চর্মোনায় পীরদের কুফুরী আকিদা ত্যাগের আহবান
চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত
কুফুরী আকিদা দেখুন !!
সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন
[বাকারা৩০ আয়াত] وَإِذ قالَ رَبُّكَ لِلمَلٰئِكَةِ إِنّى جاعِلٌ فِى الأَرضِ خَليفَةً ۖ
আমি জমিনে খলিফা পাঠাতে যাচ্ছি, সুতরাং আল্লাহর কথার সাথে ফয়জুলের কথা সাংঘর্ষিক, কুফুরী তাকে তওবা করতে হবে।
আবার এজিদ সম্পর্কে বলেছে হযরত ইয়াজিদ রহমতুল্লাহ তাহাজ্জুদ গোজার সারা বছর রোজা থাকতো নফল নামাজ পড়তো হোসেন রাঃকে সে মারেনি মারার আদেশ দেইনি এজিদের বন্দনা।
শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার বক্তব্য এবং
কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর
কাহিনী তুলে ধরা হলো ।
চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন
মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব ।
তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ
মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন ।
তিনি পিতার
তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার
মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ
রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব
পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব
মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার
জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব
রচনা করেছেন । ২৭ খানা কিতাব
বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ
করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।”
( ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা )
(১) মারেফতের পীর ও ওলীদের
মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক
মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা )
(২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ
করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা )
(৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে ।
( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা )
(৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ ।
( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা )
(৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই ।
( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা )
(৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম
মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক ।
( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা )
(৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার
করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮
পৃষ্ঠা )
(৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার
সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা )
(৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ
মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪
পৃষ্ঠা )
(১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার
থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি ।
( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা )
(১১) পীরগণ কেয়ামতের
দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে ।
( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক
৬৬-৮১ পৃষ্ঠা )
(১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান
থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত
৩১ পৃষ্ঠা )
চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকা কোথায়
পাইলেন ? আমরা সকলেই
জানি জান্নাতে যাওয়ার
রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর
সেটা হলো – ইসলাম ।
আল্লাহ বলেনঃ
“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ
করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ
করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত
।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫)
ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর
তরীকা ।
"বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস,
তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর,
যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন
এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ
মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন
ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান ।
সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও
মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর
সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১
নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম
থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য
তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।”
( আশে পাশে লাইব্রেরী থেকে তাদের এই
সব বই কিনে এনে যাচাই করে দেখুন )
কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন
না – ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে ।
ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই
কথা কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ?
না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই,
হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬
তরীকা ইসলামে আছে !!
আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির
বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য
নিজের মনগড়া ফতুওয়া দেওয়া শুরু করেছেন –
১২৬ তরীকার মধ্যে তার
তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬
তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের
বানানো মনগড়া ১২৬
টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে –
ব্যবসা করার জন্য । তার উপর, এই গুলোর
মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের
চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট
তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ??
ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই
সবচাইতে ভালো বলে,
কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয়
ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও
দলীল ছাড়াই নিজের
ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে ।
আর অন্ধ
মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য
সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই
হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ।
যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই,
হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর
ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ
থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ
কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ
"নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের
কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের
সাথে তর্ক করে ।
( হে মুসলমানেরা সাবধান )
যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো,
তাহলে তোমরাও মুশরেক
হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১)
আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে,
সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত
ভুয়া অলি আওলিয়াদের
তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন ।
“তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের
প্রতিপালকের পক্ষ
থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ
দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ
করো না ।”
(সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩)
বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার
কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই
তরীকাকে অলি-আওলিয়ার
তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
২০০কোটি টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে হেফাজত নেতা মুহিবাবুল্লাহ বাবু নগরীকে
গত কয়েকদিন হলো হেফাজত নেতা মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী হঠাৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু ছাড়াই বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ...
-
চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা দেখুন !! সম্প্রতি এক বক্তব্যে সে বলেছে আদম আঃ দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছে অথচ আল্লাহ বলেন [বাকা...
-
লাকী টাইগার্স ( ৭ ই বেংগলের)আসল ইতিহাস রচনায়ঃওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হান্নান ভূমিকাঃ জীবনের সবটুকু প্রশংসা আল্লাহর জন্য,দরূদ ও সালাম ...
-
চরমোনায়ের ছদ্দবেশ হতে সাবধান ওদের জুব্বা পাগড়ীর অন্তরালে রয়েছে তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব। চরমোনায়ের দাড়ি-টুপি পাগড়ী দেখেই মনে করবেননা ওর...
শিরক, বিদায়াত ও কুফরী আক্বিদাহ ফ্যাক্টরির দূষিত মাল জর্দা খোর রেজাউল করিম আবরারের মুখে আক্বিদাহর সবক বড়ই বেমানান।
উত্তরমুছুনরাইট
উত্তরমুছুনমাশাল্লাহ
উত্তরমুছুন