কেন অবিচার
হান্নান
মানুষ কত নিষ্ঠুর মানবীন প্রতি নির্মম অত্যাচার।
খবরের কাগজ আর টেলিভিশনের পর্দার বাস্তব চীত্র,
কখনো কখনো মনকে করে উশৃংঙখল।
আবার যখন গভীর ভাবে
ভাবি,
তখন নিস্তব্ধ হয়ে যায় জীবনের সব আবেগ।
সুন্দর সুন্দর রূপরানীদের মুখে এ্যাসিডের উৎক্ষিপ্ত চিত্র,
ঝলসে দিয়েছে তার জীবনের স্বপ্ন।
কখনো অপহরনে ধর্ষিত হয়ে মস্তিস্ক বিকৃত।
কখনো বা উদামের দাবানলে দগ্ধ হৃদয়।
হে জাতী একবার কি ভেবে দেখেছ ?
কেন এ করুন দৃশ্য ?
নারীদের প্রতি কেন এ নির্মম অবিচার ?
হে জাতী আমি জানি তোমরা এর উত্তর পাবেনা।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নগ্ন দংশনে,
জাতীর বিবেক আজ বিষাক্ত।
অপসংস্কৃতি বন্ধনে জাতীর বিবেক আজ বন্দি।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি মানবকে করেছে স্বার্থপর,
আর কামাসক্ত।
তাই সে ভুলেছে বাংগালী মাতৃত্বের সম্মান।
এরকম নারীর গর্ভেই তার জন্ম।
সে কি ভাবে অবিচার করে এই মা জাতীর প্রতি ?
আমি এর কিছু কfরণ খুজে পেয়েছি
হে জাতী মনি মুক্তা স্বর্ণ্ রাজী কি
সদা উন্মুক্ত করে ফেলে রাখা যায়?
যা শোভা বর্ধন করে শুধু নারীর অংগে,
দোকানে সাজানো থাকলেও থাকে খুব সাবধানে,
শুধু ক্রেতাদের দর্শনের জন্য।
সন্ত্রাসীরা সুযাগ পেলে হামলা করতে মোটেও দেরী করবেনা।
মণি মুক্তার বিধান তাকে সাবধানে গোপনে রাখতে হবে।
নারীর বিধান সে পুরুষের আকর্ষনের পাত্রী,
তার শরীরটাই আকর্ষনের,
নারীকে কাছে পাবার ইচ্ছাই পুরুষের কাম্য,
হোক তা বিধানগত অথবা অবৈধ।
যারা প্রকৃত মানুষ তারা না হয়
নিজেকে সংযত রাখল,
কিন্ত ডিশ এ্যান্টিনার নগ্ন চিত্রে দংশিত যুবকটি
সে তো এ সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা,
অর্ধ্ নগ্ন এক নারীকে দেখে সে কি ভাবে
ঠিক থাকবে?
সে করবে প্রেম নিবেদনের আবেদন,
না শব্দ উচ্চারিত হলে নিবে অন্য পদক্ষেপ,
হয় অপহরণ না হয় এ্যাসিড নিক্ষেপ।
এই যুবককে কে বানালো উত্তেজিত?
এই নারীকে কে শিখালো এমন পোষাক পরতে?
জানি ঘুনে ধরা জাতী এর উত্তর পাবেনা ।
মহামহিমের বিধানকে অবজ্ঞা করে
যারা জাতীর ঘাড়ে এই নগ্নতা
আর পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চাঁপিয়ে দিয়েছে
তরাই এর জন্য দায়ী।
আর এই পাগলা কুকুরদের যারা
অনুকরন করে তারা দায়ী।
এর জন্য দায়ী এ সমাজকে যারা
পরিচালনা করছে।
কোনদিন যদি হতো এর বিচার
তাহলেই হবে এর প্রতিকার,
যাদের কারণে মানবতার প্রতি
এত নির্মম অবিচার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন