দাওয়াতে ইসলামীতে নারীদের ভূমিকা
আব্দুল হান্নান
১।সত্যের দাওয়াতের মাঝে নিজেকে তৈরী করা
২।আপনাকে যা করতে হবে
৩।সুন্নতের পাবন্দি
৪।একজন নারী কর্মী বা নেত্রীর প্রাথমিক কাজ
৫।আপনাকে পরিবর্তন হতে হবে
৬।পরবর্তী কাজ
৭।দাওয়াতে ব্যবহার কেমন হবে
৮।নম্র ব্যবহার করা
৯।হিকমাতের সাথে কাজ করা
১০।দাওয়াতে হেকমত পূর্ন্ কথা স্বরন করিয়ে দেয়া
১১।সন্ত্রাসের কারণ
১২।বে পর্দা
১৩।নিজ পরিবারকে সংশোধন করা
ভূমিকাঃ জীবনের সবটুকু প্রসংসা মহান আল্লাহু ছুবহানাহু তায়ালার জন্য এবং উজাড় করা মহব্বত দরূদ ও ছালাম বিশ্ব নবীজির প্রতি ।আজ সমগ্র দুনিয়া ব্যপি মুসলমান নারী ও পুরুষ, বৃদ্ধ বনিতারা এক চরম ক্লান্তি লগ্ন অতিক্রম করে চলছে, টাইম ম্যাগাজিনে ১৬-০৪-১৯৭৯ সালের একটি হিসাব অনুযায়ী ঐ পত্রিকায় বলা হয়েছে ১৮২৯সাল হতে ১৯৭৯পর্য্নত ইসলামের দুশমনরা ৬০হাজারের বেশি বই লিখেছে ইসলামের বিরুদ্ধে ।আর কতিপয় মিডিয়া এবং স্বার্থবাদী লোক এগুলো জনসমাজে প্রচার করে ইসলাম মার্কা লোকদেরকে অন্যান্য ধর্মেরও সাধারণ মুসলমানদের চোখের কাঁটা বানিয়ে দিয়েছে। আজ সাধারন একটা মুসলমান বা অ্ন্য ধর্মের একটা লোক যদি দাড়ি ,টুপি অলা লোক দেখে তাহলে বিরক্ত বোধ মনে করে ।বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানদের চোখে ইসলাম মার্কা আদর্শ্ বাদী দল গুলোকে খারাপ বানানো এবং তাদের সমর্থ্ন পুষ্ট ও দাওয়াতী কার্যক্রম এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে বন্ধ করার জন্য ১৯৯০দশকের পর পাশ্চাত্য বাদীরা বাংলাদেশের কিছু ইসলামী লেবাসধারী মানুষের মগজ ধুলায় করে তাদেরকে কিছু অর্থ্ আর জীবন বিধ্বংসী গোলাবারুদ দিয়ে নিরিহ লোকজনের মধ্যে বোমা নি‡þপ করে নারীপুরুষ এমনকি বিচারক পর্য্ন্ত হত্যা করেছে।যা কোরআন সুন্নাহ পরিপন্থি। যথন ধরা পড়েছে তখন দেথা গেছে তারা ইসলামের বেশ ধরে এগুলো করেছে।এ জন্য বলা হয় বনের ঘুঘু ধরতে হলে পোষা ঘুঘুর দ্বারা ধরতে হবে।উপমহাদেশে ইসলাম আসার পর এদেশের মানুষ ইসলামের খেদমত যে ভাবে করে আসছিল তা দেখে এক শ্রেনীর মানুষের অন্তরে আবুজেহেল ও আবু লাহাবের মত ভয় হয়ে গিয়েছিল কিভাবে এই খেদমত বন্ধ করা যায় সে জন্য জঙ্গীবাদী দল তৈরী করে তারা ইসলামী ছদ্দবেশী লেবাছ দিয়ে প্রকৃত ইসলামী আন্দোলনকে বন্ধের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যাতে সাধারণ মুসলমানেরা ইসলামী দাওয়াতের অনুসারীদের দেখলেই জংগী মনে করে।তবে তাদের এই হীন অপচেষ্টা ছিুটা হলেও কার্য্কর হয়েছে ।তাদের এই অপচেষ্টা বন্ধ করতে হলে প্রকৃত সত্য কেরআনের দাওয়াত মানুষের নিকট পৌছে দিয়ে মিথ্যা দূরিভূত করতে হবে।ইসলাম যারা বুঝে এবংইসলামী আন্দোলন কারীরা কখনো বোমা ফাঁটাবেনা ইসলামী আন্দোলনকারীরা কখনো মানুষ হত্যা করবেনা।তারা প্রতিপþর জুলুম,নির্যআতন আর হামলা মামলা নিরবে সহ্য করতে ভালবাসে।কারণ তাদের সামনে থাকে বিশ্বনবীর আদর্শ।মক্কার জীবনে নবীকরীম(সঃ)সাহাবীদেরকে
এই ধৈর্য্যের প্রশিþণ দিয়ে আগে প্রকৃত মুসলমান বানিয়েছেন কৈ তিনি এবং সাহাবীরাতো বোমা ফাঁটাননি ঘোষিত যুদ্ধ ছাড়া মানুষ হত্যা করেননি সুতরাং বাংলার যারা প্রকৃত মুসলমান তারা পাথর খেয়ে মার খেয়ে জেলখেটে জুলুম নির্যাতন অপবাদ সহ্য করে হলেও বাংলার প্রতিটা নিরিহ মুসলমানের নিকট ক্বোরআনের দাওয়াত পৌছেদিয়ে তদেরকে এবং নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর প্রয়াস এবং কিভাবে কাজ করলে সফলতা আসবে এই ছোট্ট বইতে সেই পথটা ক্বোরআন সুন্নাহ মোতাবেক তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামী আন্দোলনের এই মহতী কাজে কবুল করুন।আমিন ।
১ লেখক
সত্যের দাওয়াতের মাঝে নিজেকে তৈরী করাঃ
وَقُلْ جَاء الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا
(সূরা ইসরা৮১আয়াত)
অর্থ্ঃবলুন সত্য এসে গেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে‘আর মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ার ই কথা।
আপনি মানুষকে ইসলামী আন্দোলনের পথে আসার জন্য দাওয়াত দিবেন।ইসলামের কর্মী তৈরী করবেন‘ আপনি নারী হন আর পুরুষ হন অবশ্যই আপনি ক্বোরআনের ভালবাসায় আল্লাহর সন্তষ্টি আর পরকালীন মুক্তির জন্যই এ পথে পা বাড়িয়েছেন।তাহলে আপনার কাছে এখন সত্য এসেছে।এখন আপনার ভিতর হতে বাতিল দূর হয়েছেতো?আপনি মানুষকে ধোকা দেননাতো?ওয়াদার খেলাফ করেননাতো?মিথ্যা বলেননাতো?পরের হক্ক নষ্ট করেননাতো?আমানতের খিয়ানত করেন না তো ?আপনি দাড়ি কামাননাতো‘ইসলামে অনুমোদন নেই এমন কোন কাজ করেননাতো।আর আপনি যদি নারী হন তবে পূর্ন্ পর্দা করছেনতো‘নিজের ভিতর হতে রাগ গোমরাহী এগুলো দূর করছেনতো?নরম ভদ্র এবংবিনয়ীওমার্জিত স্বভাবের হয়েছেনতো?ইসলামের মৌলিক বিধান গুলো মেনে চলছেনতো?পুরাপুরি আত্মসমর্পনকারী হয়েছেনতো?না কি ?
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ (
০বাকারা৪৪আয়াত
অর্থ্ঃ তোমরা অন্যদেরকে সৎপথে চলতে বলো‘কিন্ত নিজেদের কথা ভূলে যাও অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর।তবে কি তোমরা অনুধাবন করনা?
সুতরাং দাওয়াতী কাজের মাঝে নিজেকে তৈরী করতে হবে।
আপনাকে যা করতে হবেঃ
মনে রাখবেন মৃত্যুর পর আপনাকে যে জান্নাত দেয়া হবে সারা দুনিয়া বিক্রি করলেও তার একটা রডের দাম হবেনা।তাই আপনার জীবনের সবকিছুকে ইসলামের জন্য বিসর্জ্ন দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।আর তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ এবং তার রাসুলের মহব্বতও আনুগত্যের কারনে।
প্রথমতঃসুন্নাতের পাবন্দিঃ আপনার সাড়ে তিন হাত শরীরের ভিতর নবীর সুন্নত জাগ্রত করতে হবে। যে গুলো বাহ্যিক দেখা যায় সে গুলোতো অবশ্যই তাছাড়া আত্মিক গুলোও আস্তে আস্তে উন্নয়ন করতে হবে। আপনি ইসলামের কর্মী আপনার মুখে দাড়ি নাই, আপনার মাথায় টুপি নাই আপনি কবুতরের লেজের মত দাড়ি ছোট করে রাখেন ,মানুষতো মনে করবে ইসলামের কর্মীরা এ রকমই‘ তাহলে সাধারণ মানুষ আর আপনার পাথক্য কোথায় ?
“
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا (21
(সুরা আহযাব ২১ আয়াত)
অর্থ্ঃ নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলের মধ্যে সুন্দর, উওম আদর্শে রয়েছে সে ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর সন্তষ্টি ও পর কালের সুফলের আশা করে এবং অধিক পরিমানে আল্লাহকে স্বরণ করে ।
আমার এ লেখাটি মুলোতঃ নারীদের জন্য ।যেহেতু নেতৃত্বের পর্যায়ে পুরুষেরা কাজ করে এবং নারী কর্মীদের দায়িত্ব বন্টন পুরুষদের মাধ্যমেই হয়ে থাকে সে জন্য প্রথমেই তাদেরকে কোরআনের মৌলিক কথা স্বরণ করিয়ে দিলাম ।নারীদের ইসলাম প্রচার ও দাওয়াত দিয়ে আজ এক শ্রেণীর মুসলমান নামধারীরা বিরোধিতা শুরু করেছে। আমি তাদেরকে কোরআন হাদিস অধ্যয়নের আহবান জানাচ্ছি।নারী একা বাজারে যাচেছ সমস্যা নেই‘ ব্যবসা করছে সমস্যা নেই‘চাকুরী করছে কোন গুন্জন নাই‘ আর থাকবেই বা কেন? এগুলোতেতো দুনিয়ার স্বার্থ্ বিদ্যমান তাই এর কোন বিরোধিতাও সমালোচনা নাই।কিন্ত পর্দার সাথে কোন নারী যদি সহপাটিদের নিয়ে দ্বীনি দাওয়াতী কাজে যান তাহলেই আমাদের সমাজের একশ্রেনীর ধর্মান্ধ মহল সমালোচনা আর কুৎসার ঝড় তোলেন।পৃথিবীর অর্ধেকই নারী‘ আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষ সকাল হলেই চলে যান মঠে ঘাটে কলকারনা‘চাকুরী অফিস আদালত ইত্যাদী কর্মখেত্রে সন্ধায় বাড়ী ফিরে বিশ্রাম।সারা দিন যে মহিলাটি বাড়ি থাকছে সেতো ইসলামী নিয়োম কানুন ওচলাচলের পথ জানেনা শুধু বাচ্ছাদের তদারকী আর সংসার নিয়েই ব্যাস্ত। মরনের পর তার যে একটা হিসাব আছে‘ সে খবর কি কারো আছে?আমাদের সমাজের এমন কয়টি যোগ্য পরিবার আছে যে পরিবারের স্বামী‘পিতা এবং ভায়েরা নিজেদের স্ত্রী” কন্যা এবংবোনদের ঘরে বসে ইসলামী পথ নির্দেশনা দিতে পারছে?এমন অনেক নারী আছে যারা ৬০বছচর যাবৎ স্বামীর সংসার করছে বাচছারা বড় হয়ে আলেম উলামা হয়েছে অথচ মা এখনো ছহি শুদ্ধ করে নামাজটা পর্য্ন্ত পড়তে পরেনা তাহলে এই নারীর মুক্তির জন্য কি ব্যবস্থা? তাকেতো স্কুল মাদ্রাসায় ভর্তি করে শেখানো সম্ভব না।সে জন্য ইসলামের নিবেদিত প্রান নারী কর্মীদের মাধ্যমে ঐসমস্ত নারীদের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দেয়া অতিব জরুরী।আল্লাহ বলেন তওবা ৭১ আয়াত
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ
وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَـئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ (
অর্থ্ঃমুমিন নর ওনারী একে অন্যের বন্ধু এরা সৎকাজের নির্দ্শ দেয় এবং অসৎ কাজ হতে নিষধ করে।সালাত কায়েম করে‘যাকাত প্রদান করে। আল্লাহওতার রাসুলের আনুগত্য করে এদের প্রতি আল্লাহ দয়া দেখাবেন এবং আল্লহ পরাক্রমশালী প্রÁvময়।অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন
وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتَ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُوْلَـئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلاَ يُظْلَمُونَ نَقِيرًا (124
আর যে ব্যক্তি কোন সৎকাজ করবে, সে পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, তবে যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এই ধরনের লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের এক অণুপরিমাণ অধিকারও হরণ করা হবে না৷ সূরা নিসা ১২৪ আয়াত
আমি আগেই বলেছি নারীদের কাছে দাওয়াত পৌছানোর বড়ই অভাব।আমাদের শিwþZv ধর্ম্ প্রাণ নারীরা একত্রিত হয়ে সহপাটিদের নিয়ে গ্রামে গ্রমে সাংগঠনিক ভাবে যদি দ্বীনের দাওয়াতের মাধ্যমে মা বোনদেরকে যদি ইসলাম মখি করে তাহলে বৃহৎ একটা অংশ আল্লাহর আজাব হতে মুক্তি পাবে। সমাজ উপকৃত হবে।আজ অধিকাংশ সন্ত্রাস আর পাপিষ্ঠের জন্ম হয়েছে ইসলাম না জানা মায়ের গর্ভ্ হতে এবং ইসলাম না মানা মায়ের গর্ভ্ হতো মা যদি আল্লহ ভীরু হয় তার পেটের সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়বেই। আর লোক দেখানো আল্লাহ ভীরু হলে সে মায়ের গর্ভে এবং সে পিতার ঔরশে ভালো সন্তান আশা করা যায় না।সে জন্য আজকের নারীরা দ্বীন কায়েমের এই পথে আসে তবে কোরআন সুন্নাহ সেটা নিষেধ তো দূরের কথা স্বাগত জানাচ্ছে। যা পূবের আয়াত দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সৎ কাজ শুধু পুরুষরা করবে নারীরা করবেনা‘নারীরা দবীনের দাওয়াত দিতে পারবেনা‘নারীরা ধর্মীয় রাজনীতি করতে পার বেনা এই সব কথা যারা বলে তারা কি কোরআনের এই আয়াত গুলো পড়েনা
قُلْ أَغَيْرَ اللّهِ أَبْغِي رَبًّا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ وَلاَ تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلاَّ عَلَيْهَا وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى ثُمَّ إِلَى رَبِّكُم مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ (164
বলো, আমি কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোন রবের সন্ধান করবো অথচ তিনিই সকল কিছুর মালিক ? প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু উপার্জন করে সে জন্য সে নিজে দায়ী, কেউ কারো বোঝা বহন করবে না তারপর তোমাদের সবাইকে তোমাদের রবের দিকে ফিরে যেতে হবে৷ সে সময় তোমাদের মতবিরোধের প্রকৃত স্বরূপ তিনি তোমাদের সামনে উন্মুক্ত করে দেবেন৷আনয়াম১৬৪
অ্থঃ প্রত্যেকে স্বীয় কৃত কর্মের জন্য দায়ী এবং কেহ অন্য কারো রোঝা বহন করবেনা।আলেম সাহেব সারাদিন থাকছেন দুনিয়াবী কাজ কর্ম্ নিয়ে ব্যস্ত বা দ্বীনের খেদমতে‘‘ডাক্তার সাহেব রুগী নিয়ে‘ জজ সাহেব বিচার নিয়ে প্রত্যেক কর্ম্ জীবি নিজ নিজ কর্ম্ নিয়ে ব্যস্ত।সন্ধায় বাড়ী ফিরলেন মাগরীব এশার নামাজ শেষ করে বিশ্রামে যেতে হবে। কেননা পরবর্তী্ দিনের জন্য আবার প্রস্ততি নিতে হবে।যেটুকু অবসর সময় থাকে সেটুকু জমি কেনা‘ বিচার শালিশী করা রাজনীতি‘ হলুদ আর সবজ্বী চাষেকেটে যায়।মা‘ স্ত্রী আর কন্যাদের পিছে সময় দিবে কখন?যে সময় টুকু দেয় সেটুকু শ্রদ্ধা ভালবাসা আদর আর ঝগড়া করতেই শেষ হয়ে যায়।তবে হ্যাঁ যাদের অন্তরে আল্লাহ এবং তার রাসুলের মহব্বত অনেক গভীর তারা কিন্ত মা সন্তান স্ত্রীদের দ্বীন শিþvর জন্য এর ভিতরেই সময় করে নিবে।এই মানুষীকতা বিনষ্টের জন্য আজ আমাদের নারীরা ধর্মীয় দিক নির্দেশনাও আল্লাহর পথ হতে অনেক দূরে।তাদেরকে ইসলাম মুখী করার জন্য আল্লাহর পথে নিবেদিত প্রাণ মহিলারা যদি সংঘ বদ্ধ ভাবে গ্রাম হতে গ্রামান্তরের মহিলাদের নিকট দ্বীনের সঠিক শিþv পৌছায় তাহলে আমাদের নারীরা ভাল হবে।স্বামী যতই মূর্খ্ হোক সে কিন্ত চাইনা তার স্তী দেবরের সাথে কথা বলুক আনন্দ ফুর্তী করুক।নন্দাই‘চাচাত‘খালাত‘মামাত‘ ফুফাত‘এই ধররে ভাইদের সাথে বসে হাসি তামাশা আর আড্ডা জমাক‘বা সট ব্লাউজ পরে বুক আর নাভী বের করে ঘুরুক। এটা কিন্ত কোন স্বামীই চাইনা সে স্বামী যত খারাপই হোক।কিন্ত আমাদের অসুস্থ এই পরিবেশের কারণে কিছু বলতে পারেনা নিরবে তাকে সইতে হয়। বুকের যন্ত্রনা বুকে নিয়েই এরকম মেয়ের সাথে সংসার করতে হয়। কিছু বললে উনি যদি আবার লাফিয়ে ওঠে অথবা মা যদি লাফিয়ে উঠে বলে‘ হায় হায় আমার ছোট ছেলে আর মেয়ে জামায়ের সাথে তামাশা করবেনা?কিন্ত দ্বীনের সঠিক দাওয়াত যখন ঐ মেয়ের কাছে পৌছে যাবে ঐ মায়ের নিকট পৌছে যাবে তখন এমনি্তেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।২/৩টি সন্তান রেখে কোন বৌ আর পালাবেনা‘ সংসার ভাংবেনা‘ নারীদের গর্ভে আর সন্ত্রাস জন্ম নিবেনা।পরিবার‘সমাজ এবং রাষ্ট্রের মানুষ আস্তে আস্তে ভাল হয়ে যাবে।আর কোন স্বামীর মনে ধুক ধুকানী আর বুকে ব্যাথা থাকবেনা।এই পরিবর্তb শুধু Ávন অর্জনের দ্বারাই সম্ভব। তাই Ávন অর্জ্ন প্রত্যেকটা নারী পুরুষের জন্য ফরজ।
আল্লাহ বলেন
أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاء اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ
يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُوا الْأَلْبَابِ (9
এদর জিজ্ঞেস করো যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি পরস্পর সমান হতে পারে ? কেবল বিবেক-বুদ্ধির অধিকারীরাই উপদেশ গ্রহণ করে৷ সুরা যুমার৯আয়াত
হে নবী বলুন যারা জানে আর যারা জানেনা তারা কখনো সমান হতে পারেনা
আল্লাহর রাসুল বলেছেন
“তলাবাল ইলমে ফারিদাতুন আলা কুল্লি মুসলিমিন০ইবনে মাজা
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য Ávন অর্জ্ন ফরজ।রীতা হানাফিয়া নামে একজন তাবেয়ী মহিলা বলেন
“আম্মাতানা আয়েশাতা ফা ক্বমাত বাইনা হুন্না ফিছ ছলাওয়াতিল মাকতুবাতী“
হযরত আয়েশা রাঃ আমাদের মহিলাদের ফরজ নামাজের ইমামতি করেছেন অবশ্য তিনি মহিলাদের মধ্যেই কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তাইমা বিনতে সালামা বলেছেন হযরত আয়েশা রাঃ মাগরীবের ফরজ নামাজের ইমামতি কবেছেন তিনি মহিলাদের সাথেই কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং উচ্চস্বরে ক্বিরাত পাঠ করেছিলেন (ইবনে হাজম)মুহাল্রা ৭৭পৃঃ
নবী করীম সঃ এবং সাহাবীদের যুগে নারীরা তাদের প্রয়োজনে সমবেত হয়েছেন তাদের সমস্যা তুলে ধলার জন্য নেত্রী নির্বাচন করেছেন।হযরত যায়েদরাঃ এর কন্যা আসমা রাঃ মহিলাদের নেত্রী হিসেবে রাসুল সঃ এর খেদমতে হাজির হয়ে বললেন “ইন্নি রসুলুম মিউ ওয়ারায়ী মিন জামা য়াতিন নিছায়িল মুছলিমিনা কুল্লু হুননা ইয়া ক্বুললনা বি কাওলী ওয়া য়ালা মিছলি র য়ি আল ইসতিযাব
আমার পিছে মুসলিম মহিলাদের যে দল রয়েছে আমি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছি। তাদের সকলেই আমার কথা বলছে‘আমি যে মত পোষন করি তর
নারীরা এগুলো যা করেছে সব Ávন অর্জএনর জন্যেএবং আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচা আল্লাহর সন্তষ্টি এবং পরকালীন মুক্তির জন্যই করেছেন।এমনকি রাসুল সঃ এর জামানাতেই রাসুল সঃ এর সাথেই নারীরা যুদ্ধে পর্য্ন্ত গিয়েছেন।
“আ নির রুবাইয়ী ইবনাতী মুয়াজিন কলাত কুন্না নাগযু মায়া রসুলুল্লাহি সঃ ফা তুছকিল ক্বাওমা ওয়া নাখ দুমুহুহম ওয়ানারুদ্দু জালজার হা ওয়াল ক্বতলা ইলাল মাদিনাতি০ বুখারী
মুয়াজের কন্যা রুবাইয়া বলেন আমরা রাসুলে করীম সঃ এর সাথে জিহাদে অংশ গ্রহন করে লোকদেরকে পানি পান করাতাম তাদের সেবা যত্ন করতাম এবং আহত ও নিহতদেরকে মদিনায় ফেরৎ পাঠাতাম।
পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পর ও রাসুল সঃ এর স্ত্রী গণ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন। ইবনে হিশাম
নারীদের রাজনীতি দাওয়াত প্রদান জামাতে নামাজ পড়া একত্রিত হয়ে সমাবেশ করা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার যত অভিযোগ উপরোক্ত দলিল গুলো দ্বারা খন্ডন করা হলো ।আশা করি প্রকৃত ইসলামের দায়িদের আর সন্দেহ থাকবেনা। দুলাভাই বয়ফ্রেন্ডদের সাথে সিনেমা মার্কেট পিকনিক সুটিং ভ্রমন এ গুলোতে গেলে কেন ফতুয়া দেননা?ওরা ডানা কাঁটা পরি সেজে যায় দেখতে ভাল লাগে সে জন্য?আর ইসলামের অনুমোদন প্রাপ্ত দ্বীনের দায়ীরা দাওয়াতী কাজে গেলে জায়েয নাজায়েয শুরু হয়ে যায়।এসব বন্ধ করুন‘ ক্বোরআন হাদিস মাতৃভাষায় ভালকরে বুঝুন।পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে কথা বলুন‘কাজ করুন ।আল্লাহ তৌফিক দিন।
একজন নারীকর্মীওনেত্রীর প্রাথমিক কাজঃ
ইসলামী আন্দোলনে পা রাখার পর সব সময় যে কথাটি মনে বদ্ধমূল করে রাখতে হবে এবং পদে পদে স্বরন করতে হবে তা হলো আমি যা করতে যাচ্ছি তাতে আল্লাহর অনুমতি ও রাসূল (সঃ) এর অনুমোদন আছে তো?আল্লাহ সন্তষ্টি হবে তো? যাই করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে।
ক। আপনাকে পরিবর্তন হতে হবেঃ
১।আপনি ইসলামের পথে পা বাড়িয়েছেন, আগে হইত আপনি বোরখা পরতেন না‘এখন আপনাকে বোরখা পরতে হবে এবং মার্জি্ত পর্দা করতে হবে ।
২।আপনি আগে পাড়ার যে কোন মানুষের সাথে হাসি তামাশা করতেন এটা বন্ধ করতে হবে।তাই বলে আপনি কি হাসবেন না?হ্যাঁ আপনার স্বমী ‘‘আপনার আপন ভাই‘যাদের সাথে বিবাহ হারাম যারা ইসলামের অনুরাগীনী দ্বীনি বান্ধবী তাদের সাথে সীমার ভিতরে হাসি তামাশা করবেন।
৩।গান বাজনা যেগুলোর ইসলামে অনুমোদন নেই সে গুলো বন্ধ করতে হবে।
৪।আগে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন যেখানে সেখানে যেতেন আজে বাজে গল্প করতেন এখনো বেশি ঘুরবেন তবে দ্বীনের দাওয়াতের কথা বলার জন্য।তাছাড়া আজে বাজে ঘোরা বন্ধ করতে হবে।
৫।আপনি বিলাশী ছিলেন সাজ গোজ করে চলতে ভালবাসতেন তবে এখন স্বামীর সামনে ছাড়া আর সাজু গুজু আর রূপের প্রদর্শ্ন করে বাহিরে যাওয়া যাবেনা।বিলাস জীবন বাদ দিতে হবে।
ইলাইহা“আন ইবনে মাছয়ুদিন রাঃ ক্বল ক্বলা রাসুলুল্লাহি সঃ লাতুবাশিরুল মারয়াতুল মারয়াতা ফাতাছিফুহা লিঝাউযিহা কাআন্নাহু ইয়ানজুরু
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত তিনি বলেন রাসুল সঃ বলেছেন‘কোন নারী যেন তার অনাবৃত শরীরের অংশ অন্য কোন নারীর অনাবৃত দেহের সাথে না লাগায় সে যেন তার শাররীক সৌন্দর্য্ স্বামীর স্বামীর সামনে এরূপ বর্ণ্নv না করে‘যেন সে তাকে দেখেছে।
বুখারী‘মুসলিম
স্বামীর সামনে অন্য কোন নারীর সৌন্দর্য্ বর্নbv করা যাবেনা।
৬।আপনার স্বামী সন্তান মা বাবা ভাই বোন এদেরকে ঠিক করবেন।তাদের দ্বীনের পথে আনতে আপনার যতই কষ্ট হোক প্রয়োজনে তাদের হাত পা ধরেন।তবে তারা যেন আপনার ব্যবহারে সন্তষ্ট হয়ارًا
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ (6
তাহরীম০৬আয়াত
হে ইমানদার লোকের তেমরা তোমাদের নিজেদেরকেএবংতোমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর।
আপনার ভিতর যেন আপনার পরিবারের লোকেরা পরিবর্ত্ন দেখতে পায়।
৭।এখন আপনার স্বামীর খেদমত‘আদর যত্ন বেশি করে করতে হবে।স্বামীর আবেদনও আদেশ গুলো মনযোগ ও শ্রদ্ধার সাথে নিতে হবে।আপনার স্বামী দ্বীন মুখী নাহলেও মুসলমানতো?সে যেন আপনার পরিবর্ত্ন আঁচ করতে পারে।এখন দ্বীনের দাওয়াতী দাবী ছাড়া অন্য কোন কিছু তার নিকট দাবী করবেননা।তার জন্য প্রান খুলে দোয়া করবেন‘স্বামীর সামনে রাগ হবেননা‘মুখ ভার করে থাকবেননা। আল্লাহ তা য়ালা বলেন’ আর রিজালু ক্বা
فَالصَّالِحَاتُ أَمْوَالِهِمْ مِنْ أَنفَقُوا وَبِمَا بَعْضٍ عَلَىٰ بَعْضَهُمْ اللَّهُ فَضَّلَ بِمَا النِّسَاءِعَلَى قَوَّامُونَ الرِّجَالُ
(নিসা ৩৪) اللَّهُ حَفِظَ بِمَا لِّلْغَيْبِ حَافِظَاتٌ قَانِتَاتٌ
পুরুষেরা মেয়েদের পরিচালক একারণে যে আল্লাহ তাদের মধ্যে একদলকে অপর দলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।এ জন্যে যে পুরুষেরা তাদের ধন সম্পদ ব্যায় করে।অতএব সতী নারীরা আনুগত্য পরায়ন হয়ে থাকে,পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর ত্বত্তাবধানে ও পর্যবেþন
আন আবি হুরায়রাতা রাঃ আনিন নাবিউ সঃ ক্বলা লাউ কুনতু আমুরান আহাদান আই ইয়াছজুদা লা আহাদীন লা আমারাতুল মেরা আতা আন তাছজুদা লিঝাওজিহা০
আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত নবী সঃ বলেন,আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য কোন ব্যক্তির সামনে সিজদা করার আদেশ দিতাম তবে স্ত্রীকে আদেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য। তিরমিযি
“আন আবি হুরায়রাতা রাঃ ক্বলা ক্বলা রসুলুল্লাহ সঃ ইজা দা আর রাজুলু ইমরা আতাহু ইলা ফিরাশীহি ফা লায়া তাতিহী ফাবাতা গযাবানা আলাই হা লায়ানাতহাল মালায়িকাতু হাত্তা তুছিবহা০ বুখারী,মুসলিম
আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেনঃযখন কোন লোক তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে কিন্ত স্ত্রী আসেনা স্বামী তার প্রতি অসন্তষ্ট রাত কাটায় এ অবস্থায় ফেরেশ্তাগণ সকাল পর্য্ন্ত ঐ স্ত্রীকে অভিশাপ করতে থাকে।
৮।আপনার ঘর ঠিক করার পর এখন আপনাকে পারি পার্শিক ঠিক করতে হবে ।মনে রাখবেন আপনি ইসলামের দাওয়াতের পথে পা বাড়িয়েছেন, মনে প্রানে ইসলামকে গ্রহন করেছেন, এখন সমগ্র দুনিয়া ব্যাপি আপনার দুশমন হয়ে দাঁড়াবে, আপনার পাড়ায় লোকেরা আপনাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করবে, নানান মানুষ নানান ধরনের কথা বলবে, অনেক বাঁধা বিপত্তি আসবে,আপনাকে দ্বীনের উপর অবিচল থাকতে হবে।আল্লহ পাক বলেন,
وَأَبْشِرُوا تَحْزَنُوا وَلَا تَخَافُوا أَلَّا الْمَلَائِكَةُ عَلَيْهِمُ تَتَنَزَّلُ اسْتَقَامُوا ثُمَّ اللَّهُ رَبُّنَا قَالُوا الَّذِينَ إِنَّ
تُوعَدُونَ كُنتُمْ الَّتِي بِالْجَنَّةِ
হা মিম আস সাজদাহ ৩০
নিশ্চয় যারা বলল, আল্লাহ আমাদের প্রভু, অতঃপর এর উপর অবিচল থাকল, তাদের উপর ফেরেস্তা অবতীর্ন্ হয়ে থাকে এবং তাদের বলে তোমরা ভয় পেয়োনা, চিন্তা করোনা, আর জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহন কর, যার ওয়াদা তোমাদের সাথে করা হয়েছে ।
আপনি যদি নানান মানুষের কথা আর অপবাদে কান না দিয়ে ইসলামের দাওয়াতী কাজের উপর অনড় থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন কঠিন বিপদে ফেরেশ্তা পাঠিয়ে আল্লাহ অপনাকে সাহায্য করবেন। তবে শর্ত্ হলো ইমান পাকা করতে হবে।
০ الْمُحْسِنِينَ لَمَعَ اللَّهَ وَإِنَّ০سُبُلَنَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ فِينَا جَاهَدُواوَالَّذِينَ
সূরা আন কাবুত ৬৯
যারা আল্লাহর পথে চেষ্টা সাধনা করে আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথ দেখান নিশ্চয় আল্লাহ সৎ কর্ম্শীলদের সাথে আছেন।
সুতরাং আপনি চেষ্টা সাধনা করুন আপনি পারবেন কারণ আল্লাহ আপনার সাথে আছেন।
৯।আপনাকে হতে হবে ধৈর্যের পাহাড়।আসলে এই দুনিয়াতে কষ্ট সহ্য ছাড়া আখেরাতের জবাব দিহিতার মত কঠিন সময়ে মুক্তি সম্ভব নয়।চীরস্থায়ী সুখের স্থান জান্নাত পাওয়াও সম্ভব নয়।সুতরাং কয়দিনের দুনিয়া? একটু পিছের দিকে তাকানতো?সেদিন আপনি কত ছোট ছিলেন, আাজ দেখেন আপনার অবস্থা কি? বয়স কিন্ত শেষ, তাই বাকী জীবনটা ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াতের জন্য কষ্ট না হয় একটু হোক।
ইমরান ২০০ ০ تُفْلِحُونَ لَعَلَّكُمْ اللَّهَ وَاتَّقُوا وَرَابِطُوا وَصَابِرُوا اصْبِرُواآمَنُوا الَّذِينَ أَيُّهَا يَا
হে ঈমানদানগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবলায় দৃঢ়তা দেখাও,হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো৷ আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে৷
.
0 الصَّابِرِينَ وَبَشِّرِ 0 وَالثَّمَرَاتِ وَالْأَنفُسِ الْأَمْوَالِ مِّنَ وَنَقْصٍ وَالْجُوعِ الْخَوْفِ مِّنَ بِشَيْءٍ نَّكُم وَلَنَبْلُوَ
বাকারা ১৫৫
আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের ভয়ও খুধা দিয়ে পরীþv করবেন আর তোমাদের জান মাল ও ফসল þতি করেও পরীþv করবেন এ পরীþvয় ধৈর্য্শীলদের জন্য সুসংবাদ।
أَخْبَارَكُمْ وَنَبْلُوَ وَالصَّابِرِينَ مِنكُمْ الْمُجَاهِدِينَ نَعْلَمَ حَتَّىٰ نَّكُمْ وَلَنَبْلُوَ
মুহাম্মদ৩১
অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের পরীþv করবেন যাতে করে তোমাদের মধ্যে কারা চেষ্টা কারী ও ধৈর্য্যশীল তা চিনে নিতে পারে।
খ।এখন পরবর্তী কাজঃপ্রাথমিক কাজ গুলো শেষ করার পর এখন অপনার পরবর্তী কাজ গুলো হবে‘
১।দাওয়াতী কাজ এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আপনার সামনে রাখবেন ক্বোর আনের নির্দেশনা যেমন
তওবা ৪১ اللَّهِ سَبِيلِ فِي وَأَنفُسِكُمْ بِأَمْوَالِكُمْ وَجَاهِدُوا
তোমার প্রচেষ্টা করো আল্লাহর পথে মাল ও জীবন দিয়ে।
তাহলে আপনার এখন কাজ হলো আল্লাহর পথে ব্যায় করার জন্য কিছু অর্থ্ টাকা পয়সা জোগাড় করার মানষীকতা তৈরী করা।এর জন্য অতিরিক্ত আপনার চাকুরী ব্যবসার বা চাষের প্যয়োজন নেই। আপনি যদি একবেলা দু মুঠো চাউল কম রান্না করেন ঐ নিয়তে এবং এই দুমুঠো চাউলের ভাত কম খেয়ে একটু পানি বেশি খান তাহলে আপনি কিন্ত খুধায় মরবেন না।দিন দুই বার রান্না করলে চার মুঠা চাউল জমা
একটু পানি বেশি খান তাহলে আপনি কিন্ত খুধায় মরবেন না।দিন দুই বার রান্না করলে চার মুঠা চাউল জমা হয় আপনি যদি ইসলামের জন্য দুই চারটা টাকা প্রতি দিন জোগাড় করেন এবং মানুষকেও এই উপদেশ দেন তাহলে সময় মতো এই টাকা খরচ করে আপনি আর এক পাড়ায় বা গ্রামে দাওয়াত দিতে যেতে পারবেন বা মাসীক ইয়ানত দিতে পারবেন আর যারা বড়লোক তাদেরতো দিনে দশ বিশ টাকা যোগাড় করা কোন ব্যাপারই না। স্বামীর কাছে ১০টাকা মায়ের বা শাশুড়ীর কাছে ২টাকা বড়ছেলের কাছে২টাকা কেউ না থাকলেতো কোন কথায় নেই তবে লিফ ষ্টীক মাশকারা আইলানার ফাউন্ডেশন আইলিড কালার এই ধরনের বিভিন্ন কসমেটিক কিনতে অনেক টাকা লাগে এখনতো বোরখা পরেন ফেস পাউডারটা না হয় কিনলেন না আর এ সব যদি ব্যবহার না করেন তাহলে আরো ভাল হয়।তবে আল্লাহর নামতে হলে আপনাকে কিছু কিছু অর্থ্ জোগাড়ের মানষীকতা তৈরী করতে হবে।তবে যার অর্থ্ নেই তার কোন চিন্তা করতে হবেনা সে যদি দাওয়াতে বের হতে চায় তবে তার নেত্রীকে বলবে তার অর্থের কোন অভাব হবেনা।
২।দাওয়াতে আপনার ব্যাবহার কেমন হবেঃ আপনি যখন মানুষকে দাওয়াত দিতে যাবেন তখন আপনার ভিতর কিছু বৈশিষ্ট্য জাগ্রত করতে হবে।
ক।নম্র ব্যবহার করতে হবেঃ
শোয়ারা২১৫ 0 الْمُؤْمِنِينَ مِنَ اتَّبَعَكَ لِمَنِ جَنَاحَكَ وَاخْفِضْ
ইমানদার লোকদের মধ্যে যারা তোমারে অনুস্বরন করে তাদের সাথে তোমরা নম্র ব্যবহার করো।
0كُنتَ وَلَوْ حَوْلِكَ مِنْ لَانفَضُّوا الْقَلْبِ غَلِيظَفَظًّا 0 لَهُمْ لِنتَ للَّهِ ا مِّنَ رَحْمَةٍ فَبِمَا
ইমরান ১৫৯
এটা আল্লাহর কত বড় মেহের বানী যে আপনি তাদের জন্য কোমল নম্র হয়েছেন আপনি যদি তাদের প্রতি কঠোর এবং পাষান হৃদয়ের হতেন তাহলে এরা আপনার পাশ হতে দূরে সরে যেত।
সুতরাং আপনাকে কারো সাথে কথা বলার সময় অত্যান্ত ভদ্র নম্র ভাষায় হৃদয়কে নরম করে কথা বলতে হবে।এখন দ্বীন ও দল নিয়ে মানুষ আপনাকে রাগানোর চেষ্টা করবে আপনার নেতাদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলবে আপনার বোরখা পরা নিয়ে আপনার পরিবার নিয়ে এমরকি আপনার অতীত জীবন নিয়েও কথা বলতে পারে এই পর্যvয়ে আপনার রাগ হলে চলবেনা নম্র ভাষায় তাদের সাথে কথা বলতে হবে বার বার সাþvত করতে হবে।একদিন দেখবেন তারা আপনার পাশে দাঁড়াবে।
খ।হিকমাতের সাথে কাজ করাঃ আপনার দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে উল্টা যেন কিছু না হয় এমন যেন না হয় যে বিতর্কের সৃষ্টি ফেৎনার উদ্ভব হয়।যে এলাকায় বা যেখানে আপনি যে পরিবেশে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যাচ্ছেন আপনাকে আগে সেই পরিবেশটা জেনে নিতে হবে।হতে পারে তারা ইসলামের কোন কথা শুনলেই আতংকে দূরে সরে যেতে পারে তাই ঐ এলাকায় আগে ১জন বা ২জন আপনার মনের মানুষ খুজে বের করতে হবে।ওখানে আপনার কোন আত্মীয় থাকতে পারে যে কোন পরিচয়ে আপনি আগে সেখানে প্রবেশ করুন।তার পর আস্তে আস্তে তাদের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত দেন।মনে রাখবেন বর্ত্মvনে মানুষের অন্তর খুব শক্ত হয়ে গেছে শয়তানী শক্তি তাদের অন্তরকে মোহ গ্রস্থ করে রেখেছে। তরা দুনিয়ার লাভ ছাড়া আর কিছুকেই মূল্যায়ন করতে চাইনা। তাদের ক্বলব নষ্ট হয়ে গেছে।
“খতামাল্লাহু আলা ক্বুলুবীহিমঃ আল্লাহ তাদের অন্তর মোহর করে দিয়েছেন।
রোম ৫৯ يَعْلَمُونَ﴾ لَا الَّذِينَ قُلُوبِ عَلَىٰ اللَّهُ يَطْبَعُ كَذَٰلِكَ
এমনি ভাবে আল্লাহ অÁলোকদের অন্তরে চাবী মেরে দেন।
মানুষের ভিতর নফসে আম্মারা আছে ।সেটা শয়তান দ্বারা পরিচালিত হয়।শয়তান ঐ ব্যক্তির অন্তরে বসে দুয়িাকে ব্যক্তির নিকট মোহনীয় করে তোলে।সে জন্য ঐ শয়তানকে আহত করতে হবে ক্বোরআনের বানী দিয়ে।আর সে জন্য আপনার থাকতে হবে বুদ্ধির তরবারী। লোহার তরবারী দিয়ে যেমন শত্রুকে আহত নিহত করা যায় অনুরূপ ভাবে বুদিধ যুক্তি আর হিকমাত নামক তরবারী দিয়ে মানুষের অন্তরের শয়তানকে আাহত করে দ্বীন মুখি করা যায়।
“ مِنِينَ لِّلْمُؤْ وَرَحْمَةٌ وَهُدًى لصُّدُورِفِي لِّمَا وَشِفَاءٌ رَّبِّكُمْ مِّن مَّوْعِظَةٌ تْكُم جَاءَقَدْ النَّاسُ أَيُّهَايَ
ইউনুছ ৫৭
হে মানব জাতী তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পþ হতে উপদেশ পৌছেছে।আর অন্তরের ভিতর রোগ বৃদ্ধির চিকিৎসার উপকরণ ও ঔষধ।
সুতরাংকোরআনের বানী নিয়ে হিকমাতের সাথে আপনাকে প্রবেশ করে আল্লাহ ভোলা মানুষ গুলোকে আল্লাহর পথে আনার চেষ্টা করতে হবে।
গ।তাদেরকে মৃত্যুর কথা স্বরণ করিয়ে দিতে হবেঃ মরনের একটা দৃশ্য তার সামনে তুলে ধরেন।নির্জনে তাদেরকে নিয়ে বসুন তার পর নিম্নের কাজ গুলি করুনঃক্বোরআনের এই আয়াত তাদের সামনে পেশ করুন।
الْقِيَامَةِ يَوْمَ أُجُورَكُمْ تُوَفَّوْنَ وَإِنَّمَا 0الْمَوْتِ ذَائِقَةُ نَفْسٍ كُلُّ
প্রতেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।তোমরা সবাই নিজ নিজ কাজর ফল কিযামতে পাবে(ইমরা-১৮৫))
তাদেরকে বলতে হবে দেখুন আপনার পূর্ব্ পুরুষ যারা দুনিয়াতে ছিল তারা সবাই কি আজ বেঁচে
আছে ? আপনি একদিন এই দুনিয়াই ছিলেন না আজ আছেন আবার একদিন শূন্য হাতে আপনাকে এখান থেকে অবশ্যই কবরে যেতে হবে। আপনার যতই আপন মানুষ থাকুক কেউ আপনাকে ধরে রাখতে পারবেনা এবং আপনি একা ছাড়া কেউ
আপনাকে ধরে রাখতে পারবেনা এবং আপনি একা ছাড়া কেউ আপনার সাথে যাবেনা। মনে রাখবেন সাথে যাবে শুধুর্ আপনার আমল। সুতরাং এই মৃত্যুর সাথে আপনার সাþvৎ হবেই।
مُّشَيَّدَةٍ بُرُوجٍ فِي كُنتُمْ وَلَوْ الْمَوْتُ يُدْرِككُّمُ تَكُونُوا أَيْنَمَا
নিসা ৭৮
তুমি যেখানেই থাকনা কেন মৃত্যু তোমাকে ধরে ফেলবেই এমনকি তুমি যদি মজবুত দুর্গের মধ্যেও থাক।
এর পর নিম্নের আয়াতটি পড়ান
“Bন্নাল মাওতাল্লাজি তাফিররুনা মিনহু ফাইন্নাহু মালাকিকুম ০
নিশ্চয় মৃত্যু তোমার সাথে সাþvৎকরবেই তোমরা মৃত্যু হতে যেখানেই যাওনা কেন আল্লাহর রাসুল সঃ বলেন “মুত ক্বাবলা আন তামুত০তুমি মরো প্রকৃত মৃত্যু আসার আগেনিজে চোখ বন্ধ করুন এবং সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলুন,তারপর সুরা ফাতেহা ও দরুদ পড়ে নিন,চোখ বন্ধ অবস্থায় নিজের চেহারাটা সামনে আনতে হবে এবংনিজেকে দেখতে হবে, তারপর দেখতে হবে যে,আপনি মারা গেছেন ,আপনার মৃত্যু লাশটার দৃশ্যটা আপনার সামনে তুলে ধরুন এবং দেখুন আপনার লাশের চতর দিকে আপনার আপন জনেরা কাঁদছে ,আপনার মা আর্ত্নvদ করে কাঁদছে।আপনার বোন আপনার জন্য কাঁদছে,আপনার আদরের ছেলে মেয়েরা আপনার জন্য বুক ফাঁটা আহাজারী করে কাঁদছে,আম্মু আম্মু বলে ডাকছে, আর বলছে,কে আমাদের দেখবে? কে আমাদের আঁদর করবে? আমরা আর কাঁকে আম্মু বলে ডাকব? আপনার কোলের ছোট্ট ছেলেটি সে তো কিছুই বোঝেনা আপনার দিকে তাঁকিয়ে সে শুধু কাঁদছে আর কাঁদছে।সে তো জানেনা যে আমার আম্মু আর ফিরে আসবেনা।একটু পরেই আম্মু কবরে চলে যাবে।আপনি মৃত্যু অবস্থায় সব বুঝতে পারছেন কিন্ত কিছু বলতে পারছেন না।নড়তেওপারছেননা।কেউ আপনার পাশে বসে ক্বোরআন পড়ছে,কেউ বা বলছে কাফন নিয়ে আস কেউ বলছে কবর কাটো কেউ বলছে গোসল করাও বরই পাতার গরম জ্বলে আপনাকে আজ গাসল দিয়াচ্ছে শেষ গোসল জীবনে নিজের গোসল কতযত্নে নিজে করেছেন কিন্ত আজ আপনি অসহায়। গোসল শেষে আপনাকে সাদা কাফন পরায়ে খাটিয়ার উপর রেখেছে।সবাই বলেছে ওর বাচ্ছারা শেষ দেখা নিক আনার বড় বাচ্ছা গুলো মা-মা বলে চীৎকার করে কাঁদছে আর ছোটবাচ্ছাটার কি করুন অবস্থায় না আপনার দিকে তাঁকাচ্ছে আপনি যেন বলছেন যে, ও আমার সন্তানেরা সব তোদের জন্য রেখে যাচ্ছি কিয়ামতর আগে আর তোদের সাথে সাþvৎ হবেনা এখন কাফনের মুখ বন্ধ করে কবরে আমল ছাড়া আর কেহ নাই। মৃত্যুর এই দৃশ্যটা দিনে অন্তত ১বার নিজে আমল করতে হবে এবং কর্মীদের নিয়ে বসে এই ধ্যান শিþv দিলে অন্তরে মৃত্যু এবং জবাব দিহীতার ভর আসবে ,ধর্মের প্রতি অনুরাগী হবে,দুনিয়ার মহববত কমে আসবে তখনই আমল ভাল হবে। ঘ।দাওয়াতে হেকমত পূর্ণ্ কথা স্বরণ করিয়ে দেওয়াঃ তাদেরক বুঝাতে হবে এই এই দুনিয়া আল্লাহর আমরা সহ সমস্ত মাখলুকাত আল্লাহর। গাছের পাতা,গর্তে্র পিপিলিকা ,নদীর মাছ সহ সবাই আল্লাহর হুকুম মেনে চলছে শুধু মানুষ আল্লাহর হুকুম মানছেনা।মানুষকে কবরে হাশরে মিজানে আল্রাহর কাছে দাঁড়াতে হবে,তখন সে কি জবাব দেবে? একবেলা তরকারী রান্না খারাপ হলে বাড়ীর কর্তা্র নিকট জবাব দিতে হয়।আপনার বাড়ীর লোকের শত্রুদের সাথে আপনি যদি মেলামেশা করেন, তাহলে আপনার বাড়ীর লোকেরা কি আপনার প্রতি খুশি হবে না বেজার হবে? এই দুনিয়ার মালিক আল্লাহ আর সেই আল্লাহর কথা না শুনে আল্লাহর শত্রুদের সাথে যদি আপনি চলেন, কবরে হাশরে কি জবাব দিবে?আল্লাহ কি আপনার প্রতি বেজার হবেনা? “অ ইন্না হাজা ছিরাতী মুছতাকীমা ফাত্তাবিউ হু অলা তাত্তাবিউছ ছুব আমার
سَبِيلِهِ عَن بِكُمْ فَتَفَرَّقَ السُّبُلَ تَتَّبِعُوا وَلَا 0 فَاتَّبِعُوهُ مُسْتَقِيمًا صِرَاطِي هَٰذَا وَأَنَّ
আনয়াম১৫৩
এ পথ সরল ও সোজা ।তোমরা এর অনুস্বরন কর এ ছাড়া অন্য রাস্তায় চলোনা তাহলে তোমরা তার সঠিক পথ থেকে অন্য পথে চলে যাবে।আল্লাহর সরল ও সোজা পথ বলতে ক্বোরআন সুন্নাহর পথ। আর অন্য পথ বলতে কোরআন সুন্নাহর বিপরীত পথ। এখন আপনি যাদের ভালবাসেন, যাদের বন্ধু বলেন, তার কি ক্বোরআন সুন্নাহর পথে আছে?না বি জাতীদের পথে? যারা নামায পড়েনা রোজা করেনা পর্দ্vয় থাকেনা, ইসলামের দাওয়াতে আসেনা ইসলাম মার্কv লোকদের ভালবাসেনা,ক্বোরআন মোতাবেক দুনিয়া চলুক এটা যারা চাইনা তারা কি ক্বোরআরে পথে না বিজাতীদের পথে? যারা বিজাতীদের পথে চলবে তারা যতই মুসলমানের ঘরের নারীও পুরুষ হোক নাম যতই ইসলামের হোক হাশরের মাঠে ঠিকই বিজাতীদের সাথে বিজাতীদের কাতারে দাঁড়াবে এবং তদের সাথেই দোযখে যাবে।যদি দুনিয়াতে আপনি চোর ডাকাত সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ধোকবাজ মিথ্যাবাদী ওয়াদা ভঙ্গকারী বেনামাজী সরকারী মাল আত্মসাৎকারী এই সব লোকদের সাথে সরাসরি হোক অথবা বে সরাসরি হোক তাদের সাথে চলাফেরা করলে বন্ধুত্ব করলে সমর্থ্ন করলে কিয়ামতে ঐ সমস্ত নাফারমানদের সাথে আপনার হাশর হবে।তাদের কাতারেই আপনাকে দাঁড় করানো হবে এবং তাদের সাথেই আপনি দোযখে যাবেন।আর যদি আপনি যারা ইসলামের দাওয়াত দেই সত্য কথা বলে হক পথে চলে নবী রাসুল শহীদরা সিদ্দিকরা যে পথ ধরে দুনিয়াতে বাস করে গেছেন সেই পথে চলার চেষ্টা করেন এবং সেই পথের অনুসারীদের ভালবাসেন তাহলে কিয়ামতের ময়দানে আপনাকে ঐ ঐ সমস্ত নেককার লোকদের সাথেই কাতারে দাঁড় করাবেন এবং তাদের সাথেই আপনি বেহশতে যাবেন।এখন আপনি বেছে নিন আপনি কোন পথে যাবেন।সৎনিয়তে যদি ছোট্ট একটা কাজ ও করা হয় তেবে তার বিনিময়ে কিয়ামতে আল্লাহ আপনাকে নাজাত দিতে পারেন এবং দুনিয়াতে আপনাকে অনেক মর্যাদা দিতে পারেন। ইব্রাহিম আঃ কে যখন নমরূদ আগুনে ফেলতে যাচ্ছিল তখন ব্যাংঙ বলেছিল, আমি প্রস্রাব করে আগুন নিভিযেদিব,আর ফেউটি সাপ বলেছিল আমি ফুক দিয়ে আগুন জালিয়ে দিব যাতে ইব্রাহীম পুড়ে যায়।দেখুন এত বড় আগুন ব্যাঙের প্রস্রাবে কি নেভা সম্ভব?আর ফেউটির ফুকে কি আাগুন জলবে? ব্যাঙের নিয়ত ছিল নবী এবং ইসলামকে রþv করা।আর ফেউটির নিয়ত ছিল তার বিপরীতি।ব্যাঙের সৎ নিয়তের করণে কিয়ামত পর্য্ন্ত আল্লাহ ব্যাঙ মারা নিষেধ করে দিয়েছেন।আর ফেউটি সাপ মারলে আল্লাহ ছওয়াবের ব্যবস্থা করেছেন।আপনার একটু সৎ নিয়ত দীন কায়েমের জন্য আপনার একটু দাওয়াত এবং ইসলামের প‡þ একটু সমর্থ্ন কিয়ামতের মাঠে আপনাকে নাজাত দিতে পারে।আর আপনি যদি ফেউটি সাওপর মত নবীয়ানা পথের ইসলামী দাওয়াতের পথের প্রতি রাগান্বিত হয়ে ইসলাম বিরোধী লোকদের সমর্থ্ন করেন যারা þমতা পেলে গরীবের রিলিফ রাস্তার ইট সিমেন্ট মারবে টেন্ডার বাজী করবে সুদ খাবে ঘুষ খাবে টাকা নিয়ে মানুষের চাকুরী দিবে নিজের আখের গোছানোর তালে এমন লোকদের প‡þ কাজ করলে কিয়ামতে অবশ্যই আপনাকে ঐ সমস্ত ধোকাবাজদের সাথে উঠানো হবে।মনে রাখবেন ভাল লোকদের সাথে উঠাবসা কখনো বিফলে যায়না।ইরাকের বাগদাদ শহরে একজন কুস্তিগীর ছিল,নাম জোনায়েদ বোগদাদী।ইরাকে প্রতি বছর কুস্তিতে সে ১ম হতো।তার সাথে কেউ কুস্তিতে পারতনা।একদিন কালো লিকলিকে হালকা পাতলা একজন লোক পান্জাবী পরিহিত মুখে দাড়ি মাথায় টুপি অবস্থায় জুনায়েদের কাছে এসে বললো,হে জুনায়েদ আমি নবীর বংশের লোক বউ বাচচা নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি তুমি যদি এ বছরতোমার পুরুস্কারটা নবী পরি বারের সম্মানে দাও তাহলে আমার অভাব দূর হয়ে যাবে জুনায়েদ বললেন আপনি কুস্তির দিনে এসে আমার সাথে কুস্তি তে লড়বেন আপনি আমাকে ধরবেন আমি নিচে পড়ে যাব এবং আপনাকে জিতিয়ে দিব যেহেতু আপনি নবী সঃ এর পরিবারের লোক।কিইস্র দিন তা ই হলো লোকটি জুনায়েদকে ধরলো অমনি জুনায়েদ নীচে পড়ে গেল।এ ভাবে তিন বার হলো,অবশেষে লোকটি পুরুস্কার নিয়ে চলে গেল।জুনায়েদ মনে মনে ভাবছে যে,আমিতো জীবনে ভালো কাজ করি নাই,আজ নবীর বংশের প্রতি একটু হলেও তো মর্যvদা দান করেছি।এই ভাবতে ভাবতে জুনায়েদ ঘুমিয়ে গেছে।গভীর রাতে জুনায়েদ স্বপ্নে দেখছে নবী সঃ বলছেন হে জুনায়েদ নবীর বংশের লোক বলে তুমি যাকে এত বড় সম্মান দেখিয়েছ আসলে সে আমার বংশের নয়,তার পরেও নবীর বংশের কথা শুনে যেহেতু তুমি এত বড় সম্মান দেখিয়েছ সে জন্য আল্লাহ ও তোমকে সম্মান দিয়েছেন তার অলীদের খাতায় তোমার নাম দিয়েছেন।তার পরেই জুনায়েদ আল্লাহর অলীতে পরিনত হয়েছিলেন।আপনার কাছে যদি কেউ নবীর পথের আল্লাহর পথের দাওযাত নিয়ে আসে বা ইসলামের সমর্থনের জন্য সাহায্য চাই তারা ইসলাম পালন করুক আর না করুক মাঝখান থেকে জুনায়েদ বোগদাদীর ন্যায় আপনার কিন্ত একটা বড় লাভ হয়ে যাবে।হতে পারে কিয়ামতের মাঠে এর অছিলাই আপনি নাজাতও পেয়ে যেতে পারেন।
সন্ত্রাসের কারণঃ ১।রাষ্টীয় ভাবে আমরা যদি দেখি তাহলে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে ইসলামী ইসলামী আইনের বাস্তব প্রয়োগ না থাকার করণই সন্ত্রাস
২। বেপর্দvঃবেপর্দায় চলাচল কারী নারীর গর্ভের সন্তানরাই সন্ত্রাস হয়।মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে মা ওটাকে পেটেনিয়ে বেপর্দাভাবে যখন চলাফেরা করে, তখন বিভিন্ন পরপুরুষের চোখের কুদৃষ্টি ঐ মায়ের গর্ভের উপর পড়ে, আর সেই কু দৃষ্টিটা গর্ভের সন্তানের উপর খারাপ আচর করে, ফলে ঐ সন্তান পৃথিবীতে আসার পর কোন ভাল সন্তান হয়ে ওঠেনা।মানুষের চোখের কু দৃষ্টি খুব খারাপ।চোখ মুখ লেগে যদি গাছের ফল নষ্ট হয়,বাচ্ছারা অসুস্থ হয়, তাহলে গর্ভের সন্তানের উপর চোখ পড়লে সে সন্তানও খারাপ হয়ে যায়। টিভির একটা রিমোট দিয়ে যদি দূর ধেকে টিভি অন, অফ করা যায়, প্রগ্রাম বা চ্যানেল পরিবর্ত্ন করা যায়, তাহলে একটা পুরুষের কুদৃষ্টি একটা বেপর্দা নারীর ভিতর প্রবেশ করে তার প্রভাব ফেলা খুবই স্বাভাবিক।আর এর থেকেই জন্ম নেয়, উশৃংখল মেয়ে আর সন্ত্রাস ছেলে।সে জন্য প্র্রতিটা ইসলামী আন্দোলনের মহিলা কর্মীদের অত্যান্ত পরদাশীল হতে হবে।বাড়ীতে ছোট মেয়ে থাকলে তাকে ছোট হতেই বোরখা পরা অভ্যস্থ করতে হবে।সপ্তাহে ৩/৪দিন পারিবারিক বৈঠক করে এগুলো নির্দেশ দিতে হবে।ছেলেটা কোন পথে চলছে তার তদারকী অবশ্যই করতে হবে।এর মাধ্যমেই তৈরী হবে একটি ভাল পরিবার আর তার থেকেই তৈরী হবে একটি আদর্শ্ বাদী সমাজ এবং আদর্শ্ বাদী দল, আর এ দলের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আল্লাহ দুনিয়াতে রাষ্টীয় þমতা দান করবেন।
নিজ পরিবারকে সংশোধন করাঃ প্রত্যেকটা দাওয়াত রাসূলের তরিকা মোতাবেক হতে হবে।রাসূল সঃ এর উপর যখনই নাযীল হলোঃ
আপনি নিজ গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহর আযাবের ভয় দেখান।এই আয়াত নাযিলের সাথে সাথে নবীজি তার নিকট আত্মীয়দেরকে ডাকলেন এবং খাওয়ার ব্যবস্হা করলেন। তারপর বললেনঃ
হে ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ হে সুফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব হে আব্দুল মোত্তালিবের সন্তানেরা আমার আল্লাহ পাকের পþ থেকে তোমাদের (মুক্তি) সম্পর্কে কোন এখতিয়ার নেই।তোমরা (আমার মাল হতে)যতটুকু ইচ্ছা আমার নিকট চেয়ে নাও।হে আব্দুল মোত্তালিবের সন্তানেরা আল্লাহর কসম যে জিনিস আমি তোমাদের নিকট নিয়ে এসেছি আমার আরবের এমন কোন যুবক সম্পর্কে জানা নেই। যে নিজ গোত্রের লোকদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কোন জিনিষ নিয়ে এসেছে।আমি তোমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যান নিয়ে এসেছি এবং আল্লাহ পাক আমাকে হুকুম দিয়েছেন যে,আমি যেন তোমাদেরকে তার দিকে আহবান করি।তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে? যে এ আমার হাতকে মজবুত করবে এবং এর প্রেwþ‡Z আমার ভাই রূপে গন্য হবে।(তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩:৩৫০-৩৫১পৃঃমিশর ১৩৫৬ হিজরী)
আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনের যেখানেই মুসলমানদেরকে নিজেকে খোদায়ী আযাব থেকে বাঁচতে বলেছেন সেখানেই নিজ পরিবারবর্গকেও খোদায়ী আযাব থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব তাদের উপর অর্প্ন করেছেন যেমন পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে।
نَارًا وَأَهْلِيكُمْ أَنفُسَكُمْ قُواآمَنُواالَّذِينَ أَيُّهَايَا
হে ইমানদার গণ নিজের জান ও নিজের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও (তাহরীম৬)
পাশের লোকজনকে নিজের মত করে গড়ে তোলা একজন ইমানদার লোকের জন্য একান্ত অপরিহার্য্ কর্তe¨।মনে রাখতে হবে এ পথে কাজ করতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হবে আর এই কষ্টের বিনিময় আল্লাহ নিজে দিবেন। نَّةَالْجَهُمُلَ بِأَنَّ وَأَمْوَالَهُم أَنفُسَهُمْ الْمُؤْمِنِينَ مِنَ اشْتَرَىٰ اللَّهَ إِنَّ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের প্রাণ ও ধন-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন৷তওবা১১১
হকিকতে দায়ী
أَحْسَنُ بِالَّتِي هِيَ وَجَادِلْهُم الْحَسَنَةِ ۖوَالْمَوْعِظَةِ بِالْحِكْمَةِ رَبِّكَ سَبِيلِ إِلَىٰ ادْعُ
হে নবী! প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা এবং সদুপদেশ সহকারে তোমার রবের পথের দিকে দাওয়াত দাও এবং লোকদের সাথে বিতর্ক করো সর্বোত্তম পদ্ধতিতে
ভূমিকাঃ জীবনের সবটুকু প্রসংসা মহান আল্লাহু ছুবহানাহু তায়ালার জন্য এবং উজাড় করা মহব্বত দরূদ ও ছালাম বিশ্ব নবীজির প্রতি ।আজ আজমুসলমানেরা একটা চরম ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে।বিশ্বের বুকে মুসলমানরা যেন সবার চোখের কাটা হয়ে দাড়িয়েছে আর এই সমস্যাটার সৃষ্টি করেছে এক শ্রেনীর সাংবাদিক।তারা মুসলমানদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সভ্যতাও দাওয়াতী কার্যক্রম এবং ইসলামের বিস্তার দেখে সহ্য করতে না পেরে সাধারন একটা মুসলমান বা অ্ন্য ধর্মের একটা লোক যদি দাড়ি ,টুপি অলা লোক দেখে তাহলে বিরক্ত বোধ মনে করে ।বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানদের চোখে ইসলাম মার্কা আদর্শ্ বাদী দল গুলোকে খারাপ বানানো এবং তাদের সমর্থ্ন পুষ্ট ও দাওয়াতী কার্যক্রম এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে বন্ধ করার জন্য ১৯৯০দশকের পর পাশ্চাত্য বাদীরা বাংলাদেশের কিছু ইসলামী লেবাসধারী মানুষের মগজ ধুলায় করে তাদেরকে কিছু অর্থ্ আর জীবন বিধ্বংসী গোলাবারুদ দিয়ে নিরিহ লোকজনের মধ্যে বোমা নি‡þপ করে নারীপুরুষ এমনকি বিচারক পর্য্ন্ত হত্যা করেছে।যা কোরআন সুন্নাহ পরিপন্থি। যথন ধরা পড়েছে তখন দেথা গেছে তারা ইসলামের বেশ ধরে এগুলো করেছে।এ জন্য বলা হয় বনের ঘুঘু ধরতে হলে পোষা ঘুঘুর দ্বারা ধরতে হবে।উপমহাদেশে ইসলাম আসার পর এদেশের মানুষ ইসলামের খেদমত যে ভাবে করে আসছিল তা দেখে এক শ্রেনীর মানুষের অন্তরে আবুজেহেল ও আবু লাহাবের মত ভয় হয়ে গিয়েছিল কিভাবে এই খেদমত বন্ধ করা যায় সে জন্য জঙ্গীবাদী দল তৈরী করে তারা ইসলামী ছদ্দবেশী লেবাছ দিয়ে প্রকৃত ইসলামী আন্দোলনকে বন্ধের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যাতে সাধারণ মুসলমানেরা ইসলামী দাওয়াতের অনুসারীদের দেখলেই জংগী মনে করে।তবে তাদের এই হীন অপচেষ্টা কিছুটা হলেও কার্য্কর হয়েছে ।তাদের এই অপচেষ্টা বন্ধ করতে হলে প্রকৃত সত্য কেরআনের দাওয়াত মানুষের নিকট পৌছে দিয়ে মিথ্যা দূরিভূত করতে হবে।ইসলাম যারা বুঝে এবংইসলামী এবংইসলামী আন্দোলন কারীরা কখনো বোমা ফাঁটাবেনা ইসলামী আন্দোলনকারীরা কখনো মানুষ হত্যা করবেনা।তারা প্রতিপþর জুলুম,নির্যাতন আর হামলা মামলা নিরবে সহ্য করতে ভালবাসে।কারণ তাদের সামনে থাকে বিশ্বনবীর আদর্শ।মক্কার জীবনে নবীকরীম(সঃ)সাহাবীদেরকে
এই ধৈর্য্যের প্রশিþণ দিয়ে আগে প্রকৃত মুসলমান বানিয়েছেন কৈ তিনি এবং সাহাবীরাতো বোমা ফাঁটাননি ঘোষিত যুদ্ধ ছাড়া মানুষ হত্যা করেননি সুতরাং বাংলার যারা প্রকৃত মুসলমান তারা পাথর খেয়ে মার খেয়ে জেলখেটে জুলুম নির্যাতন অপবাদ সহ্য করে হলেও বাংলার প্রতিটা নিরিহ মুসলমানের নিকট ক্বোরআনের দাওয়াত পৌছেদিয়ে তদেরকে এবং নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর প্রয়াস এবং কিভাবে কাজ করলে সফলতা আসবে এই ছোট্ট বইতে সেই পথটা ক্বোরআন সুন্নাহ মোতাবেক তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামী আন্দোলনের এই মহতী কাজে কবুল করুন।আমিন ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন