যায়। তার মানে সে ইতেকাফের প্রশিক্ষন গ্রহন করেনি।ইতেকাফ থেকে বেরিয়ে যখন সে জীবনের প্রতিটা বাঁকে বাঁকে যাবতীয় খোদাদ্রহী কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্যদের দ্বারা যাতে খোদাদ্রহীতা সংঘটিত না হতে পারে তার প্রচেষ্টা করা।ইতেকাফ অবস্থাতে দশ দিনের জন্য একজন মানুষ যদি দুনিয়ায়বী কাজ কারবার আল্লাহর নাফরমানী হতে বিরত থাকতে পারে তাহলে ইতেকাফের বাহিরে এসে তাঁকে জীবনের বাঁকে বাঁকে এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর যাবতীয় নাফরমানী হতে দূরে থাকায় এতেকাফের শিক্ষা।এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় করনীয়ঃ
বর্তমান পরিস্থিতিতে এক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা কারী নিজের পরিবার এবং নিকট আত্মীয়দের কাছে সরাসরি দাওয়াতী কাজ করলেও সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে ইক্বমতে দ্বীন প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে তাকে তিনটি নীতি মেনে কাজ করতে হবে।১।আল্লাহর নাফারমানীর সরাসরি বাঁধা দেবার শক্তি যেহেতু তার নেই সেজন্য ২নং পন্থা গ্রহন করা লেখনী অথবা দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নাফরমানী সম্পর্কে সতর্ক করা।
৩।সেটাও যদি সম্ভব না হয় তবে নাফারমানদের সম্পর্কে অন্তরে ঘৃনার পোষন করা এবং নাফারমানদের সমস্ত সংশ্রব হতে নিজ ও পরিবারকে বাচিয়ে রাখা।
ব্যাক্তিগত জীবনে ইক্বামতে দ্বীনঃ ১ম পর্ব
আচ্ছলাতু খইরুম মিনান নাউম,,শুরু ব্যক্তি জীবনে ইক্বামতে দ্বীনের কাজ,ফজরের নামাজ জামাতে পড়তেই হবে।নামাজের পূর্বের পাক পবিত্রতা সব সেরে নিয়ে নিজের পবিত্র পোশাকটা পরে নামাজে হাজির হতেই হবে।নামাজ শেষ কুশল বিনিময় করে ইক্বামতে দ্বীনের জন্য যথাসাধ্য দুই একজন মানুষ কে ঐ সময়েই দাওয়াত প্রদান করা।ফজরের নামাজ শেষে বাড়িতে এসে নিশ্চিত হওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফজরের নামাজ পড়েছে কিনা?সকালে কর্মে বের হওয়ার পূর্বে দিনটাকে দুই ভাগে ভাগ করা, দ্বীন+ দুনিয়া। বেঁচে থাকতে গিয়ে আমি দুনিয়ার কাজ যতটুকু করবো তাতে যেন বিন্দু পরিমান দ্বীনের বিচ্যুতিমূলক কোন কাজ না হয়।যেমন দুনিয়াবী কাজ করতে গিয়ে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কি আমার কথা শুনছে না আল্লাহর কথা শুনছে? নিশ্চিত হতে হবে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহর কথা শুনছেন।দুনিয়াবী কাজ কারবার করতে গিয়ে ঘুষ খেলাম সুদ খেলাম,চুরি করলাম,কাউকে ঠকালাম ইত্যাদি অন্যায় যেন না হয়।আর দুনিয়াবী কাজ করতে গিয়ে দ্বীনের অর্ধেক কাজ যে বাকি আছে সেটা যেন চলমান থাকে।ব্যাক্তিগত জীবনে ইক্বামতে দ্বীনঃ২য় পর্ব
মানুষের অন্তরের মধ্যে ইক্বামতে দ্বীনের যে একটা সরল রাস্তা আছে ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যে রাস্তা ধরে সে চলবে শয়তান বহু আগে হতে সেই রাস্তায় চাক্রান্তের জ্বাল ফেলে অপেক্ষমান।আল্লাহ বলেন,قَالَ فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَہُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ ۙ (ইবলীস) বললঃ আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি - আমি আপনার সরল পথে অবশ্যই ওৎ পেতে বসে থাকব।( আরাফ ১৬ আয়াত) ثُمَّ لَاٰتِیَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِہِمۡ وَ عَنۡ اَیۡمَانِہِمۡ وَ عَنۡ شَمَآئِلِہِمۡ ؕ وَ لَا تَجِدُ اَکۡثَرَہُمۡ شٰکِرِیۡنَ অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব, আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেননা।( আরাফ১৭ আয়াত)ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা কারীদের মনের মধ্যে আল্লাহর স্থানে শয়তান আর একজনকে খোদা সৃষ্টি করে দেবার চেষ্টা করবে এই জন্য যে মানুষ সেগুলোর প্রভাবে পড়ে ইক্বামতে দ্বীন থেকে যেন বিচ্যুত হয়
হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা
হিংসার বিষবাষ্পে নিমজ্জিত কওমী সন্তানেরা
লিখেছেন: মোঃ আব্দুল হান্নান
ক্যাট্যাগরি: সাহিত্য ও সংস্কৃতি
জানিনা কবে অবসান হবে এই হিংসাত্মক আক্রমনের, ১৮৩১ সালে বালাকোট যুদ্ধে হিন্দু রাজা রনজিৎ সিং এর হাতে সৈয়দ আহাম্মদ ব্রেলভীর শিরচ্ছেদ এবং হরি সিং নালওয়ার হাতে শাহ ইসমাইল ব্রেলভীর শাহাদত বরন সহ অসংখ্য মুসলমানদের প্রান কেড়েছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় শামেলীর যুদ্ধে থানা ভবনে হাজি এমদাদুল্লাহ,কাশেম নানুতুবী মুসলিম মুজাহিদরা ইংরেজদের নিকট একপ্রকার পরাজিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে এমদাদুল্লাহ সাহেব মক্কায় হিজরত করেন এবং অন্যান্যরা ইংরেজদের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে,ভারতীয় উগ্রবাদী প্রভাবশালী হিন্দু জমিদাররা ইংরেজদের সাথে মিলে মুসলিম নেতৃত্বদান কারীদের গ্রেফতারে সহায়তা করে তখনই বিজ্ঞ মুসলমানরা অনুধাবন করতে পেরেছিল যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে ইংরেজ তাড়ালেও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে উপ মহাদেশের মুসলমানরা নিরাপদ না আর এ জন্যই ইংরেজ বিতাড়িত হবার পূ হতেই মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্তের দাবী উঠতে থাকে।ইংরেজ বিতাড়িত হবার পর মুসলমানদের জন্য আলাদা সার্বোভৌমত্বের দাবী যখন তুঙ্গে তখন বালা কোট এবং শামেলীর যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাৎ আর হয়রানির অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে তখনকার পুরাতন লোক হুসাইন আহম্মেদ মাদানি উলামায়ে হিন্দের ডাক দিয়ে মুসলমানদের এই আন্দোলনের বিরোধিতা শুরু করলো।হুসাইন আহাম্মদ মাদানীর এই সিদ্ধান্তে অনেক ইসলামীক স্কুলাররা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তার পরেও মুসলমানদের যখন বিজয় হলো এবং আলাদা রাষ্ট্র পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তান হলো তখন হতেই এই হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং তাদের উত্তরসুরিরা স্বাধীনতাকামী মুসলমান আলেম উলামাদের বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী রাজনীতিবিদদেরকে হিন্দুরা দেখতে না পারলে হুসাইন আহম্মেদ মাদানি এবং দেও বন্দীদের সাথে বিশেষ করে কংগ্রেসের দহর্রম মহরম ভালোই ছিল, মওলানা হুসাইন আহম্মেদ মাদানিকে এই জন্য ১৯৫৪ সালে কংগ্রেস সরকার পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান কের।হুসাইন আহমেদ মাদানি মুসলমানদের আলাদা সার্বোভৌত্তের দাবী নাকচ করে বিরোধিতা শুরু করে কংগ্রেসের সাথে উলামায়ে হিন্দ কে নিয়ে যোগ দিলো কিন্ত স্বাধীনতাকামী মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে পারলোনা স্বাধীনতা দিতেই হলো পরাজয়ের মাধ্যমে। সেই থেকেই স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের সারাজীবন দেও বন্দীরা বিরোধিতা করে আসছে তাদের পরাজয়ের কারনে। তাদের পরাজয়ের হিংসাত্মক আক্রমনের শিকারে পরিনত হয় আলিয়া মাদ্রাসার নিরিহ আলেমেরা ও স্বাধীনতাকামী মুসলমানরা যার বিষবাষ্প এখনো চলমান। দিনে দিনে কওমী সন্তানদের হিংসা ভয়ংকর রূপ ধারন করছে। পুরাতন কওমী উলামাদের ভিতরে মতানৈক্য ছিলো, হিংসা ছিলো তুলনামূলক কম, তবে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ছবকই হলো আলিয়া পড়ুয়ারা এবং ইসলামি রাজনীতি বিদরা বিশেষ করে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত উলামায়ে হিন্দের বিপরীতের ইসলামি দলগুলো ফাসেক, অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় যেন তারা হিন্দুয়ানীদের তাবেদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হলে আগে পাকিস্তানের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতেই হবে কারন বাংলাদেশ পাকিস্তান নামক দেশ হতে স্বাধীন হয়েছে ভারত থেকে স্বাধীন হয়নি, পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধী যারা ছিলো তারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারেনা। বিভিন্ন সরকারের কাছ হতে ফায়দা হাসিল আর জেল জরিমানার ভয়ে কওমীরা এখন নুতন সুর তুলেছে স্বাধীনতার পক্ষের লোক বলে। আজ হতে ২০ বছর পিছনে যারা রাজনীতিকে হারাম আর ফেৎনা ফতুয়া দিত তারা আজ গদী আর ক্ষমতার জন্য বিপরীত মতের লোকদের কাফের, ফাসেক, বাতেল নানা অপবাদে জাতির ভিতর বিষোদগার ছড়াচ্ছে যা মুসলিম উম্মাহর জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতির অপেক্ষা করছে।হুসাইন আহম্মেদ মাদানীর পূর্ব পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির আনজাম গৌরবময়, হুসাইন আহম্মেদ হতে কালিমা লেপন শুরু হয়েছে যেমন ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে আওতায়, ইসলামিক স্কলারদের বিরুদ্ধে মনগড়া ফতোয়া, প্রতিষ্ঠানের গৌরবের নাম দিয়ে ভিন্ন মতের মানুষদের কে কাফের, বাতিল, গোমরা এজাতীয় ফতোয়া প্রচার করা,প্রতিষ্ঠানের নিরীহ ছাত্রদের মাঝে ভিন্নমতের মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করা,ভিন্নমতের মানুষদের প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের যাতে ঘৃনার সৃষ্টি হয় সেজন্য বিষোদগারের তালিম দেয়া,দেখবেন পরিক্ষা করে তাদের একজন ছাত্রকে বলবেন মওদুদী সম্পর্কে মতামত সে প্রথম ধাক্কায় উত্তর দিবে মওদুদী ভ্রান্ত,তাকে যদি জিজ্ঞেস করেন মওদুদীর কোন বইটা পড়েছো?সে বলবে পড়িনি বা বয়ের নাম ও বলতে পারবেনা,তাকে কে শিখাইল মওদুদী রহঃ ভ্রান্ত?ঐ যে হুসাইন আহম্মেদ ঐ সিলসিলা থেকে মিথ্যা এই অপবাদ আজ অবদী চলে আসছে।সুতরাং হিংসা শিখতেই তাদের সময় নষ্ট তারা বাস্তবমুখী শিক্ষা কিভাবে শিখবে?তাদের কারো সামনে দিয়ে তাদের টুপি পরে যদি আপনি না যান তাহলে তাদের ৯৮শতাংশ লোক আপনাকে সালাম দিবেনা পরিক্ষিত,ফেসবুকের কমেন্ট সেকশন গুলোতে তাদের ভাষা দেখবেন কত নেতিবাচক , আল্লাহ তাদের মন থেকে তুমি হিংসা দূর করে দাও।
বর্তমান কওমী এলেমের ভিতর আসছেনা কয়েকটি কারণে ঃ
১।অন্তরে হিংসাত্মক মনোভাব।
২।যাকাত ফিতরা কোরবানির চামড়া ছদকার ব্যবহারের ত্রুটি যেমন, ইসলামী শরিয়ত এগুলো খেতে যাদের নিষেধ করেছে ৯৮ভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্ররা ঘুরিয়ে পেচিয়ে এগুলো খাচ্ছে।
৩।বলাৎকারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে,
৪।শাসনের নামে নির্দয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫।ছোট থেকে ভিন্ন মতের আলেমদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন শিখানো হচ্ছে
৬।মাথায় শরীরে দৃশ্যমান সুন্নাহ থাকলেও সুন্নাহর প্রয়োগ নেই,যেমন কওমী ৯৫ ভাগ ছাত্ররা তাদের ওস্তাদ বা বড়ভাই ও খুব পরিচিত ছাড়া ছালাম দেইনা,ভিন্ন মত ও ভিন্ন ধরনের টুপিধারীদের তারা ছালাম দেইনা পরিক্ষিত।
৬।ভিন্ন মতের ইসলামী দলকে দূরে রেখে বাতিলের সাথে ৭০শতাংশ আলেমদের মহরম ধহরম বা চামচামির বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান হচ্ছে।
★ যাদেরকে এরা আকাবির বলে তাদের ভিতর কিন্ত এগুলো ছিলনা যার কারনে তাদের এলেমে তাছির ছিল।যদিও একটু আধটু মতানৈক্য ছিলো ভিন্ন মতের আলেমদের নিয়ে তারা ফতোয়াবাজী মাতামাতির সীমা লঙ্ঘন করেনি।
ইমাম মুয়াজ্জিনদের প্রতি নসিহত
কর্ণেল শাপলার কৃতিত্ব
নওয়াইতুাআন নিয়তের ইতিহাস
আকিদা
২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে
গত কয়েকদিন হলো হেফাজত নেতা মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী হঠাৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু ছাড়াই বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ...
-
চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকা...
-
লাকী টাইগার্স ( ৭ ই বেংগলের)আসল ইতিহাস রচনায়ঃওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হান্নান ভূমিকাঃ জীবনের সবটুকু প্রশংসা আল্লাহর জন্য,দরূদ ও সালাম ...
-
চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব। চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওর...