অচেনা গন্তব্যে
আব্দুল হান্নান
আল্লাহ তায়ালা আমাদের রুহুকে তৈরীর পর তিনি আমাদেরকে বললেন আমি কি তোমাদের প্রভূ নহে? আমরা সকলে বলেছিলাম হ্যাঁ অবশ্যই আপনি আমাদের প্রভূ । আমরা সানন্দে তখন আল্লাহর সামনেই ছিলাম কখনো ভাবিনি আল্লাহর সম্মুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমাদের কোন একটি বিশেষ স্থানে আমাদের যেতে হবে । তারপর একটি রুহু জগত সৃষ্টি করে সেই জগতে আমাদের রাখলেন।আমরা সেখানে হামেশা আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকতাম।আমরা জানতামনা এখান থেকে আমাদেরকে কোন অচেনা গন্তব্যে যেতে হবে।আমাদের চতুরদিকে ফেরেস্তা মন্ডলীরা থাকতো। তারাও আমাদের সাথে আল্লাহর নামের তাছবিহ করতো। আল্লাহর যখন হুকুম হতো তখন সেই রুহু জগত থেকে নির্বাচিত রুহুকে নিয়ে ফেরেস্তারা মানব মায়ের গর্ভে দিয়ে দিত।সে এখন মানব হতে চলেছে।মায়ের গর্ভে আল্লাহর হুকুমে তার এখন ভাগ্য লিপি লিখবে ফেরেস্তারা। তার আয়ু কত বছর হবে। সে কি পরিমান খানা খাবে। কি পরিমান পানি তার জন্য বরাদ্দ। কত মাইল পথ সে দুনিয়াতে হাটবে।তার কোন ভাগ্যের লিখন দোয়ার মাধ্যমে খন্ডন হবে।মানব মায়ের গর্ভে বসে কোন কিছু কি জানে এই শিশু কি ঘটতে চলেছে তার জীবনে? তার কাছে সবই অজানা আর তার পুরা ভ্রমনটিই অচেনা।সে মায়ের গর্ভে থেকে জীব আত্মার সাথে মিশে তার এখন ক্ষুধার উদ্রেক হয়েছে। রুহু জগতে তাছবিহ পড়ে তার ক্ষুধা নিবারন হত এখন আর শুধু তাছবিহ পড়ে ক্ষুধা নিবারন হবে না। তাকে এখন জীব আত্মার খাবার নিতেই হবে।তাই মায়ের গর্ভে জীব আত্মার সাথে মিশে সে এখন রুহানী জগতের কথা ভূলে গেছে। সে এখন মনে করছে মায়ের গর্ভটাই তার জন্য আসল স্থান সে এখান থেকে আর কোথাও যাবে না। কিন্ত না সময়ের পরিক্রমায় এক অচেনা স্থান থেকে আর এক অচেনা অজানা গন্তব্যের পথিক সে।সে জানে না কদিন পরেই তাকে এখান হতে চলে যেতে হবে।যথা সময়ে সে মায়ের গর্ভ থেকে অপসারিত হয়ে চলে আসলো দুনিয়াতে।মায়ের ৩২টি নাড়ি ছেড়া আদরের সন্তান ভুমিষ্ট হবার সাথে সাথে আযান দিয়ে আল্লাহর মহত্বের মাধ্যমে তাকে জানানো হলো তোমার জীবনে আযান হয়ে গেছে বাকী আছে নামাজের। পাঠকগণ অবশ্যই জানেন এটা কোন নামাজ। পরম আত্মার সাথে যোগ হলো জীব আত্মার। উভয়ের সংমিশ্রন আর গঠন প্রক্রিয়ায় সে এখন মানবের কাঠামোতে। আসলে সে কি মানব হতে পারবে? সে কি তার বিবেকের মাধ্যমে পরম আত্মা দিয়ে জীব আত্মার উপর প্রভাব ফেলে মানুষ হতে পারবে? না মানবের বেশে দানব হবে? সে যদি মন চাহে জীন্দেগী চলে তাহলে হবে দানব। আর যদি রব চাহে জীন্দেগী চলে তবেই হবে মানব।মনে রাখতে হবে দুনিয়ার খাবার খেলে শরীর তাজা হবে। আর আসমানের খাবার খেলে রুহু তাজা হবে।আসমানের খাবার হচ্ছে কোরআনের ফায়সালা। তোমার জীবনের সমস্ত সমস্যা কোরআন মোতাবেক হাদিসের মাধ্যমে ফায়সালা তুমি যদি দুনিয়ার বুকে করতে পারো তবেই তুমি মানব হতে পারবে। তাছাড়া মানবের বডিটা ছাড়া তোমার আর কিছুই নেই। তুমি যতবড় দুনিয়ার ক্ষমতাধর হওনা কেন।হে মানব তুমি মাতৃগর্ভে আসার পূর্বে কি ছিলে আর মানবের বেশ ধরার পর তোমার আচরনটা কেমন একবার কি চিন্তা করে দেখেছ? রুহানী জগতে যে আল্লাহর তাছবিহ তাহলীল করে আলাহর সমীপে ওয়াদা করেছিলে যে তুমিই আমার রব আমি তোমার গোলাম এই ওয়াদা করে মায়ের গর্ভ হয়ে দুনিয়ায় এসে তুমি এখন কাকে রব বলে মেনে নিচ্ছ? তমি কার গোলামে পরিনত হয়েছ? কে তোমাকে তোমার ঐ প্রভূ থেকে ভূলিয়ে রেখেছে? তাগুতের পিছু ঘুরতে ঘুরতে তোমার জীব আত্মা আজ পরম আত্মার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। তোমার পরম আত্মা আজ জীব আত্মার নিকট বন্দি হয়ে ক্রন্দন করছে তুমি কি শুনতে পাচ্ছ সেই ক্রন্দন? তুমি শুনতে পারবে না কারন সে কর্ণ তোমার নেই।তুমি শুনতে পারবে শুধু জীব আত্মার ক্রন্দন।আল্লামা রূমীর বাশের বাশির গল্প কি তুমি শুণেছ? জানি তুমি শোননি। বাশের বাশিতে সুর উঠে বিরহের। তুমি কি জানো এই বিরহ কিসের?সুরের মাধ্যমে বাশি জানাতে চাই যে আমি ছিলাম বাশ ঝাড়ে। আমাকে কেটে আমার সাথিদের থেকে আলাদা করা হয়েছে
সেই
বিরহেই আমি কাঁদি। তোমার ভিতরের রূহুটি ছিল রুহানী জগতে সকল রুহুদের সাথে আজ সে তোমার ভিতরে এসে জীব আত্মার নিকট বন্দি হয়ে পাপের আঁধারে বসে কাঁদছে বিরহের কাঁন্না হে মানব তুমি একবারো তোমার ভিতরের কান্নাটি শোনার চেষ্টা করছোনা।তুমি কি চেন তুমি কে? তুমি অন্য মানুষকে চেনার আগে তুমি নিজেকে আগে চিন। তোমার সাড়ে তিন হাত বডির ভিতরেই তুমি লুকিয়ে আছ। যে তোমার সব চাইতে কাছের। অথচ তুমি তাকে চিনতে পারছোনা জানতে ও পারছোনা। তুমি অন্য মানুষকে কি ভাবে চিনতে যাও? তুমি তোমার নিজেকে চিন তাহলে সব কিছু চিনতে পারবে। আমরা সাধারণভাবে বলি আমার হাত, আমার পা ,আমার মাথা, আমার পেট , আমার চোখ, আমার নাক, আমার মুখ ইত্যাদী তাহলে আমারটা কে? আমারটা হচ্ছে রুহু যার বদৌলতে আমরা বেঁচে আছি।রুহুটা যতক্ষন আমার আপনার মধ্যে থাকবে ততক্ষন আমি আপনি জিন্দা থাকবো। রুহু চলে গেলে আমি আপনি মুরদা।তাহলে বুঝা যায় আমাদের সাড়ে তিনহাত বডিটা রুহু বহনকারী একটি খাঁচা মাত্র। আজ বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে একবার দেখুনতো আমাদের মেধা শ্রম টাকা পয়সা গাড়ী বাড়ি সব কিছু কিসের পিছে ব্যায় করছি? খাঁচার পিছে না রুহের পিছে? উত্তর আসবে খাঁচার পিছে। আজ দেখুন আমাদের বিবেক কোথায় নিমজ্জিত ।হে মানুষ আর খাঁচার পিছে দৌড়ায় ও না আর খারাপ নফসের পিছে নিজেকে নিয়জিত করোনা। প্রবৃত্তির তাড়না থেকে নিজেকে মুক্ত করো। আল্লাহর রাসূল সঃ বলেছেন প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে একটুকরা মাংস আছে এই মাংসের টুকরাটি যার পবিত্র হয়েছে তার সমগ্র শরীরটাই পবিত্র হয়ে গেছে। আর যার এই মাংসের টুকরাটি অপবিত্র তার সমগ্র শরীরটাই অপবিত্র। দুনিয়াতে যারা নিজেদের নফসের তাড়নায় শরীর নামক খাঁচার পিছে ঘুরেছে কুপ্রবৃত্তির গোলামী করেছে তাদের এই মাংসের টুকরাটি অপবিত্র হয়ে গেছে। আমরা কি চিনি এই মাংসের টুকরাটি কোনটি? এটি হলো ক্বলব যার ভিতরে তোমার রুহু বসে আছে। হায়রে আল্লাহর বান্দা মানুষ হয়ে দুনিয়াতে আসলাম। আল্লাহ কোন উদ্দেশ্যে মানবকে দুনিয়াতে পাঠাইল মানব সেই উদ্দেশ্যটাই বুঝলনা। সে চলছে মনচাহে জিন্দেগী। আল্লাহর মানব পাঠানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম হতে হবে কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক।মনচাহে জিন্দেগী কখনো মানুষের কল্যানের কোন পথ হতে পারেনা। এ পথে কোন শান্তি নেই। আল্লাহর বিধানের বিপরীতে চলে আপনি হইত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন কিন্ত বিছানাতে শুয়ে নিশ্চিন্তে কি কখনো ঘুমাতে পেরেছেন? বিছনায় শুবার সাথে সাথে নিশা করা ছাড়া কি কখনো ঘুমাতে পেরেছেন? যা উপার্জন করছেন তার কতটুকু আপনি ভোগ করছেন বা ভোগ করে যেতে পারবেন? কোন একদিন হইত হার্ট ফেল করে পটল তুলবেন কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না আর এটাই বাস্তবতা। দুনিয়ার ইতিহাস এটাই সাক্ষ দেয়।তোমার হারাম অর্থে কখনো তোমার ঘরে ভালো সন্তান জন্মাবে না যে তোমার মৃত্যুর পর তোমার জন্য দোয়া করবে। তুমি মনে করতে পারো জুম্মার নামাজ পড়ি ঈদের নামাজ পড়ি শবে বরাতের নামাজ পড়ি মাঝে মাঝে পাঞ্জেগানা ও পড়ি। আর ভোটের মওসুম এলে মওসুমী নামাজ পড়ি তুমি যে করণে নামাজ গুলো পড়ো তার পুরুস্কার তুমি দুনিয়াতে পেয়ে যাচ্ছ বাকিটা তোমার ভন্ডামী। নামাজের হকিকত তুমি যদি বুঝতে তাহলে হারাম উপার্জন করতে না। হে মুসাফির সাবধান হয়ে যাও তওবা করো মানুষের হক তাকে ফিরি য়ে দাও। সত্য তিক্ত এই জন্য কেউ শেয়ার কর তে চাই না।আমাদের অচেনা গন্তব্য থেকে শরীয়তের বেশ কিছু মাসয়ালা মাসায়েলের কথা বলে ফেলেছি। আমাদের বুঝা উচিত যে আমরা মানুষ। আমাদের ভিতর একটা পবিত্র রুহু আছে য়া আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। এটা আল্লাহর একটা আদেশ।মানুষ আল্লাহর আদেশের বাহিরে কাজ করতে পারেনা।ভেবে দেখার বিষয় আমরা আল্লাহর আদেশের বাহিরে কাজ করছি কিনা?
প্রতিট মানুষের আমলনামা লেখার জন্য যেমন কেরামান কাতেবিন সম্মানিত ফেরেস্তা থাবে তেমনি ভাবে কুপ্রবৃত্তির দিকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটা মানুষের সাথে একটি করে শয়তান ও থাকে।বান্দা যখন কোন ভালো কাজ করতে যায় শয়তান তখন এমন একটা ওসিলার প্ররোচনা দেয় বান্দা যাতে কাজটি আর না করে।এই অবস্থায় বান্দার উচিত শ য়তানের সাথে যুদ্ধ করে কাজটি সম্পন্ন করা। দেখবেন রাতের বেলা প্রথম দিকে হইত ভালো ঘুম হচ্ছেনা কিন্ত যখনি ফজরের আযান হছ্ছে তখন ঘুমটা কেমন যেন পাকাপোক্ত হয়ে আসে অর্থাৎ শয়তান অলসতার জাল ফেলে দেয়। যারা মুমেন তারা বুঝতে পারে সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে। এদের জন্য আল্লাহ দ্বিগুন সওয়াবের এবং শয়তানের সাথে জিহাদের মর্যাদা দান করবেন।মানবের ভিতরে যে রুহু আছে সে সব সময় চায় আল্লাহর দিদার। আল্লাহর দিদারের পথে রুহের সব চাইতে বড় অন্তরায় হচ্ছে নফসনিয়াতের পাপ। পাপের আঁধার রুহের চারিদিকে যখন পরিব্যাপ্ত হয়ে যায় তখন রুহের দিদার আর আল্লাহর সমীপে পৌছায়না। মানুষের বিবেক তখন লোপ পেয়ে যায় মানুষের ভালো মন্দের হিতাহিত জ্ঞান তখন আর থাকে না। ভালোকে মন্দ আর মন্দকে ভালো মনে করে সে পথ চলতে থাকে। নবী সঃ বলেছেন মানুষ যখন পাঁপ করে তখন তার ক্বলবে একটি কালো দাগ পড়ে। এই কালো দাগের পরিমান যখন বেশি ঘন হয়ে যায় তখনি রুহু বন্দি হয়ে যায় সে ভালো কাজের প্রায়াস হারিয়ে ফেলে। একে বলা হয় রুহের অসুখ। শরীরের অসখ হলে আপনি শৈল চিকিৎসকের কাছে যাবেন ঔষধ খাবেন শরীর আল্লাহ চাহেত সুস্থ হয়ে যাবে।কিন্ত আপনার রুহের অসুখের জন্য রুহানিয়াতের ডাক্তারের স্বরনাপন্ন অবশ্যই হতে হবে নচেৎ আপনার পরিনাম ফল জাহান্নাম। আমাদের দেশের মানুষেরা এই জায়গাতে বড়ই ভূ ল করে। তারা ভন্ড পীরের নিকট মুরিদ হয়ে রুহের অসুখ সারতে যায়। মহিলাদের পর্যন্ত নিয়ে যায়। আবার বলে পীর বাবা নাউযু বিল্লাহ।বাবা মাকে ভাত দেয়না ফীর বাবার জন্য কমলার হালি আর গরু কিনে নিয়ে যায়। হে মানুষ তোমার যদি রুহের অসুখ হয়ে থাকে তাহলে দূরে যাবার আগে তোমার পিতামাতার কদম ছূয়ে ক্ষমা চাও তাদের গুলামী করো তোমার পিতামাতা যতই মুর্খ হোক তার গোলামী করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে গ্রামের মসজিদের ইমামের নিকট আস্তে আস্তে সবক নিয়ে আল্লাহর দরবারে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও লেখা পড়া জানলে বই পুস্তক পড়ো ক্বোর আনের তাফসীর পড়ো আল্লাহ তোমাকে পথ দেখাবেন ।গ্রামের ধর্মপ্রান মানুষদের সাথে চলো তোমাকে দূরের কোন পীরের কাছে যেতে হবে না। কারন কে ভালো আর কে মন্দ তুমি চিনতে পারবেনা।আমার আজকের ছবক আপনি যদি সত্যিকারে সত্যের অনুসন্ধানী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আজকের একটা বিশেষ ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছি। প্রথমেই আপনাকে অর্থের মোহ ছাড়তে হবে। বিলাসীতা ত্যাগ করতে হবে দানের হাত প্রসারিত করতে হবে আপনজনদের খোজ খবর বেশি বেশি নিতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে। স্ত্রী কন্যাকে পর্দায় চলতে বলতে হবে। বয়প্রাপ্ত বোন থাকলে পর্দায় চলতে বলতে হবে।বেগানা মহিলাদের সংশ্রব ত্যাগ করতে হবে। ভাবীদের সাথে আগের মত আচরণ ত্যাগ করতে হবে। আমাদের সমাজে সবচাইতে বড় সমস্যা ভাবী শালী মামাতো খালাতো বোন চাচাতো বোন এগুলো সরলতার ভাব নিয়ে আমলিয়াতের জীবনে ধ্বংস টেনে আনে। মুসলমান সাবধান এই সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। মসলমান পায়ে ধরে বলি দুদিনের দুনিয়াতে একটু মমতার জাল ত্যাগ করতে হবে। আল্লাহ পাক জান্নাতে অনেক সুখকর জিনিষ তোমার জন্য রেখেছে। তার চাইতে বড় পাগল আর কে যে এক দিনের বাদশাহী গ্রহন করে সারা জীবন জেলখানায় থাকে। দুনিয়াটা নিছক এক দিনের বাদশাহী।আমার আজকের ছবক আপনি যদি সত্যিকারে সত্যের অনুসন্ধানী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আজকের একটা বিশেষ ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছি। প্রথমেই আপনাকে অর্থের মোহ ছাড়তে হবে। বিলাসীতা ত্যাগ করতে হবে দানের হাত প্রসারিত করতে হবে আপনজনদের খোজ খবর বেশি বেশি নিতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে। স্ত্রী কন্যাকে পর্দায় চলতে বলতে হবে। বয়প্রাপ্ত বোন থাকলে পর্দায় চলতে বলতে হবে।বেগানা মহিলাদের সংশ্রব ত্যাগ করতে হবে। ভাবীদের সাথে আগের মত আচরণ ত্যাগ করতে হবে। আমাদের সমাজে সবচাইতে বড় সমস্যা ভাবী শালী মামাতো খালাতো বোন চাচাতো বোন এগুলো সরলতার ভাব নিয়ে আমলিয়াতের জীবনে ধ্বংস টেনে আনে। মুসলমান সাবধান এই সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। মসলমান পায়ে ধরে বলি দুদিনের দুনিয়াতে একটু মমতার জাল ত্যাগ করতে হবে। আল্লাহ পাক জান্নাতে অনেক সুখকর জিনিষ তোমার জন্য রেখেছে। তার চাইতে বড় পাগল আর কে যে এক দিনের বাদশাহী গ্রহন করে সারা জীবন জেলখানায় থাকে। দুনিয়াটা নিছক এক দিনের বাদশাহী।কোন দুজন ব্যক্তিকে যদি ডেকে বলা হয় যে তোমাদের দুজনের একজনকে এক দিনের বাদশাহী দেয়া হবে একদিন শেষ তার পরের দিন থেকে সারাজীবন জেল খানায় থাকতে হবে। আর একজনকে একদিন জেল খানায় থাকতে হবে একদিন শেষ তার পরের দিন হতে সারা জীবন বাদশাহী দেয়া হবে। এই দুইজন জ্ঞানী হলে কোনটি গ্রহন করবে? অবশ্যই এক দিনের জেল খাটাকে গ্রহন করবে। আখেরাতের অসীম সময়ের তুলনায় দুনিয়াটা খুবই নগন্য সময়। এইত খুব ভালো মনে আছে কদিন আগে চুল দাড়ি উঠল আবার দেখতে কবে যেন চুল দাড়ি সব পেঁকে গেল মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে। মরনের সময় ঘনিয়ে এসছে । যা সঞ্চয় করেছি তা নিজের খাওয়া আর পরা ব্যতিত সব অন্যদের জন্য। আমার মৃত্যুর পরে যা সব ভাগ হয়ে যাবে।কি করলাম দুনিয়াতে। তাই মরনের অভ্যাস করতে হবে প্রকৃত মরার আগে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন